দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখা ইসলামপুরের পর আর দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে না। এর কারণে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টির হাহাকার। বিক্ষিপ্তভাবে কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা জনিত অস্বস্তির হাত থেকে রেহাই নেই।

Bardhaman heatwave: দাবদাহে পুড়ছে বর্ধমান, বৃষ্টি আসবে কবে? জানতে উদগ্রীব বাসিন্দারা

বর্ধমান: দাবদাহ অব্যাহত বর্ধমানে। সাত দিনেরও বেশি সয়ম বৃষ্টির দেখা নেই। দুপুর হলেই গরম হলকা হাওয়া বইছে। তার উপর অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ঘেমেনেয়ে অস্থির মানুষ চাতক পাখির মতো সকলে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির জন্য।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার সময়ের আগে বর্ষা ঢুকেছে রাজ্যে। কিন্তু দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে মৌসুমী বায়ু থমকে রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেজন্যই বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়। তবে বর্ধমানে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। অস্বস্তিকর গরম সহ্য করা অনেকের কাছেই দায় হয়ে উঠেছে। সকলেই জানতে চাইছেন, বৃষ্টির জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: বড় বিপর্যয়, বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

মঙ্গলকোটে বজ্রপাতে মৃত্যু হল একই গ্রামের দুই ব্যক্তির। মৃত অজিত ঘোষ (৫০) এবং বিজয় ঘোষের (৫১) বাড়ি কৈচর  গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইডাঙ্গা গ্রামে। প্রতিবেশী সৌরভ ঘোষ জানান, সন্ধ্যাবেলায় মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় আচমকাই মাঠের মধ্যেই বজ্রপাতের কবলে পড়ে দু’জনে প্রাণ হারান। উপস্থিত আরও তিনজন ছিল প্রাণে বেঁচে যায়। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।