মালদহ: স্বপ্ন পূরণ হলেও বাড়ি ফেরা হল না ছয় বছরের শিশুকন্যার। বাবা মায়ের সঙ্গে পাহাড় দেখে ফেরার পথেই ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে ছয় বছরের স্নেহা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল একরত্তি মেয়ে। বর্তমানে তার বাবা ও মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের কাকু শ্যামল মন্ডল বলেন, বাবা মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল দার্জিলিং পাহাড়। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সোমবার বাড়ি ফিরছিল। বাবা মা ও মেয়ে তিনজন গুরুতর জখম হয়। অবশেষে মেয়ের আর শেষরক্ষা হল না৷
মালদহের মালতিপুর বিধানসভার খেমপুরের বাসিন্দা মহিলাল মন্ডল। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। স্ত্রী ছবি মন্ডল স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা। তাদের একমাত্র মেয়ে স্নেহা মন্ডল। ছোট্ট স্নেহা দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড় দেখার বায়না ধরেছিল বাবা মায়ের কাছে। গত সপ্তাহের শেষে ও সোমবার ছুটি থাকায় মেয়ের আবদার পূরণ করতে দার্জিলিং পাহাড় ঘুরতে যায় ওই দম্পতি। পাহাড়ে ঘুরে মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করে এদিন বাড়ি ফিরছিল ওই দম্পতি।
সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অসরক্ষিত কামড়ায় উঠেছিলেন তাঁরা। ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পথে ঘটে বিপত্তি।দূঘটনায় গুরুতর আহত হয় তিনজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ছয় বছরের শিশু স্নেহার।
মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় মেয়ের এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দম্পতি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিন ডা. সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ওই শিশুকন্যা পিকুতে ভর্তি ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। অস্ত্রোপ্রচার হয়েছিল শিশুর। এদিন ভোরে মৃত্যু হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে গোটা গ্রাম। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গ্রামে পৌঁছায়নি ছোট্ট স্নেহার মৃত্যুর খবর। ঘটনার খবর শোনার পর থেকে শোকের ছায়া গ্রাম জুড়ে।
হরষিত সিংহ