ঘটনাস্থলের ছবি তুলছেন দুই ব্যক্তি

Kanchanjunga Express: রক্তাক্ত রেললাইন এখন ‘সেলফি জোন’! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মর্মান্তিক ঘটনাস্থলই আমজনতার দর্শনীয় স্থান

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কেটেছে ৭২ ঘন্টা। তবে সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি যেন এখনও টাটকা। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে বিগত তিন দিন ধরে আলোচনায় উঠে এসেছে রাঙাপানির নাম। এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে, তা নিয়ে তদন্ত যেমন চলছে তেমনি চলছে জোর বিতর্ক। এসবের মাঝেই রাঙাপানি যেন হয়ে উঠেছে দর্শনীয় স্থান। ওই লাইন দিয়ে চলা ট্রেনের যাত্রীরা তো বটেই, আশেপাশের বাসিন্দারা এসেও দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করছেন।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রহস্যভেদ এখনও হয়নি। এর মাঝেই বৃহস্পতিবারও এলাকার পরিস্থিতি দেখতে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি সংলগ্ন নির্মলজোত এলাকায়।

খবর আগেই শুনেছিলেন তবে আসা হয়নি ইসলামপুরের তইর আলমের। তাই পাশের গ্রামের বন্ধুর বাড়িতে চলে এসেছেন। তিনি বললেন, ”আমার বন্ধুর বাড়ি এই গ্রামে। তাই, এদিন ইসলামপুর থেকে রেললাইনের ধারে দুর্ঘটনাস্থলে এসেছি। এই এলাকার চিত্র গোটা ঘটনা বলে দিচ্ছে।”

আরও পড়ুন: কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশিক্ষণ কাজ করে? কর্মসময়ের নিরিখে ভারত কোথায়? চমকে যাবেন উত্তরে!

সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে এসেছিলেন রেলের বিভিন্ন আধিকারিকরা। লাইন চালু হয়ে গেলেও মেরামতের কাজ করে চলেছেন শতাধিক রেলকর্মী। তাঁবু খাটিয়ে এলাকাতেই রয়েছেন আরপিএফ কর্মীরা। একইসঙ্গে, রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের বগিগুলি এখনও ৩ দিন আগের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। যা দেখতে ভিড় করছেন প্রচুর মানুষ। বাইরে থেকে এলাকায় এসে ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতি রুখতে আরপিএফেরতরফে সাধারণ মানুষের দুর্ঘটনাস্থলে অবাধ বিচরণ বন্ধ করা হয়েছে।

একদিকে, বাঁশ দিয়ে রেললাইনের পাশের অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্ত বগি এবং রেলের ধ্বংসাবশেষ সবুজ কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও, দুর্ঘটনাস্থলের ট্র্যাকের সমস্যা পুরোপুরি সারানো যায়নি। ভাঙা স্লিপারের পাটাতন বদলানো হচ্ছে। সেই কারণে দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন অনেকটা পথে ট্রেন একেবারে মন্থর গতিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।এদিন যাত্রীদেরও কামরার ভিতর থেকে এদিনও এলাকায় ভিডিও, ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গিয়েছে।

অনির্বাণ রায়