Category Archives: বর্ধমান

West Bengal flood situation: ফুঁসছে ভাগীরথী, নতুন করে বন্যা পূর্ব বর্ধমানের বহু এলাকায়! বন্ধ হল ফেরি চলাচল

পূর্ব বর্ধমান: ভাগীরথীর জল উপচে ঢুকছে কৃষিজমিতে। ফলে নতুন করে প্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার ভাগীরথী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা। নদীতে জল বাড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। অন্য দিকে দামোদরের জল বাড়ায় প্লাবিত হয়ে রয়েছে জামালপুর রায়নার বেশ কিছু এলাকা।

ভাগীরথীতে বাড়তে শুরু করেছে জলস্তর। চাষের জমি পেরিয়ে সেই জল ঢুকে পড়ছে এলাকায়। নতুন করে প্লাবনের খবর পেয়ে রাতেই এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়লেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের ব্লক অফিসের জরুরি বৈঠক করলেন কালনা মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক-সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে আবার নিম্নচাপের আশঙ্কা! রবিবার থেকেই বিপদ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়

পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লক অফিসে খোলা হল কন্ট্রোল রুম। সেখানেও হাজির ছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের জালুইডাঙ্গা, কিশোরীগঞ্জ, মনমোহনপুর-সহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আরজি করে ধর্ষণ-খুনে জড়িত নয় সন্দীপ- অভিজিৎ? আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

 ভাগীরথী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা প্রশাসন। যাত্রীদের  নিরাপত্তার কারণে ভাগীরথী নদীর ওপরে থাকা কাটোয়া বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ আছে। নদীয়া জেলার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম যোগাযোগকারী ফেরিপথ হল বল্লভপাড়া ফেরিঘাট। কাটোয়া বল্লভপাড়া ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে। তবে পরবর্তী ঘোষনা না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন: রান্নার তেলেই লুকিয়ে বিপদ! হার্ট ভাল রাখতে খাবারে এই ৫ তেল একদম ব্যবহার করবেন না

ফেরি ঘাটের কর্মী জানান, ভাগীরথী নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন  ফেরিঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া নদীর জলে ভেসে আসা কচুরিপানার সঙ্গে গাছের ডালপালা নৌকার মোটরের পাখায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। ফেরি ঘাটের কর্মী সোমনাথ ঘোষ বলেন, প্রশাসন নির্দেশ দিলে পুনরায় ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।

National Highway: লাগতে পারে আরও এক বছর! সময়ে শেষ হচ্ছে না জাতীয় সড়কের সিক্স লেনের কাজ

পূর্ব বর্ধমান: পুজোর আগে শেষ হচ্ছে না জাতীয় সড়কের পানাগড় থেকে পালশিট পর্যন্ত সিক্স লেন তৈরির কাজ। এখনও বেশ কিছু  জায়গায় কাজ বাকি রয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার জাতীয় সড়কের পানাগড় থেকে পালসিটের ৬ লেন তৈরির কাজ শেষ করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু কাজ শেষ করতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। সব কাজ শেষ করতে আরও ছ’মাস থেকে এক বছর লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে যেসব কাজ করতে হবে বলে চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তা আরও বেড়েছে। সেই জন্যই এই বিলম্ব বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১০০০ টাকা নিয়ে এই দেশে গেলেই হবে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে যাবেন নাকি?

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্প শুরুর সময় থেকে স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী কী কী কাজ করা দরকার তার জন্য তালিকা তৈরি করা হয়। পানাগড় থেকে পালসিট পর্যন্ত ৬৭.৫ কিলোমিটার রাস্তায় ৩২টি উড়ালপুল, আন্ডারপাস তৈরির তালিকা তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিদর্শন করে আরও ১৬টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। জট পাকায় গলসির পুরষা, ভাসাপুল, মথুরাপুর, বর্ধমানের তেজগঞ্জ ও শক্তিগড়ের আমড়া এলাকাগুলি। এই জায়গাগুলিতে বড় আন্ডারপাসের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেই দাবি আদায়ে পথ অবরোধ থেকে শুরু করে নানাভাবে আন্দোলন করেন স্হানীয়রা।

আরও পড়ুন: শিয়রে গভীর নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! মাটি হবে পুজোর বাজার?

২০২১ সালে পানাগড় থেকে পালশিট পর্যন্ত ১৩টি জায়গায় নতুন করে নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত দাবি উঠেছিল। সমীক্ষার পরে ১০টি জায়গায় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রশাসন ও সড়ক কর্তৃপক্ষ যৌথ পরিদর্শন করে স্থানীয়দের দাবি মেনে তেজগঞ্জ সহ অন্তত তিনটি জায়গাতে বড় আন্ডারপাস তৈরি করার আশ্বাস দেয়। তারপরেও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠকে ওই সব জায়গা সহ পাঁচটি গ্রামে স্থানীয়রা কাজ আটকে দিয়েছেন বলে সড়ক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ জানিয়েছে। এদিকে নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় মাঝেমধ্যেই বিশাল যানজট দেখা দিচ্ছে।

Doctors Protest: অন্ধকারে ডুবে থাকে অনেক এলাকা, নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি বর্ধমান মেডিকেলে

কলকাতা: সন্ধে নামলেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন অংশে চাপ চাপ অন্ধকার। এই অবস্থায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন জুনিয়ার ডাক্তারদের অধিকাংশই। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই অবস্থান-বিক্ষোভে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা।

তাঁরা বলছেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ, জুনিয়র ডাক্তারদের আবাসন এবং হাসপাতাল রয়েছে একটা বড় এলাকা জুড়ে। সেই চত্বরের অনেক এলাকায় সন্ধের পর অন্ধকারে ডুবে থাকে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। তাই নিরাপত্তা পরিকাঠামো জোরদার করার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা শনিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে, ওই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কর্মবিরতিতে  সামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

প্ল্যাকার্ড হাতে চলছে স্লোগান, অবস্থান বিক্ষোভ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিষেবার বেশিরভাগটাই সামাল দেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তারা অবস্থান বিক্ষোভ ও কর্ম বিরতিতে শামিল হওয়ায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

হাসপাতালের আউটডোর থেকে শুরু করে  প্রসূতি বিভাগ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেভাবে পরিষেবা মিলছে না বলে জানিয়েছেন রোগি ও তাদের আত্মীয়রা। তাদের আন্দোলনের জেরে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তবে তাদের দাবি, এমারজেন্সি পরিষেবা কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে। সেখানে যথাযথ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই রোগীর আত্মীয়দের হাতে হেনস্থা হতে হয়। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। হাসপাতালে সিসিটিভি থাকলেও তার অনেকগুলি অকেজো হয়ে গিয়েছে। সেই সব সিসিটিভি ক্যামেরা সচল করার পাশাপাশি নতুন করে আরো সিসিটিভি লাগানো হোক। বাড়ানো হোক নিরাপত্তা কর্মী। অন্ধকারে ডুবে থাকে যেসব এলাকা সেখানে আলোর ব্যবস্থা করা হোক।

আরও পড়ুন- খোসা ছাড়াতে গেলেই ভেঙে যায় ডিম? ‘এইগুলো’ করুন, নরম ডিমও গোটা হাতে পাবেন

Arnab Dam PhD from Jail: পিএইচডিতে ভর্তি সোমবার, বর্ধমানে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আনা হল অর্ণব দামকে

বর্ধমান: হুগলির সংশোধনাগার থেকে বর্ধমানে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হল প্রাক্তন মাওবাদী নেতা অর্নব দামকে। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশেষ নিরাপত্তায় বর্ধমান সংশেধনাগারে আনা হয় অর্ণব দামকে। সংশেধনাগারে ঢোকার মুখে অর্ণব বলে, “সোমবার আগে ভর্তি হই, তারপর সব কথা বলা যাবে”।

আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী! দেহ সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… জানলে আপনিও শিউরে উঠবেন

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করবেন তিনি। প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হলেও সেই পিএইচডিতে ভর্তির কাউন্সিলিং নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র  হুগলির জেলে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘কী ভাবে অর্ণব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নিয়মিত ক্লাস করবেন? সে ক্ষেত্রে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি কে বা কারা দেখবেন? দ্বিতীয়ত অর্ণবকে পিএইচডি করতে দেওয়ার বিষয়ে জেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা অনুমোদন রয়েছে কি না?” অর্ণব যেহেতু সংশোধনাগারে রয়েছেন, তাই কারা কর্তৃপক্ষের ‘নো অবজেকশন’ দরকার।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

কারা দফতর জানিয়ে দেয়, তাদের কোনও আপত্তি নেই। সেই মতো আগামিকাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সেলিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধার জন্য রবিবার অর্ণব দামকে হুগলি জেল থেকে বর্ধমান জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল। আপাতত বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশেধনাগারই হবে তার ঠিকানা। শিলদা কাণ্ডে অর্ণব দামের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর হুগলির জেলে তিনি বন্দি ছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই খুবই মেধাবী ছাত্র অর্ণব। জেল থেকেই অর্ণব স্নাতক হয়। সেখান থেকেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে। জেল থেকেই সেট পাশ করে অর্ণব। এরপর ইতিহাসে পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেয় অর্ণব। সেই মতো হুগলি সংশেধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে। প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও প্রথম হয় অর্ণব। কিন্তু কাউন্সেলিংয়ের আগে তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন ওঠে, নিজে উপস্থিত থেকে ছ’মাসের বিশেষ ক্লাস কী ভাবে করবে অর্ণব। পরে সেই জট কাট। আগামিকাল সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য ভর্তি হতে চলেছে অর্ণব।

Rathyatra 2024 interesting facts: রথে থাকেন না জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, বর্ধমানে আজও বিখ্যাত রাজবাড়ির রাজা-রানির রথ

বর্ধমান: রাজবাড়ির ঐতিহ্য মেনে টান পড়লো রথের রশিতে। আগে রথযাত্রা উপলক্ষে বিশাল ধূমধাম হতো বর্ধমান রাজবাড়িতে। রথ দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমাতেন সাধারণ মানুষ। অনেক বড় মেলা বসত। বিক্রি হত জিলিপি, পাঁপড় ভাজা, সাজানো থাকত বাঁশি, পুতুল। বিক্রি হত বাঁশের ঝুড়ি-সহ গৃহস্হালীর প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রী। সেই আমল আর নেই, নেই সেই জাঁকজমক। তবে প্রথা মেনে আজও টানা হয় রাজা-রানির রথ।

আরও পড়ুন: বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ঈশান কিসান, ফাঁস করলেন কেন বিরতি নিয়েছিলেন

বর্ধমান রাজবাড়িতে দু’টি রথের দড়িতে টান দেওয়া হয়। এখানের রথের বিশেষত্ব রয়েছে। রথের মধ্যে থাকেন না জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা। নেই তাঁদের মামার বাড়িও। দু’টি রথের একটি পিতলের তৈরি, অপরটি কাঠের। পিতলের রথ রাজার রথ নামেই পরিচিত। অন্যদিকে কাঠের রথটি রানির রথ ছিল। তবে দু’টি রথেই দেখতে পাওয়া যায় না জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে। পরিবর্তে একটি রথে থাকেন লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ ও অন্য রথে থাকেন রাজবাড়ির কুলদেবতা গোপাল জিউ।

রাজার পিতলের রথটি বাইরে টানা হয়। অন্যদিকে রানির কাঠের রথটি মন্দিরের ভিতরেই টানা হয়। তবে যেহেতু জগন্নাথ দেব নেই, তাই নেই কোনও মামার বাড়িও। ফলে সারাদিন এক জায়গাতেই রথকে রাখা হয় । সেই রথের দড়িতে টান দেওয়ার জন্য বাইরের মানুষজন ভিড় জমান।

বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেট। সেখান থেকে সোজা দু কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ির উত্তর ফটক। তার পাশেই বড়বাজার সোনাপট্টি। সেখানেই আছে বিশাল লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির। সংস্কারের অভাবে এই মন্দির এখন ভগ্নপ্রায়। বর্ধমান রাজবাড়ির দু’টি রথ এই মন্দিরেই টানা হয়।

প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে রাজবাড়ির ঐতিহ্য মেনে এই রথযাত্রা হয়ে আসছে। সারা বছর এই মন্দিরেই রাখা থাকে এই রথদু’টি। প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, আগে দুটি রথই অনেক উঁচু ছিল। সংস্কারের অভাবে তা ছোট হয়ে গিয়েছে। আজ সেই জাঁকজমক না থাকলেও নিষ্ঠা বজায় রয়েছে পুরোমাত্রায়।

West Bengal news: চোখের সামনে টাকা ডবল! বর্ধমানে পুলিশের জালে প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডা

বর্ধমান: পাঁচশো টাকার একটা নোট দিলেই মিলছিল হাজার টাকা। পাঁচ হাজারে দেওয়া হচ্ছিল দশ হাজার। লোভে পড়ে কেউ দিয়েছিলেন এক লাখ টাকাও। সেই টাকা নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল প্রতারকরা। সেই চক্রকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। এই ঘটনায় বর্ধমানে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

টাকা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ করে দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন বেশ কিছু মানুষকে প্রতারণা করার পর শনিবার বর্ধমান থানার পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডা। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম গোপাল সিং, বাড়ি বর্ধমান শহরের কালনা রোডের খালাসিপাড়া এলাকায়। অন্য জনের নাম সীতারাম পোরেল, বাড়ি রায়না থানার মুক্তার পাড়া এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ক্যানের দুধ কিনলে দিতে হবে জিএসটি! কিসের খরচ কমল, কিসের বাড়ল, বললেন অর্থমন্ত্রী

শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বর্ধমান শহরের অনিতা সিনেমা গলির ভিতরে একটি হোটেলের তিন তলার একটি ঘর থেকে প্রতারণা চক্রের এই দুই পাণ্ডাকে আটক করে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের ঘরে প্রতারকদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি আয়োডিন এবং হাইপো কেমিকেলের শিশি, পাঁচশো টাকার নোটের সাইজের কালো কাগজের বান্ডিল, প্রচুর সাদা কাগজ, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, সুতলি দড়ি-সহ আরও বেশি কিছু জিনিষ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। জানা গিয়েছে, ধৃত গোপাল সিং বছর খানেক আগেও খাগড়াগড়, মাঠপাড়া এলাকা থেকে টাকা জাল করার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল।

প্রথমে নাকি সত্যিই ডবল টাকা দিত প্রতারকেরা। লোভে পড়ে অনেকেই আনতেন অনেক বেশি টাকা। তখনই সেই টাকার বদলে ভুয়ো বান্ডিল ধরিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। গত বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের কাছে এই অভিযোগ আসছিল। এরপর পুলিশ জাল বিছানো শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে দুই দুষ্কৃতী। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ।

Viral news: ডিজে বাজিয়ে নেচে শতায়ু বৃদ্ধার শেষযাত্রায় শামিল পরিবার, অবাক স্থানীয়রা

বর্ধমান: ফুলমালায় সুসজ্জিত খাটিয়া। সামনে গমগম করে বাজছে ডিজে বক্স। এই গরম উপেক্ষা করে গানের তালে নাচছেন অনেকে। কোনও আনন্দ অনুষ্ঠানের মনে করে ঘর ছেড়ে বাইরে রাস্তায় এসে ভিড় করেছেন বহু মানুষ। শোভাযাত্রা দেখে অবাক তাঁরা। কেউ কল্পনা করতে পারেননি শ্মশাণযাত্রায় এমন অভিনব আয়োজন হতে পারে ভেবে। শুক্রবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর।

