পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে? গরমের সারাদিন অফিস কিংবা বাড়ির কাজের পরে হোক কিংবা শীত বা অন্যান্য সময়ে ধারে-পাশে পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে আসার প্ল্যান করেন সকলে। সবুজে ঘেরা গ্রাম্য পরিবেশে কিছুটা সময় কাটান প্রিয়জনদের সঙ্গে।
শুধু তাই নয় জানতে পারবেন ইতিহাসের খুঁটিনাটিও। আট থেকে আশি সকলেরই প্রিয় ডেসটিনেশন এই জায়গা। একদিকে শান্ত শীতল গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটবে, অন্যদিকে জানতে পারবেন আজ থেকে কয়েকশো বছর আগের নানা ইতিহাস। আপনার ধারে কাছেই রয়েছে এমনই কিছু ইতিহাসের নিদর্শন যা বিকেলের আউটিংয়ের জন্য একদম পারফেক্ট জায়গা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার দাঁতনে রয়েছে এমনই বেশ কিছু ইতিহাসের নিদর্শন। যার মধ্যে অন্যতম মোগলমারী। যা ঘুরে দেখলে আপনার মন ভরবে। বাড়ির কাজের পর কিংবা অফিসে ছুটির পর সূর্য পশ্চিমে গড়ালে পরিবার পরিজন বন্ধুকে বা প্রিয়জনদের নিয়ে অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন। কিংবা একদিনের ছুটি নিয়েও ঘুরে দেখতে পারেন এই ইতিহাসক্ষেত্র।
বেশ কয়েকশো বছরের পুরনো মোগলমারী বৌদ্ধ বিহার। যার বেশ কিছুটা অংশ খননে উদঘাটিত হয়েছে। এখনও হয়তমাটির নীচে এই স্থাপত্যের অনেকাংশই থাকলেও বাইরে পর্যটকদের জন্য সাজানো হয়েছে বৌদ্ধ বিহারটিকে।
এছাড়াও এই বৌদ্ধ বিহার খননে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র, পাথর-সহ একাধিক জিনিস সাজানো রয়েছে সুসজ্জিত মিউজিয়ামে। শুধু তাই নয়, এখানে এলে দেখতে পাবেন প্রাচীন দিনে দেওয়ালে তৈরি বিভিন্ন স্ট্রাকো মূর্তি, চুন সুরকির দেওয়ালে নানান কারুকার্য-সহ ইতিহাসের নানা নিদর্শন। বিশালাকার জায়গায় রয়েছে সামান্য উদঘাটিত ইতিহাস ক্ষেত্র। এখনও মাটির তলায় বেশ কিছুটা অংশ চাপা পড়ে রয়েছে বলে অনুমান ইতিহাসবিদদের।
আরও পড়ুন: রাজভবনে ঢুকতে পারলেন না শুভেন্দু! রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের
তবে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত ব্যবহার্য নানান জিনিস, পাথর, বিভিন্ন মূর্তি এবং পাশেই দেওয়ালে আঁকা বিভিন্ন মূর্তি আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর ইতিহাসের অতীতে। খড়্গপুর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে দাঁতন থানার অধীন এই জায়গা। খড়্গপুর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে দাঁতনের দিকে এগোলেই পড়বে এই ইতিহাস ক্ষেত্র। যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত সুলভ। তাই পরিবার পরিজনদের নিয়ে একদিন ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা।
রঞ্জন চন্দ