সুকান্ত মজুমদার

Hili-Tura Corridor: হিলি-তুরা করিডর নিয়ে এত না পাওয়া, এবার কি মিটবে? ভরসা এখন শুধুই সুকান্ত মজুমদার

দক্ষিণ দিনাজপুর: ‘হিলি- তুরা ভায়া বাংলাদেশ’ এই করিডরের দাবি দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মাত্র ১১০ কিলোমিটার একটা করিডর, আর এই করিডর আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে পূর্ব ভারতের সঙ্গে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ এমনকি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে।

জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডর নামে দুই বাংলার একটা সংগঠন ২০১৭ সাল থেকে করিডরের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছে।  এমনকি তাদের এই দাবির উপর ভিত্তি করে বিদেশ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে একাধিকবার বিভিন্ন মন্ত্রকের থেকে ছাড়পত্র মিলেছে বলে দাবি সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর নবকুমার দাসের। তবে এবারে ঘরের ছেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই জেলাবাসীর স্বপ্ন  বাস্তবায়নের চরম সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

হিলি-তুরা করিডর
হিলি-তুরা করিডর

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সেরা স্কুলের পুরস্কার’-এ সেরা ১০-এ জায়গা পেল ভারতের এই ৫ স্কুল, তালিকায় কোন কোন স্কুল জানেন?

উত্তর-পূর্বাঞ্চল দফতরের দায়িত্ব নিয়ে হিলি-তুরা করিডোরের বিষয়ে তদবির করেন। এমনকি এই দফতরের বিদায়ী মন্ত্রী বি এল বার্মার সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। জেলাবাসীর উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি হাওয়া জেলা জুড়ে। হিলি-তুরা করিডরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সুকান্তর হাত ধরেই হবে বলে আশাবাদী সকলে। সুকান্তর দাবি, এ রাজ্য থেকে মেঘালয় পৌঁছাতে যে পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় দুই দিন।

আরও পড়ুন: CAT ছাড়াই MBA! রইল ১৫ পরীক্ষার নাম-পরীক্ষার সময়-কোর্স-কলেজের খোঁজ, জানুন

 

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত করিডর চালু হলে সেই পথের দূরত্ব কমে হবে মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা। এই করিডোর চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালভাবে গড়ে উঠবে। দীর্ঘদিন ধরে হিলি থেকে মেঘালয় পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তুরা করিডর নিয়ে আন্দোলন করছেন বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী। এমনকি ২০১২ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে প্ল্যানিং কমিশনের তালিকার এক নম্বরে হিলি তুরা করিডোরের কথা উল্লিখিত হয়েছিল।

সুস্মিতা গোস্বামী