Tag Archives: Travel Destination

New Travel Destination: গরমে কাহিল? খুব কম খরচে ক’দিন ঘুরে আসুন বেতের জঙ্গলে, নিরিবিলি-ঠান্ডায় প্রাণ জুড়িয়ে যাবে

শহরের তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে উঠেছেন। এই ক্লান্তি কাটানোর সেরা উপায় হল কোথাও গিয়ে ঘুরে আসা। ঘোরার কথা মনে হলেই প্রথমে মনে আসবে সবুজ ঘেরা পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়ার কথা। তা হলে আর দেরি না করে শান্ত, নিরিবিলি প্রকৃতি মাঝে মহানন্দা অভয়ারণ্যের মাথার উপর ছোট পাহাড়ি গ্রামের ঘুরে আসুন।
শহরের তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে উঠেছেন। এই ক্লান্তি কাটানোর সেরা উপায় হল কোথাও গিয়ে ঘুরে আসা। ঘোরার কথা মনে হলেই প্রথমে মনে আসবে সবুজ ঘেরা পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়ার কথা। তা হলে আর দেরি না করে শান্ত, নিরিবিলি প্রকৃতি মাঝে মহানন্দা অভয়ারণ্যের মাথার উপর ছোট পাহাড়ি গ্রামের ঘুরে আসুন।
প্রকৃতির টানে সবুজ ঘেরা পরিবেশের মধ্যে দু-একদিন ছুটি কাটানোর আর্দশ স্থান এই ছোট পাহাড়ি গ্রাম। থাকার জন্য রয়েছে একাধিক হোমস্টে। ৪২০০ ফুট গড় উচ্চতায় এই গ্রামের নাম লাটপাঞ্চার।
প্রকৃতির টানে সবুজ ঘেরা পরিবেশের মধ্যে দু-একদিন ছুটি কাটানোর আর্দশ স্থান এই ছোট পাহাড়ি গ্রাম। থাকার জন্য রয়েছে একাধিক হোমস্টে। ৪২০০ ফুট গড় উচ্চতায় এই গ্রামের নাম লাটপাঞ্চার।
পাহাড়ি গ্রাম লাটপাঞ্চার গেলেই আপনার পাখি দেখার শখপূরণ হয়ে যাবে। মহানন্দা অভয়ারণ্যের ঠিক উপরে লাটপাঞ্চার। এখানে দেখা মেলে হরেক রকম হিমালয়ান পাখির। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি ভালবাসলে একবার আসা দরকার লাটপাঞ্চারে।
পাহাড়ি গ্রাম লাটপাঞ্চার গেলেই আপনার পাখি দেখার শখপূরণ হয়ে যাবে। মহানন্দা অভয়ারণ্যের ঠিক উপরে লাটপাঞ্চার। এখানে দেখা মেলে হরেক রকম হিমালয়ান পাখির। ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি ভালবাসলে একবার আসা দরকার লাটপাঞ্চারে।
লেপচা ভাষায় ‘লাট’ অর্থ বেত এবং ‘পাঞ্চার’ অর্থ জঙ্গল। জঙ্গলে ঘেরা শান্ত, নিরিবিলি গ্রাম লাটপাঞ্চার। দুটো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বিস্তীর্ণ তরাই সমতল। উপর থেকে দেখা যায় তিস্তার এঁকে-বেঁকে বয়ে চলা। আর দেখা যায় পাইন, সিঙ্কোনার জঙ্গল। লাটপাঞ্চার একটি নেপালি গ্রাম। খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এমনকী রাস্তাঘাটও সুন্দর।
লেপচা ভাষায় ‘লাট’ অর্থ বেত এবং ‘পাঞ্চার’ অর্থ জঙ্গল। জঙ্গলে ঘেরা শান্ত, নিরিবিলি গ্রাম লাটপাঞ্চার। দুটো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বিস্তীর্ণ তরাই সমতল। উপর থেকে দেখা যায় তিস্তার এঁকে-বেঁকে বয়ে চলা। আর দেখা যায় পাইন, সিঙ্কোনার জঙ্গল। লাটপাঞ্চার একটি নেপালি গ্রাম। খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এমনকী রাস্তাঘাটও সুন্দর।
