লাইফস্টাইল Urine Infection: আচমকাই প্রস্রাবের রং ঘোলাটে? ‘কারণ’ আছে! আজই বাদ দিন ‘এই’ পাঁচ খাবার, একদিনও অবহেলা নয় Gallery August 26, 2024 Bangla Digital Desk আমরা আদৌ ভাল খাবার খাচ্ছি কি না, তা বুঝব কীভাবে? এটা বোঝার একটি ভাল উপায় রয়েছে। আর সেটা হল – প্রস্রাবের দিকে লক্ষ্য রাখা। আসলে কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মিনারেলের পরিমাণ দেহে বাড়লে প্রস্রাবের রঙ, গন্ধ এবং ধরনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। প্রস্রাবের সবথেকে সাধারণ অস্বাভাবিকতা হল তা অনেক সময় ঘোলাটে হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে ডিহাইড্রেশন, মূত্রনালির সংক্রমণ, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেটে কিংবা মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিপথে প্রদাহ, যৌনবাহিত সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, ডায়েটের সমস্যা প্রভৃতি কারণে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য খাদ্য সংক্রান্ত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। তার পরেও সমস্যা সমাধান না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর রিচমন্ড রোডের ফর্টিস হাসপাতালের ওবেস্টেট্রিকস এবং ইউরো গাইনিকোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রুবিনা শাহানওয়াজ জেড। প্রক্রিয়াজাত চিপস, ক্যানে সংরক্ষিত খাবার এবং কিওর্ড মিটে লবণ বা নুনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয়। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া ও অপর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করার কারণে ডিহাইড্রেশন এবং ঘোলাটে প্রস্রাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিটি প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রীতেই আজকাল এই উপকরণটি যোগ করা হয়। বিশেষ করে মিষ্টি সোডা কিংবা মিষ্টি খাবারে এই উপাদান থাকবেই। আর অতিরিক্ত পরিমাণে এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ে। ফলে প্রস্রাবও হয় ঘোলাটে। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ফসফরাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবও ঘোলাটে হয়ে যায়। আর কিডনির রোগে আক্রান্ত থাকলে তো কথাই নেই! সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ে। রেড মিট এবং পোলট্রিজাত মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ফসফরাসের নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়। যা অতিরিক্ত লবণের সঙ্গে মিশে প্রক্রিয়াজাত মাংসের রূপ নেয়। এতে প্রস্রাব আরও ঘোলাটে হতে শুরু করে। সার্ডিন-সহ কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পরিমাণে পিউরিন থাকে। যা বিপাকের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। ফলে প্রস্রাবের রঙে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ফলে প্রস্রাবের রঙের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত কফি, চা খেতে ভাল লাগে? এমনটা হলে বিপদ! কারণ কফি, ব্ল্যাক এবং গ্রিন টি-র মধ্যে থাকে ক্যাফিন। যা ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী। এতে প্রস্রাব ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।
লাইফস্টাইল UTI Home Remedy: প্রস্রাবে অসহ্য জ্বালা? রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া এই সাদা তরলে চুমুকই মূত্রনালীর সংক্রমণ বা UTI-এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে! মহিলারা জেনে রাখুন Gallery June 22, 2024 Bangla Digital Desk ভাতের ফ্যানের বহু উপকারিতা আমরা জানি। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, ব্লাড সুগার কমানো-সহ একাধিক শারীরিক জটিলতা কমিয়ে দেয় এই তরল। ভাতের ফ্যানে প্রচুর পরিমাণে আছে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না মহিলাদের ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন কমাতেও খুবই কার্যকর ভাতের ফ্যান। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, প্রস্রাবে অসহ্য জ্বালা-সহ একাধিক উপসর্গ প্রশমন করে এই তরল। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে চালের জলকে বলা হয় তণ্ডুলোদক। তণ্ডুল মানে চাল। উদক মানে জল। স্টার্চ ও অন্যান্য উপকারী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানের জন্য নানা জটিলতা উপশম করে এই তরল। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডক্টর দীক্ষা ভাভসর। চাল ধোওয়া বা চাল ভেজানো জল এবং ভাতের ফ্যান-এই দু’টি জিনিসকেই ইংরেজিতে রাইস ওয়াটার বলা হয়। তবে চাল ভেজানোর জলের তুলনায় ভাতের ফ্যান বেশি উপকারী। একবার তৈরির পর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়া যায়। দীক্ষার মতে, মূলত শীতল ধরনের এই পানীয় বার্নিং ইউরিনেশন ছাড়াও ডায়রিয়া এবং অতিরিক্ত ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার সমাধান করে। তবে একই সঙ্গে দীক্ষার সতর্কতা, যাঁরা সর্দিকাশিতে ভোগেন তাঁদের ভাতের ফ্যান এড়িয়ে চলাই ভাল। ভাতের ফ্যানের অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বা ক্ষারকীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য মূত্রনালীর সংক্রমণ-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যার আয়ুর্বেদিক সমাধানে ভাতের ফ্যান প্রেসক্রাইব করা হয়। ত্বক ও চুলের যত্নেও চাল ভেজানো জল অপরিহার্য। এর মিনারেল এবং ভিটামিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ধরে রাখে চুলের ঔজ্বল্য। ওজন নিয়ন্ত্রণ, ব্লাড সুগার কমানোর মতো জটিলতার ক্ষেত্রে ভাতের ফ্যান উপযোগী। তবে ইউটিআই প্রশমনে চাল ভেজানো জল উপকারী। একমুঠো চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। তার পর ভাল করে চটকে নিয়ে ওই জল পান করুন। যে কোনও খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েটে রাখুন এই তরল।