ভাতের ফ্যানের বহু উপকারিতা আমরা জানি। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, ব্লাড সুগার কমানো-সহ একাধিক শারীরিক জটিলতা কমিয়ে দেয় এই তরল। ভাতের ফ্যানে প্রচুর পরিমাণে আছে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না মহিলাদের ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন কমাতেও খুবই কার্যকর ভাতের ফ্যান। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, প্রস্রাবে অসহ্য জ্বালা-সহ একাধিক উপসর্গ প্রশমন করে এই তরল।
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে চালের জলকে বলা হয় তণ্ডুলোদক। তণ্ডুল মানে চাল। উদক মানে জল। স্টার্চ ও অন্যান্য উপকারী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানের জন্য নানা জটিলতা উপশম করে এই তরল। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডক্টর দীক্ষা ভাভসর।
চাল ধোওয়া বা চাল ভেজানো জল এবং ভাতের ফ্যান-এই দু’টি জিনিসকেই ইংরেজিতে রাইস ওয়াটার বলা হয়। তবে চাল ভেজানোর জলের তুলনায় ভাতের ফ্যান বেশি উপকারী। একবার তৈরির পর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়া যায়।
দীক্ষার মতে, মূলত শীতল ধরনের এই পানীয় বার্নিং ইউরিনেশন ছাড়াও ডায়রিয়া এবং অতিরিক্ত ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার সমাধান করে। তবে একই সঙ্গে দীক্ষার সতর্কতা, যাঁরা সর্দিকাশিতে ভোগেন তাঁদের ভাতের ফ্যান এড়িয়ে চলাই ভাল।
ভাতের ফ্যানের অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বা ক্ষারকীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য মূত্রনালীর সংক্রমণ-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যার আয়ুর্বেদিক সমাধানে ভাতের ফ্যান প্রেসক্রাইব করা হয়।
ত্বক ও চুলের যত্নেও চাল ভেজানো জল অপরিহার্য। এর মিনারেল এবং ভিটামিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ধরে রাখে চুলের ঔজ্বল্য।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, ব্লাড সুগার কমানোর মতো জটিলতার ক্ষেত্রে ভাতের ফ্যান উপযোগী। তবে ইউটিআই প্রশমনে চাল ভেজানো জল উপকারী।
একমুঠো চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। তার পর ভাল করে চটকে নিয়ে ওই জল পান করুন। যে কোনও খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখুন এই তরল।
Post navigation
Just another WordPress site