লাটপাঞ্চারের জঙ্গলে ২৪০ প্রজাতির পাখি এবং ৩৬ প্রকারের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। লাটপাঞ্চার থেকে দু’কিলোমিটার দূরে রয়েছে সানসেরিদাঁড়া ভিউ পয়েন্ট। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে দেখা যায় তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা।
লাটপাঞ্চারের জঙ্গলে ২৪০ প্রজাতির পাখি এবং ৩৬ প্রকারের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। লাটপাঞ্চার থেকে দু’কিলোমিটার দূরে রয়েছে সানসেরিদাঁড়া ভিউ পয়েন্ট। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে দেখা যায় তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা।
লাটপাঞ্চার থেকে ঘুরে নিতে পারেন অহলদাড়া, লাটকুঠি, পাঁচপোখরি, সামসারিদাঁড়া, লেপচা মনাস্ট্রি ইত্যাদি। দু’দিনের অবসর যাপনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন লাটপাঞ্চার। শিলিগুড়ি থেকে সেবক রোড ধরে কালিম্পং যাওয়ার পথে কালিঝোড়া থেকে বাম দিকে বেঁকে গেলেই মেলে লাটপাঞ্চারের রাস্তা।
লাটপাঞ্চার থেকে ঘুরে নিতে পারেন অহলদাড়া, লাটকুঠি, পাঁচপোখরি, সামসারিদাঁড়া, লেপচা মনাস্ট্রি ইত্যাদি। দু’দিনের অবসর যাপনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন লাটপাঞ্চার। শিলিগুড়ি থেকে সেবক রোড ধরে কালিম্পং যাওয়ার পথে কালিঝোড়া থেকে বাম দিকে বেঁকে গেলেই মেলে লাটপাঞ্চারের রাস্তা।
লাটপাঞ্চারের ঘুরতে এসে হাওড়া থেকে বাণীব্রত দাস বলেন, 'এই অসহ্য গরমে এত সুন্দর জায়গায় আসতে পেরে দারুণ লাগছে। শহরের পলিউশন থেকে আমরা এখনও অনেকটাই দূরে পরিবারের সঙ্গে দারুণ মজা করছি। এখানে বিশুদ্ধ বাতাসে সত্যি প্রাণ ভরে যায়।'
লাটপাঞ্চারের ঘুরতে এসে হাওড়া থেকে বাণীব্রত দাস বলেন, ‘এই অসহ্য গরমে এত সুন্দর জায়গায় আসতে পেরে দারুণ লাগছে। শহরের পলিউশন থেকে আমরা এখনও অনেকটাই দূরে পরিবারের সঙ্গে দারুণ মজা করছি। এখানে বিশুদ্ধ বাতাসে সত্যি প্রাণ ভরে যায়।’
লাটপাঞ্চার গ্রামে ঢোকার মুখেই পরে একটি রক ক্লাইম্বিং সেন্টার। এখানে শিলিগুড়ি থেকেও রকক্লাইম্বিং করতে আসেন পড়ুয়ারা। সেখানেই বছর ৫০-এর এক মহিলা জয়া বোস প্রকৃতির মজা লোকে নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন জায়গাটি এত সুন্দর যে এখানে দারুণ সময় কাটছে। দেরি না করে গরমের ছুটিতে কোথাও যদি যাবেন বলে ভাবছেন তবে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে। (রিপোর্টার-- অনির্বাণ রায়)
লাটপাঞ্চার গ্রামে ঢোকার মুখেই পরে একটি রক ক্লাইম্বিং সেন্টার। এখানে শিলিগুড়ি থেকেও রকক্লাইম্বিং করতে আসেন পড়ুয়ারা। সেখানেই বছর ৫০-এর এক মহিলা জয়া বোস প্রকৃতির মজা লোকে নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন জায়গাটি এত সুন্দর যে এখানে দারুণ সময় কাটছে। দেরি না করে গরমের ছুটিতে কোথাও যদি যাবেন বলে ভাবছেন তবে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রামে। (রিপোর্টার– অনির্বাণ রায়)

Travel Destination: কলকাতার কাছেই এক টুকরো ইউরোপ! অল্প খরচে ঘুরে আসুন এই গ্রাম থেকে