আরও পড়ুন: গরম থেকে অবশেষে স্বস্তির খবর, বর্ষা ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে, দিনক্ষণ জানাল হাওয়া অফিস

শতায়ু বৃদ্ধার মৃত্যুতে রীতিমতো শোভাযাত্রা করে সৎকার করতে নিয়ে গেলেন নাতি-পুতিরা। জামালপুরের হুসুমপুর গ্রামের বাপন মুর্ম জানান, ঠাকুমার বয়স একশো পার হয়ে গিয়েছিল কবেই, অসুস্থ ঠাকুমা আকারেও ছোট হয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে নাতিরা সকলে মিলে এমনই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছেন। বৃদ্ধা সম্বরি মুর্মুর দেহ সুসজ্জিত খাটিয়ায় করে জামালপুর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করা হয় এদিন।

জামালপুরের বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, আমরা ভেবেছিলাম কোনও পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। এত আনন্দ উল্লাস দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম, ভেবেছিলাম কোনও দেব-দেবীর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেখি তা নয়, এটি আসলে শবদেহ নিয়ে শেষযাত্রা। অনেক জায়গায় এমনটি হয়েছে শুনেছি। এখানে এই প্রথম দেখলাম।
অনেকে আবার ভেবেছিলেন, বিয়ে করে বউ নিয়ে কেউ বাড়ি ফিরছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে বরকনে নিয়ে বাজনা বাজানোর চলও অনেক বছরের, তেমনই হচ্ছে ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু শবদেহ নিয়ে এমন ডিজে বাজানো ও সেইসঙ্গে নাচ দেখে হাঁ হয়ে যান তাঁরা।

মৃতার নাতিরা বললেন, “ঠাকুমাকে অনেক দিন কাছে পেয়েছি আমরা। আমাদের মনে আর কোনও অতৃপ্তি নেই। সকলকেই একদিন যেতে হয়। ঠাকুমা নাতিপুতিদের মুখ দেখে গেলেন। এখন অনেকে নানা রোগে, দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। ঠাকুমা বয়সজনিত অসুস্থতায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে আমাদের কোনও দুঃখ নেই”। তাই নাতিপুতিরা ডিজে বাজিয়ে আনন্দ করতে করতে তাঁর শেষযাত্রায় অংশ নিলেন।

Bardhaman heatwave: দাবদাহে পুড়ছে বর্ধমান, বৃষ্টি আসবে কবে? জানতে উদগ্রীব বাসিন্দারা

বর্ধমান: দাবদাহ অব্যাহত বর্ধমানে। সাত দিনেরও বেশি সয়ম বৃষ্টির দেখা নেই। দুপুর হলেই গরম হলকা হাওয়া বইছে। তার উপর অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ঘেমেনেয়ে অস্থির মানুষ চাতক পাখির মতো সকলে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির জন্য।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার সময়ের আগে বর্ষা ঢুকেছে রাজ্যে। কিন্তু দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে মৌসুমী বায়ু থমকে রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেজন্যই বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়। তবে বর্ধমানে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। অস্বস্তিকর গরম সহ্য করা অনেকের কাছেই দায় হয়ে উঠেছে। সকলেই জানতে চাইছেন, বৃষ্টির জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: বড় বিপর্যয়, বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

মঙ্গলকোটে বজ্রপাতে মৃত্যু হল একই গ্রামের দুই ব্যক্তির। মৃত অজিত ঘোষ (৫০) এবং বিজয় ঘোষের (৫১) বাড়ি কৈচর  গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইডাঙ্গা গ্রামে। প্রতিবেশী সৌরভ ঘোষ জানান, সন্ধ্যাবেলায় মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় আচমকাই মাঠের মধ্যেই বজ্রপাতের কবলে পড়ে দু’জনে প্রাণ হারান। উপস্থিত আরও তিনজন ছিল প্রাণে বেঁচে যায়। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।