লাইফস্টাইল Rice water for skincare: কোরিয়ানদের মতো ঝকঝকে, তুলতুলে ত্বক চান? পার্লার নয়, ঘরেই রয়েছে উপায়! জানেন কি? Gallery July 26, 2024 Bangla Digital Desk কোরিয়ানদের ত্বক কাচের মতো স্বচ্ছ, সুন্দর। বিশ্বের সব দেশের নজর থাকে তাঁদের ত্বকেই। কী ভাবে পাওয়া যায় দাগমুক্ত ঝকঝকে ত্বক? ঠিক যেন শিশুদের মতো? পার্লারে গিয়ে ফেশিয়াল করিয়ে অনেকে ভাবেন তেমন ত্বক পাবেন। অর্থব্যয় করেও যখন মেলে না সেই ত্বক, হতাশ হয়ে পড়েন অনেকেই। ঘরেই যে রয়েছে উপকরণ, জানেন না তাঁরা। কোরিয়ানরাও ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকাতেই। মুম্বইয়ের কসমেটোলজিস্ট ডাঃ মধু চোপড়া জানান, চাল ধোওয়া জলেই মুশকিল আসান। চাল ধুয়ে জল ফেলে না দিয়ে সেই জলই ব্যবহার করুন রূপচর্চায়। ত্বক হবে কাচের মতো, ঝকঝকে। চালের জল প্রস্তুত করতে, এক কাপ চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ৩ কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত রেখে দিন। সেই জল ছেঁকে ফ্রিজে রেখে দিন। চাল ধোওয়া জলের উপকারিতা অনেক! এতে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলাজেন প্রস্তুতিতে সাহায্য করে। এতে ত্বকের বয়স কমে, বার্ধক্য আসতে দেয় না ত্বকে। এছাড়াও, এই জল মুখে মাখলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা তৈরি হওয়া ক্ষত নিরাময় হয়। চালের জল পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। এটি তৈলাক্ত এবং ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য সবচেয়ে উপকারী। আপনি এটিকে স্প্রে বটলে রেখে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন বা লেবুর রস এবং অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে একটি জেলও তৈরি করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে চাল ধোওয়া জল লাগালেই মিলবে সবচেয়ে ভাল ফল। আপনার মুখকে আলতো করে টোন করতে চালের জলে ভিজিয়ে রাখা একটি তুলোর প্যাড ব্যবহার করুন। মুখ পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক উল্লেখযোগ্যভাবে মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে।
লাইফস্টাইল Healthy Lifestyle: চাল ধোওয়া জল ফেলে দেন নাকি…? এই জলেই আপনার গা দিয়ে মোমের মতো জেল্লা ঝরবে, নজর কাড়বেন আপনিই Gallery July 4, 2024 Bangla Digital Desk ভাত করার সময় চাল ধোওয়া জল আমরা ফেলে দিই। চাল ধোয়া জলে নানা রকমের খনিজ পদার্থ রয়েছে। ভিটামিনও পাওয়া যায় এতে। অনেকের ত্বক তৈলাক্ত হয়। ত্বকের উপর হালকা সাদা আভা এনে দেয় এই চাল ধোওয়া জল। তৈলাক্ত ত্বকের তেল কমিয়ে দেয় এই জল। শ্যাম্পু করার আগে চাল ধোয়া জলে চুল ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। বর্ষায় চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যারও সমাধান করতে পারে চাল ধোয়া জল। গোড়া মজবুত করে দেয় চুল ধোওয়া জল। চাল ধোওয়া জল গাছে দিলে গাছের বৃদ্ধি হয়। গাছের গোড়া ভাল থাকে।
লাইফস্টাইল UTI Home Remedy: প্রস্রাবে অসহ্য জ্বালা? রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া এই সাদা তরলে চুমুকই মূত্রনালীর সংক্রমণ বা UTI-এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে! মহিলারা জেনে রাখুন Gallery June 22, 2024 Bangla Digital Desk ভাতের ফ্যানের বহু উপকারিতা আমরা জানি। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, ব্লাড সুগার কমানো-সহ একাধিক শারীরিক জটিলতা কমিয়ে দেয় এই তরল। ভাতের ফ্যানে প্রচুর পরিমাণে আছে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না মহিলাদের ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন কমাতেও খুবই কার্যকর ভাতের ফ্যান। