এই সবুজ পাতা আমাদের জীবনে অমৃতসমান, জীবনধারণের জন্যেও সমান উপকারী। এই শাকটি কলম্বি বা কলমি শাক নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদে এই শাকটির উল্লেখ করে এর অনেক উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রিয়াঙ্কা সিং লোকাল নিউজ18-এর সঙ্গে আলোচনাকালে জানান, যে কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। চোখের রোগ, শ্বাসকষ্ট, কাশি, পাইলস, মূত্রাশয়ের পাথর, দাদ, চুলকানি, নানান সংক্রামক রোগ, ফোলা ভাব, দুর্বলতা, পেটের সমস্যা ইত্যাদি যাবতীয় রোগ দূর করতে এটি সফল। এটি ২ চামচ বেগুন পাতার রসের সঙ্গে ২ চামচ কলমি পাতার রস মিশিয়ে খেতে হয়, এতে পেটে বিষের প্রভাব কমে যায়।কলমির শাক শরীরের জন্য অমৃতের মতো বিবেচিত হয়। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়। এই উপকারী উপাদানগুলি গুরুতর রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।অনেক বাড়িতেই কলমির সবুজ পাতা ভেজে বা সবজিতে দিয়ে বা শাক হিসেবে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এর শাক খুব সুস্বাদু হয়। এটি অনেকে খাবারে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এর পাতার ক্বাথও ব্যবহার করা হয়। এই পাতার রস বানিয়ে ৫-১০ মিলি রস পরিমাণ পান করলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এছাড়াও কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে যা, এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যে সকল মহিলাদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন ঋতুস্রাবের সমস্যা, সেটিও কলমি শাক খেলে দূর হয়ে যাবে।এটির এখনও পর্যন্ত নিবন্ধিত কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যাঁরা কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ বয়স ও রোগ অনুযায়ী সঠিক ডোজ শুধুমাত্র একজন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞই জানেন।Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
