শিলিগুড়িঃ সোমবারই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তারপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা। অবশেষে ফের ছন্দে ফেরার চেষ্টায় রাঙাপানি। মঙ্গলবার সকালেই ডাউন লাইনে ট্রায়াল রান শুরু করল রেল। অন্যদিকে আপ লাইনে ওভারহেড তার সারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে লাইন সারানোর কাজ করতে গিয়ে জখম হয়েছেন ২ রেলকর্মী। দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই চলছে তাঁদের চিকিৎসা।
আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারা গেল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির সহকারী চালককে। CCRS নিজে কথা বলতে চান তাঁর সঙ্গে। দুই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। অপরদিকে, চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির নেতৃত্বে তদন্ত শুরু এনজেপি এডিআরএম দফতরে। প্রথম অবস্থায় ডাকা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার লোকো পাইলট, রাঙাপানি স্টেশন ম্যানেজার ও সহকারী স্টেশন ম্যানেজার, ৩জন গেটম্যানদের।
ঘাতক মালগাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ছিল 43616। WAG 9HC মডেলের এই locomotive গুলি তৈরি হয়েছে Banaras locomotive works এ। এই সিরিজের সমস্ত ইঞ্জিন এ রয়েছে vigilance control device। এই ব্যবস্থায় চালক ও সহকারী চালক কোনও কাজ না করলে সে ধরে নেবে চালক ও সহকারী চালক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে চালকদের সজাগ করার জন্য অ্যালার্ম বাজবে। তাতেও কাজ না হলে ট্রেনের ব্রেক নিজে থেকেই কাজ করবে এবং ফলে ট্রেন থেমে যাবে। এই ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কাজ করল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।