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যের এক নিদর্শন ধান্যকুড়িয়া গায়েন গার্ডেন। ধান্যকুড়িয়া! বলা যেতে পারে এটি বসিরহাটের ইতিহাসের একটি খনি। ধান্যকুড়িয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিদর্শন করলে পরতে পরতে চোখে পড়বে ঐতিহাসিক নিদর্শন, যার মধ্যে অন্যতম ধান্যকুড়িয়ার এই গায়েন গার্ডেন। বারাসাত থেকে বসিরহাটগামী টাকি রোডের পাশে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সুবিশাল ফটক। সেই ফটকের তার দু’দিকে বৃত্তাকার দুটি স্তম্ভ। তার মাঝে ধনুকাকৃতি ঝুলন্ত ছাদ।

মাথায় পাথরে খোদাই করা একটি মূর্তি। সেই মূর্তিতে ছোরা দিয়ে সিংহ বধ করছেন এক ইংরেজ সাহেব। আর এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই প্রকাণ্ড এক রাজবাড়ি। রাজবাড়ির থেকে তাকে দুর্গ বলাই শ্রেয়। যা আজও ধান্যকুড়িয়ার প্রাচীন ইতিহাসের ঐশ্বর্যের প্রমাণ দেয়। বসিরহাটের নিকটবর্তী ছোট্ট জনপদ ধান্যকুড়িয়া। সেখানে গেলেই দেখা মিলবে এই আশ্চর্য স্থাপত্যের। ধান্যকুড়িয়ায় গায়েন, সাউ ও বল্লভ রাজবাড়ির মধ্যে গায়েনদের এই বাগানবাড়ি অন্যতম। যার প্রতি দেওয়ালের ইটের পাঁজরে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।

আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগের কথা। ধান্যকুড়িয়ার এই সুবিশাল এই রাজবাড়ি বানিয়েছিলেন জমিদার মহেন্দ্রনাথ গায়েন। সে সময় ধান্যকুড়িয়ার জমিদারের পাটের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল। ইংরেজদের সঙ্গেই চলত তাঁর ব্যবসা, সেই সুবাদেই উত্তর ২৪ পরগনার এই প্রান্তিক অঞ্চলেও নিত্যদিন লেগে থাকত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবদের আনাগোনা। তাঁদের বিলিতি সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে উস্কে দিতেই ইউরোপীয় দুর্গের আদলে এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন মহেন্দ্রনাথ। ইন্দো-ইউরোপীয় মিশ্র আঙ্গিকের সুদৃশ্য এই প্রাসাদটি এখনও সকলকে অবাক করে। এই বাগান বাড়িতে জমিদার ও তাঁদের ব্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল।

আরও পড়ুন : পড়বে বাজ! আগামী ২ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে এই জেলাগুলিতে! দিনের শেষে কলকাতাও কি ভিজবে স্বস্তির বর্ষণে? জানুন বড় আপডেট

প্রাচীন ইতিহাসের এই ধান্যকুড়িয়াকে ইতিমধ্যে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার গায়েন গার্ডেন-সহ ধান্যকুড়িয়াকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানালেন, দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার ডিরেক্টর এটিএম আব্দুল্লাহ রনি। ৩৩ বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই রাজবাড়ির মধ্যেই রয়েছে আস্ত এক পুস্করিণী, যাতে দূর থেকে রাজবাড়ির প্রতিচ্ছবি ঝলমল করে সারাদিন। গোটা দুর্গকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল এই বাগান।

Offbeat Destination: ‘এই’ গ্রামে একবার গেলেই আর ফিরতে ইচ্ছা করবে না, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ, কোথায় জানেন?

