জলপাইগুড়ি: সাতসকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাড়ি ফেরা হল না কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আশিস দের, শোকে পাথর পরিবার। সকালে ছোট্ট মেয়ের হাতে চকলেট দিয়ে কাজে গিয়েছিলেন, বাড়ি ফেরা হল না অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ডের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। ছোট্ট মেয়ে, স্ত্রী এবং মা-কে ছেড়ে চলে গেল না ফেরার দেশে।
এ দিন আচমকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের পেছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। আর তাতেই নিজের কেবিনের মধ্যে আটকে পড়েন ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আশিস দে। আশিসের বাড়ি শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। সকাল আট’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন আশিস দে, মেয়েকে চকোলেট কিনে দিয়ে বলে যান রাতে বাড়ি ফিরব।
আরও পড়ুনঃ রেলের টিকিট কাটলেই পাবেন ১০ লক্ষ টাকার বিমা! খরচ মাত্র ৩৫ পয়সা, কীভাবে মেলে জানুন
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটির গার্ডের দায়িত্ব নিয়ে যাত্রা শুরু করেন আশিস দে। কিছু সময় পরেই আশিস দের পরিবার জানতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি ষ্টেশনের কিছু দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সকাল ন’টায় বাড়ির সদস্যরা আশিস দের মৃত্যু সংবাদ। এমন সংবাদ শোনার পরেই আশিস দের স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবার কার্যত শোকে পাথর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় ভেঙে পড়েছে গোটা শিলিগুড়ি।
কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বাড়ছে মৃতদেহ স্তূপ, আহত বহু যাত্রী। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আটের উপরে এবং আহতের সংখ্যা ৬০ বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে ঘটে যাওয়া এই রেল দূর্ঘটনায় ফিরেছে ১৯৯৯ সালের ২ অগাস্ট এই রেলপথের গাইশালে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি।