*রথযাত্রার দিন গোনা শুরু হল স্নানযাত্রার মধ্য দিয়ে। ৬২৮ বর্ষে এবার মাহেশের রথ ও স্নানযাত্রা উৎসব। ৪৭ বছর পর মোক্ষ যোগে হচ্ছে এই স্নানযাত্রা। সকাল সাড়ে পাঁচটায় জগন্নাথ দেবকে স্নানমঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৬.২০ থেকে শুরু হয় স্নানযাত্রা উৎসব। স্নান পিড়ি মাঠে অগণিত ভক্তের সমাবেশ ঘটে। প্রতিবেদনঃ রাহী হালদার।*রীতি অনুযায়ী স্নানমঞ্চে ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল এবং দেড় মণ দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে। মনে করা হয়, ওই পরিমাণ দুধ-গঙ্গাজলে স্নান করে তিন দেবতার জ্বর আসে। মন্দির বন্ধ রেখে সেবা-শুশ্রূষার পর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে তাঁরা সুস্থ হন। সংগৃহীত ছবি।*রথযাত্রারদিন রথে চাপিয়ে তিন দেবতাকে জগন্নাথের মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যান্য বছর স্নানের পরেই তিন বিগ্রহকে মন্দিরের গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বার দিনভর তিন বিগ্রহকে স্নানমঞ্চেই রাখা হবে। সংগৃহীত ছবি।*এ বার স্নানযাত্রার ‘মোক্ষ যোগ’ রয়েছে। সেই কারণেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে দিনভর স্নানমঞ্চেই রাখা হবে ভক্তদের দর্শনের জন্য। দিনভর পুজো, ভোগ নিবেদন সেখানেই হবে। সে জন্য স্নানমঞ্চে এবং মাঠে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। সংগৃহীত ছবি।*মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানান, বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এই বছর এসেছে মখ্য যোগের স্নানযাত্রা। ভোর বেলাতেই জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রার তিন বিগ্রহকে স্নান পিড়ির মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। অগণিত ভক্ত সমাবেশের মধ্যে স্নানযাত্রা উৎসব পালন করা হয়েছে। সংগৃহীত ছবি।*এ দিন সন্ধ্যাবেলায় সন্ধ্যা আরতি ও পুজোরপর তারপরে আবারও বিগ্রহকে নিয়ে আসা হবে গর্ভ গৃহে। এর ঠিক ১৫ দিন পরে আগামী ৭ জুলাই হবে মাহেশের ঐতিহ্যশালী রথযাত্রা। সংগৃহীত ছবি।