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, প্রস্রাবে অসহ্য জ্বালা-সহ একাধিক উপসর্গ প্রশমন করে এই তরল। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে চালের জলকে বলা হয় তণ্ডুলোদক। তণ্ডুল মানে চাল। উদক মানে জল। স্টার্চ ও অন্যান্য উপকারী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানের জন্য নানা জটিলতা উপশম করে এই তরল। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডক্টর দীক্ষা ভাভসর। চাল ধোওয়া বা চাল ভেজানো জল এবং ভাতের ফ্যান-এই দু’টি জিনিসকেই ইংরেজিতে রাইস ওয়াটার বলা হয়। তবে চাল ভেজানোর জলের তুলনায় ভাতের ফ্যান বেশি উপকারী। একবার তৈরির পর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়া যায়। দীক্ষার মতে, মূলত শীতল ধরনের এই পানীয় বার্নিং ইউরিনেশন ছাড়াও ডায়রিয়া এবং অতিরিক্ত ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার সমাধান করে। তবে একই সঙ্গে দীক্ষার সতর্কতা, যাঁরা সর্দিকাশিতে ভোগেন তাঁদের ভাতের ফ্যান এড়িয়ে চলাই ভাল। ভাতের ফ্যানের অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বা ক্ষারকীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য মূত্রনালীর সংক্রমণ-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যার আয়ুর্বেদিক সমাধানে ভাতের ফ্যান প্রেসক্রাইব করা হয়। ত্বক ও চুলের যত্নেও চাল ভেজানো জল অপরিহার্য। এর মিনারেল এবং ভিটামিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ধরে রাখে চুলের ঔজ্বল্য। ওজন নিয়ন্ত্রণ, ব্লাড সুগার কমানোর মতো জটিলতার ক্ষেত্রে ভাতের ফ্যান উপযোগী। তবে ইউটিআই প্রশমনে চাল ভেজানো জল উপকারী। একমুঠো চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। তার পর ভাল করে চটকে নিয়ে ওই জল পান করুন। যে কোনও খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখুন এই তরল।
লাইফস্টাইল Rice Water in Weight Lose and Blood Sugar Control: ব্লাড সুগারে অব্যর্থ! ওজন কমাতে ধন্বন্তরি! শুধু না ফেলে চুমুক দিন ভাতের ফ্যানে Gallery June 19, 2024 Bangla Digital Desk অনটনের সংসারে ভাতের ফ্যানটুকুও অনাহারী মুখে হাসি ফোটায়। ভাতের বদলে ফ্যান দিয়েই হয় অন্নসংস্থান। অনেকেই বলেন ভাতের তুলনায় এর ফ্যান অনেক বেশি উপকারী। বহু জায়গাতেই ভাতের ফ্যান ডায়েটে রাখা হয়। বিশেষ করে ওজন কমাতে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরা এই তরল জুড়িহীন। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর সাভালিয়া। রান্নার সময় চাল থেকে ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৬ এবং বি-৯ মিশে যায় জলে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজও মেশে রান্নার জলে। সেটাই ভাত হওয়ার পর ফ্যানে রূপান্তরিত হয়। পুষ্টিগুণে ভরা ভাতের ফ্যানে ক্যালরি খুবই কম। এর রেজিস্টান্স স্টার্চ ও ফাইবার শরীরে জন্য উপকারী। শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে ভাতের ফ্যান। মেটাবলিজন রেট বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করে বাড়তি ওজন। ইনসুলিন সেন্সিটিভিটির জন্য ভাতের ফ্যান বশে রাখে ব্লাড সুগারও। তাই ফ্যান ফেলে না দিয়ে পান করুন। মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস। বৈচিত্র আনতে চাইলে ভাতের ফ্যান দিয়ে স্যুপ বানাতে পারেন। অন্য রান্নাতেও দিতে পারেন কুকিং স্টক হিসেবে।