হাওড়া: শহুরে একঘেয়ে যান্ত্রিক জীবন থেকে ক্ষণিকের জন্যে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। নৈসগিক পরিবেশ মুহূর্তে ভুলিয়ে দেয় যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি। এমনই এক জায়গার সন্ধান দেব আজ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে হাওড়ার উদয়নারায়নপুর ব্লকের শিবপুর গ্রামে। ব্যানার্জী পরিবারের প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এক অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

ব্যানার্জী পরিবারের ছেলে মানস ব্যানার্জী-সহ ভাইয়েরা মিলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলেন কুঁড়ে ঘর, দোলনা, চারিদিকে সজ্জিত বিভিন্ন ধরণের গাছপালা, রয়েছে পুকুরও। এখানে এলে অকৃত্রিম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই পাশাপাশি শোনা যায়, একতারা, দোতারা, আনন্দ লহরীর সুর। এছাড়া শোনা যায় লোকগানের সুরও। যার টানে হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ মানুষ ছুটে আসে এখানে।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

শহুরে জীবনের ক্লান্তি থেকে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে সবাই প্রকৃতির কাছে ছুটতে চায়। মানুষকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য আয়োজনেরও খামতি নেই এখানে। এর একপাশে যেমন খেলার মাঠ, মাছ ধরার পুকুর। সারাক্ষণ পাখির কিচিরমিচির শব্দ মনকে ভুলিয়ে রাখবে যে কাউকে।এককথায় যারা গ্রাম, গ্রামের মানুষ, প্রকৃতি পছন্দ করেন। তারা একবার ঘুরতে আসতে পারেন শিবপুর গ্রামের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

কর্মব্যস্ত জীবনে রিফ্রেশমেন্ট ভীষণ জরুরী। আর তার জন্য যে আকর্ষণীয় কোনও পর্যটন স্পটে যেতে হবে এমনটা জরুরী নয়। মনের খোরাক জোগাড় করতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিকট সবুজের সমারোহ মনোমুগ্ধকর হবে নি:সন্দেহে। সেক্ষেত্রে সবুজ প্রকৃতিকে নিবিড়ভাবে উপভোগ করতে গ্রামের সবুজে ঘেরা জায়গা নানাদিক থেকে আকর্ষণীয়। সবুজ শ্যামল, ছায়া ঢাকা, পাখি ঢাকা, শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। এখানে পথিকের হাঁটার ক্লান্তি দূর হতে পারে ঘাসের সবুজ গালিচার পরশে। যেন কল্পনার চিত্রগুলো রঙতুলিতে ফুঁটিয়ে তোলা।

রাকেশ মাইতি

Travel Tips: শহর থেকে দূরে হারাতে চান! রইল চোখ জোড়ানো এক পাহাড়ি গ্রামের ঠিকানা

ঘুরে আসুন পাহাড়ি গ্রাম অহলদারায়। সেখানকার ভিউ পয়েন্টে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখে মন ভরে যাবে।

Travel: চা বাগান-পাইন বন আর কাঞ্চনজঙ্ঘা! প্রেমের সপ্তাহে এই গ্রাম মন ভাল করে দেবে, যাবেন নাকি?

কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়, সবুজ প্রকৃতি আর নিস্তব্ধতার মেলবন্ধন বাগোরা গ্রাম । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফিটের বেশি উচ্চতায় এই গ্রামটি। ভ্যালেন্টাইনস ডে তে সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর সেরা জায়গা হতে পারে এই গ্রাম।
কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়, সবুজ প্রকৃতি আর নিস্তব্ধতার মেলবন্ধন বাগোরা গ্রাম । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাত হাজার ফিটের বেশি উচ্চতায় এই গ্রামটি। ভ্যালেন্টাইনস ডে তে সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর সেরা জায়গা হতে পারে এই গ্রাম।
রাস্তার দুপাশে চা বাগান। যত গ্রামের দিকে এগোবে দেখবেন পাইন গাছের বন। মন ভালো হয়ে যাবে। কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১৭ কিমি দূরে বাগোরা।
রাস্তার দুপাশে চা বাগান। যত গ্রামের দিকে এগোবে দেখবেন পাইন গাছের বন। মন ভালো হয়ে যাবে। কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১৭ কিমি দূরে বাগোরা।
এই গ্রামে পাহাড়ি সবুজে ঘেরা রাস্তা দিয়ে, শান্ত পরিবেশ হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে সবসময়। দেখেই মনে হবে শহরের ইটকাঠ, বালির জগত থেকে অনেকটাই রূপকথার দেশে এসে পড়েছেন।
এই গ্রামে পাহাড়ি সবুজে ঘেরা রাস্তা দিয়ে, শান্ত পরিবেশ হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে সবসময়। দেখেই মনে হবে শহরের ইটকাঠ, বালির জগত থেকে অনেকটাই রূপকথার দেশে এসে পড়েছেন।
ভাগ্য ভালো থাকলে হোমস্টের জানালা খুললেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরবেলা চলে যান সূর্যোদয় দেখতে। সূর্যের প্রথম আলো যখন ছড়িয়ে পড়ে বাগোরার উপর সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
ভাগ্য ভালো থাকলে হোমস্টের জানালা খুললেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরবেলা চলে যান সূর্যোদয় দেখতে। সূর্যের প্রথম আলো যখন ছড়িয়ে পড়ে বাগোরার উপর সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
গ্রামের মধ্যে পায়ে চলা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। দুপাশে লম্বা গাছের সারি, কুয়াশায় মোড়া চারদিক। এখানে সরকারি একটি বন বাংলো আছে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো। একাধিক হোমস্টেও গড়ে উঠছে। তবে আগাম বুক করে তারপর যেতে হবে।
গ্রামের মধ্যে পায়ে চলা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। দুপাশে লম্বা গাছের সারি, কুয়াশায় মোড়া চারদিক। এখানে সরকারি একটি বন বাংলো আছে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো। একাধিক হোমস্টেও গড়ে উঠছে। তবে আগাম বুক করে তারপর যেতে হবে।

Travel Destination: ঐতিহ্য আর ইতিহাসের মেলবন্ধন! ছুটির আমেজে ঘুরে আসুন কোচবিহার রাজবাড়ি

কোচবিহার: কোচবিহারের রাজ আমলের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন কোচবিহার রাজবাড়ি। রাজবাড়ি হল কোচবিহারের বুকে অন্যতম বিশেষ আকর্ষণের বস্তু পর্যটকদের জন্য। নতুন বছরে একটি সুন্দর উইকএন্ড ছুটি কাটাতে ঘুরতে আসতেই পারেন এই রাজবাড়িতে। কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে এই কোচবিহার রাজবাড়ি স্থাপন করেন। এই রাজবাড়ি ইরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর ভাবাদর্শে রূপায়িত করা হয়েছে।

একটা সময় এই রাজবাড়ি ত্রিতল বিশিষ্ট থাকলেও ভূমিকপের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর এটি দ্বিতল হয়ে রয়ে গিয়েছে। এই সম্পূর্ণ রাজবাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তাই এখানে ঢুকতে হলে টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়।

এখানে প্রবেশের অফলাইনে টিকিটের বর্তমান মূল্য জন প্রতি ২৫ টাকা। এবং অনলাইনে টিকিট মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। রাজবাড়ির ভিতরে রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। রাজাদের বিভিন্ন জিনিস সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সংগ্রহশালার মধ্যে পর্যটকেরা দেখতে পারবেন রাজাদের খেলার বিলিয়ার্ড বোর্ড এবং রাজাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র। এবং সেই সময়ের বিভিন্ন জিনিস। রাজবাড়ি ভেতরের বিভিন্ন ঘর গুলিকে বর্তমানে এই মিউজিয়ামের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘর গুলির মধ্যে রাজ আমলের বিভিন্ন নকশা তৈরি করা রয়েছে।

যেগুলি জেলার মানুষেরাই শুধু নয়, পাশাপাশি জেলার বাইরের যেকোন পর্যটকদের মন খুব সহজেই আকর্ষণ করে থাকে। নতুন বছরের শুরুতে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রাজবাড়িকে। রাজবাড়ির বাগান পরিষ্কার করে লাগানো হয়েছে আকর্ষণীয় ফুলের সমস্ত গাছ।

আরও পড়়ুন, রাজ্যে আপাতত বন্ধ রেজিস্ট্রি বিয়ে, নতুন আবেদনও করা যাবে না! কতদিন বন্ধ পরিষেবা?

