সাংসদ বিষ্ণুপদ রায়

Bjp Mp: অশোকনগরের বিষ্ণুপদ এখন আন্দামানের ‘মসিহা’, বাংলার ভূমিপুত্র আন্দামানের জন্য সোচ্চার হবেন সংসদে!

অশোকনগর: জানলে রীতিমতো অবাক হবেন আপনিও, বাংলার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের ভূমিপুত্র আজ আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সাংসদ! হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার বাসিন্দা বাঙালি। ২৮ শতাংশের আশেপাশে বাংলায় কথা বলেন সেখানকার মানুষজন। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত জারোয়া ও বিলুপ্তপ্রায় জনজাতির অঞ্চল গুলিতেও আধিপত্য রয়েছে এই বাঙালির।

এবার তাদের কথাই দিল্লির দরবারে তুলে ধরবেন, বর্তমানে আন্দামানের বাসিন্দা হলেও, অশোকনগরের ভূমিপুত্র বিষ্ণুপদ রায়। অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দরিদ্র পরিবারের ছেলে জীবন যুদ্ধে তাই পাড়ি দিয়েছিলেন ‘কালাপানির দেশে’। তারপরই বদলে যায় জীবন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আন্দামান নিকোবর সহ জারোয়া ও বিলুপ্তপ্রায় জনজাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন বছর তিয়াত্তরের বিষ্ণুপদ রায়।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে ফাটল! হাতেনাতে মিলল প্রমাণ! এবার যা হবে…মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের

অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে নরেন্দ্র মোদির জামানায় তিনিই হয়ে ওঠেন আন্দামানের ‘মসিহা’। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাকে টিকিট না দেওয়ার কারণেই, হারতে হয় দলকে। তাই এবার আবারও ফের বিষ্ণুপদ রায়ের উপরই ভরসা রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদি সহ ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির হয়ে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লোকসভা আসনে ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হন বিষ্ণুপদ রায়। ছোটবেলায় অশোকনগর কল্যাণগড় স্কুলেই পড়াশোনা করেন তিনি।

পরবর্তীতে, কাজের তাগিদেই পাড়ি দেন সমুদ্র অন্দরের ওই দ্বীপরাজ্যে। সেখানেও আরএসএস এর সঙ্গে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি চাষের কাজ থেকে দিনমজুরিও করতে হয়েছে তাকে। বিবাহ হলেও নিঃসন্তান দম্পতি বিষ্ণুপদ অনুকূল চন্দ্রের দীক্ষা নেন। গুরু হিসেবে তাকেই মেনে এখনও পথ চলেন এই সাংসদ। পরবর্তীতে অটল বিহারী বাজপেয়ি সহ ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বদের নজরে আসে তার এই মানুষের জন্য সেবা। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সন্তানের মতো ভালোবেসে দেখভাল, সুবিধা অসুবিধা সমস্তটাই নিজের করে নিতে পছন্দ করেন বিষ্ণুপদ রায়।

তবে এবারই প্রথম নন, তিনি ১৯৯৯ সালে প্রথম বারের জন্য সাংসদ হয়েছিলেন। এরপর ফের ২০০৯ থেকে টানা দু’বার ২০১৯ পর্যন্ত বিজেপি সাংসদ ছিলেন। তবে ২০১৯ এ নিজের দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে, টিকিট না পেলেও ভোটে আন্দামানে হেরে যায় বিজেপি। তাই ২০২৪ নির্বাচনে তাকেই তুরুপের তাস করে আবারও ফের লড়াইয়ের ময়দানে নামায় বিজেপি। বাঙালি হিসেবে যেমন তিনি গর্বিত, তেমনই নিজেকে মাটির মানুষ রাখতে পারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভরসা করেছেন তারই উপর। আবারও অতীতের মত সংসদে এই পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের সুবিধার অসুবিধার কথা তুলে ধরে, প্রয়োজনীয় কাজ হাসিল করাই বিষ্ণুপদ রায়ের এখন অন্যতম লক্ষ্য। তবে, বাংলা তথা অশোকনগরের ভূমিপুত্র বিষ্ণুপদ রায়ের জন্য আজ গর্বিত গোটা অশোকনগর সহ বাংলার মানুষ।

—– Rudra Narayan Roy