চুঁচুড়া শ্মশান ঘাটের ছবি

Cremation Problem: একসঙ্গে চুল্লি ও মৃতদেহ সংরক্ষণের হিমঘর খারাপ, সমস্যায় চুঁচুড়ার মানুষ

হুগলি: শবদেহ দাহ করার বৈদ্যুতিক চুল্লি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ। ফলে মৃতদেহ দাহ করা যাচ্ছে না চুঁচুড়ার শ্যামবাবু শ্মশান ঘাটে। পাশাপাশি মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য শ্মশান ঘাটে থাকা হিমঘরটিও কয়েক মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শ্মশান যাত্রীদের।

শ্যামবাবুর ঘাটে শবদেহ দাহ করার জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি রয়েছে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য হিমঘর। বাতানুকুল সেই ব্যবস্থায় চারটি মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যায়। যে সকল প্রয়াত মানুষদের ছেলে-মেয়ে বা নিকট আত্মীয় বাইরে রাজ্য বা ভিন দেশে থাকেন, তাঁরদের দেহ অনেক সময় কয়েক দিন এখানে সংরক্ষণ করে রাখতেন পরিজনরা। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে চুঁচুড়ার সেই ‘পিস হেভেন’ খারাপ হয়ে পরে রয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: পাখিদের জন্য অবাক কাণ্ড! রইল সেই ভিডিও

চুঁচুড়া, চন্দনগর, ভদ্রেশ্বর, বাঁশবেড়িয়ার মত পুরসভা এলাকা তো বটেই, এমনকি হুগলির বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকেও অনেকে শ্যামবাবুর শ্মশানে আসেন দেহ সংরক্ষণ করার জন্য। কিন্তু চুল্লি ও হিমঘর দুটোই খারাপ হয়ে পড়ে থাকায় অসংখ্য মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।

সম্প্রতি চন্দননগর হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। তাঁর ছেলে শ্যামবাবুর ঘাটে খোঁজ নিতে আসেন দেহ রাখা যাবে কিনা। মা-বোন সহ গোটা পরিবার বিহারে থাকে। তাদের আসতে একদিন সময় লাগবে, তাই বাবার মৃতদেহ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু শ্মশানের হিমঘর খারাপ থাকায় বাধ্য হয়ে বাড়িতেই বরফ দিয়ে দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করেন। এই বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শ্মশান ঘাট বন্ধ আছে। পিস হেভেন’ও বন্ধ। টেন্ডার করা হয়েছে, বড় আকারে কাজ করতে হবে।

রাহী হালদার