আরও পড়ুন,বছরের প্রথম দিনই ফের রক্তাক্ত মণিপুর, নির্বিচারে গুলিতে হত ৪! ফের কারফিউ জারি

নতুন বছরে রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা তিন পর্যটক সঞ্জয় সাহা, এনসার আলি, অপর্ণা চক্রবর্তী জানান,” রাজবাড়ির সামনে রয়েছে বিশাল বড় বাগান। এই বাগানে বসে যেকোন মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারবেন সুন্দর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে করতে। সঙ্গে তুলতে পারবেন আকর্ষণীয় দারুণ দারুণ সমস্ত সেলফি। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ নজর আকর্ষণ করবে সকলকে। নতুন বছরের শুরুতে ছুটির আমেজে যেকোন মানুষের এই রাজবাড়ি ঘুরতে আসলে ভাল লাগবে নিশ্চিত।”

নতুন বছরে পরিবারের সাথে ঘুরতে আসতে চাইলে আপনার প্ল্যান লিস্টে অবশ্যই রাখতেই পারেন এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়িকে। ছোট থেকে বড় সকলের জন্য একটি দারুণ আকর্ষণীয় ঘুরতে আসার জায়গা কোচবিহার রাজবাড়ি।

Sarthak Pandit

Travel Destination : আনন্দে মশগুল মাইথন! বছর শেষে লক্ষীলাভের আশা মাইথনের ব্যবসায়ী, নৌকা চালকরা

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : বছর শেষের আনন্দে মশগুল পর্যটকরা। পিকনিক করতে পর্যটকদের ভিড় মাইথন জলাধারে। ২৫ ডিসেম্বর থেকেই মাইথনে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় শুরু হয়। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। আসানসোল, দুর্গাপুর, কলকাতা ছাড়া পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে অনেকে এই জায়গায় পিকনিক করতে আসছেন। পিকনিকের আনন্দ আকণ্ঠ পান করে নিচ্ছেন পর্যটকরা।

পর্যটকদের আগমনে বেজায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং নৌকা চালকরা। কারণ মাইথনে পর্যটকদের ঢল নামলে তাদের লক্ষী লাভ হয়। নৌকা চালকরা বলছেন, সারা বছর অল্প রোজগার হলেও, পিকনিকের এই সময়ের জন্য তারা সারা বছর অপেক্ষা করেন। মাইথনে এসে বহু পর্যটক নৌকা বিহারেবেরিয়ে পড়েন। যা মাইথনের অন্যতম আকর্ষণ। আর তার ফলে লক্ষী লাভ হয় নৌকা চালকদের।

আরও পড়ুন : অজয় নদীর তীরে কম খরচে পিকনিক করতে চান? জঙ্গলের মাঝে ঘুরে আসুন ‘দেউল’ পার্ক থেকে

মাইথনে এসে খুশি পর্যটকরাও। কারণ তারা এখানে এসে পিকনিকের যেমন আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন, তেমনভাবেই উপভোগ করতে পারছেন প্রকৃতিকে। পাশাপাশি এখানে পিকনিক করার জন্য সব রকমের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। রয়েছে প্রশাসনিক সহযোগিতা। দেদার খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি রয়েছে নৌকা বিহারের আনন্দ। নৌকা করে মাইথন জলাধারের মাঝে অবস্থিত সবুজ দ্বীপ যাওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করেন না পর্যটকরা।

আরও পড়ুন : পিকনিক করতে দেউল যাবেন? তার আগে জেনে রাখুন এই অজানা তথ্যগুলি

সব মিলিয়ে বছর শেষ আর নতুন বছরের আগমনের এই পর্যায়ে চঞ্চল হয়ে উঠেছে মাইথন জলাধারের পরিবেশ। পর্যটকদের মধ্যেই দেবী লক্ষ্মীর রুপ দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং নৌকা চালকরা। অন্যদিকে পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাইথন জলাধার।

নয়ন ঘোষ

Travel Destination: রোজকার চাপ থেকে দু’দিনের মুক্তি চান? একবার ঢুঁ মেরে আসুন ডুয়ার্সের ‘এই’ জায়গায়

জলপাইগুড়ি: পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের প্রিয় জায়গা হল ডুয়ার্স। ডুয়ার্সে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঘন জঙ্গল, পাহাড় নদী পর্যটকদের বেশি আকৃষ্ট করে। ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে এমনই একটি প্রিয় জায়গা হল দলগাঁও ভিউ পয়েন্ট।

শহরের কোলাহল, কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে একান্ত নিরিবিলিতে সময় কাটাতে হলে আসতেই পারেন দলগাঁও ভিউ পয়েন্টে। ডুয়ার্সের চাপড়ামারি জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করে এগিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন এখানে।

আরও পড়ুন-         সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা, আবহাওয়ার বিরাট বদল বাংলায়

আরও পড়ুন-         বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন

এখানকার নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ আপনাকে আকৃষ্ট করবেই। দলগাঁও ভিউ পয়েন্টে রয়েছে বসে সময় কাটানোর মত ছোট্ট একটি পার্ক, রয়েছে নজর মিনার, সেখানে দাঁড়িয়ে নীচে তাকালেই দেখা যায় চঞ্চল জলঢাকা নদী, তার পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ভুটান পাহাড় এবং ঝকঝকে আকাশ থাকলে দূরের সেই ভারত এবং চীনের সীমান্ত ডোকালাম আপনার চোখের সামনে ।

এই নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে রাত্রি যাপনের জন্যও রয়েছে কটেজ। ইচ্ছে হলেই করতে পারে পিকনিক ,তবে এখানে রান্না করার অনুমতি নেই। তাই তৈরি করা খাবার নিয়ে আসতে হবে। প্রতিবছর শীতের মরশুমে দলগাঁও ভিউ পয়েন্টে দূর দূরান্তের পর্যটকদের ঢল নামে। ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে পর্যটকদের আসার অপেক্ষায় থাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কথায়, এটি অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিরিবিলি স্থান তাই এখানে এলে মন ভাল হবেই।

সুরজিৎ দে

Travel Destination: ঘুরে আসুন বাংলার গ্রান্ড ক্যনিয়ন থেকে, কলকাতা থেকে মাত্র সাড়ে চার ঘন্টার রাস্তা

পশ্চিম মেদিনীপুর: ডিসেম্বর মানেই ঘুরতে যাবার মরশুম। নতুন নতুন ডেস্টিনেশন আর নতুন এডভেঞ্চার মন কাড়ে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির। তাই শীতের মরশুমে আপনার গন্তব্য হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার গনগনি। যেমন প্রাকৃতিক নিস্তব্ধতা তেমনি আপন গতিতে বয়ে চলা শিলাবতীর স্নিগ্ধতা মুগ্ধ করবে আপনাকে। প্রকৃতির তৈরি শিল্প বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, গনগনি। শুধু ঘুরে দেখা নয়, কটেজে থেকে রাতের প্রাকৃতিক নির্জনতা উপভোগ করতে পারবেন। শহরের কোলাহল থেকে নিজেকে একটু মুক্তি দিতে ঘুরে আসতেই পারেন গনগনি থেকে। মেদিনীপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে সবুজে ঘেরা গড়বেতা। গড়বেতা টাউনের ঠিক কাছেই রয়েছে শিলাবতী নদী। প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা গড়বেতার গনগনি। শিলাবতী নদীর প্রবাহ, স্রোত এবং দিক পরিবর্তনের ফলে ভূমিক্ষয়ের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

আপন ধারায় বয়ে চলেছে শিলাবতী। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার কোমর সমান জল। এমনিতে শান্ত নদী এই শিলাবতী। নদীর গা ঘেঁষে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকা প্রকৃতির শিল্প দেখে মনে হতে পারে , প্রাচীনকালের কোনওহারিয়ে যাওয়া সভ্যতায় এসে পড়েছি আমরা সবাই! বাঁধানো সুন্দর সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাওয়া যায় একেবারে গর্জের মধ্যে। প্রকৃতির ক্যানভাসে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট বহুদিনের ভূমিক্ষয় এর ফসল এই গনগনি। চারদিকে লাল ধুলা মাটির পাহাড়ে অসাধারণভাস্কর্য। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই খাদ যেন আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ক্ষুদ্র সংস্করণ।

আরও পড়ুন : সবুজের মাঝে পিকনিক, আছে বোটিংয়েরও ব্যবস্থা! নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন ‘এই’ পার্ক থেকে

অ্যারিজোনার বদলে গনগনি। কলোরাডোর পরিবর্তে শিলাবতী। পাথুরে পথ, রয়েছে সিঁড়িও। সেই সিঁড়ি বেয়ে বা পাথুরে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে নেমে আসা যায় নদীর এক্কেবারে কাছে। শিলাবতী নদী তার চলার পথে আশ্চর্য সুন্দর ভূমিরূপ তৈরি করেছে। কোথাও মনে হবে প্রাসাদ, কোথাও গুহা, কোথাও কোনওপ্রাণীর মুখ, কোথাও পাহাড় আরও কত কি!

আরও পড়ুন : টয়-ট্রেন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বাগান আরও কত কী, ঘুরে আসুন এই পার্ক থেকে

শীতের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হলে আসতে হবে সবুজে ঘেরা, প্রকৃতির এই শিল্প ভান্ডারে। থাকতে পারবেন কটেজে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

নির্জনতার সঙ্গে একাকীত্বে কর্মব্যস্ততার সপ্তাহে মাত্র একদিন কাটিয়ে আবার ফিরতে পারবেন নিজের কাজে।

রঞ্জন চন্দ

Travel Destination : পাথরের খাঁজে গভীর খাদ ও নীল জলশয় , ঘুরে যান পুরুলিয়ার এই জায়গা!

পুরুলিয়া : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ পুরুলিয়া জেলা। ছয় ঋতুতে ছয় রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখা যায় এই জেলায়। শহুরে কোলাহল থেকে একটু দূরে প্রকৃতির কোলে স্নিগ্ধ বাতাসের টানে সারা বছরই ভ্রমণ পিপাসু মানুষছুটে আসেন পুরুলিয়া জেলায়। সুন্দরী অযোধ্যার অন্যতম টুরিস্ট স্পট হল মার্বেল লেক। এই মার্বেললেক সম্পূর্ণভবেপ্রকৃতির দান। এর রূপ দেখে অনেকেই তুলনা করছেন আমেরিকা-কানাডা সীমান্তের ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’-এর সঙ্গে৷ তবে আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন-এর মত এত দীর্ঘ , বিস্তৃত গভীর না হলেও এ যেন তারই ক্ষুদ্র সংস্করণ৷ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই লেক পুরুলিয়ার পর্যটন মানচিত্রে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে পর্যটকরা বলেন , অযোধ্যা পাহাড়ের এই মার্বেল লেক ভীষণ সুন্দর একটি জায়গা। এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান। তাই শীতের শুরুতে তারাও অযোধ্যা সুন্দরীর এই মার্বেল লেকের আমেজ উপভোগ করতে এসেছেন। ফটো তোলার জন্য আদর্শ জায়গা এটি।

আরও পড়ুন : শীতে যেন রূপকথাক জগৎ! ঢিল ছোড়া দূরত্বে ‘হবিট হাউজ’, কী ভাবে যাবেন জানেন

অযোধ্যা হিলটপ থেকে বামনি ফলস যাওয়ার পথে ডান দিকে কিছুটা গেলেই পাহাড়ের কোলেদেখতে পাওয়া যায় এই জলাশয়। এই লেকের পোশাকি নাম মার্বেল লেক হলেও অনেকেই এই জলাশয়কে পাতাল ড্যাম , বা নীল ড্যম বলে থাকে।

আরও পড়ুন : অযোধ্যা বেড়াতে এলে আর চিন্তা নেই , মিলবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সরকারি ট্যুর গাইড!

এই লেক তৈরি হয়েছিল পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজের কারণে। পাম্প স্টোরেজের প্রোজেক্টের কাজের জন্য বিস্ফোরণ করে পাথর ভাঙতে গিয়ে সেই পাথরের খাঁজে এই লেকটি তৈরি হয়৷ গভীর খাদে নীল জলরাশি। সেই সঙ্গে পাথরের খাঁজ। তার পাশে লম্বা টানা পাহাড় ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

যা দেখে পর্যটকদের আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকেই মনে করিয়ে দেয়। তাই সারা বছরই এখানে ভিড় উপচে পড়ে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি