ছবি আঁকায় মত্ত শিক্ষিকা

West Medinipur News: প্রথাগত কোনও তালিম না থাকলেও মহিলার প্রতিভা অবাক করবে

পশ্চিম মেদিনীপুর : পেশায় তিনি একজন শিক্ষিকা। সারাদিনের বেশ অনেকটা সময় কাটে বিদ্যালয়ে।বাড়িতে মেয়ে এবং সংসার সামলাতে হয়। তবে অবসরে যেটুকু সময় পান তাতেতিনি ব্যস্ত থাকেন রং তুলি নিয়ে। মনের ভাবনা থেকে ফুটিয়ে তোলেন নানান সুন্দর সুন্দর ছবি। তার হাতে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে মনীষী কিংবা বিভিন্ন সামাজিকতার ছবিও। ছোট থেকে প্রথাগত তালিম পাননি, নিজের জেদ নিয়ে কঠোর পরিশ্রমে আজ তিনি পেশাগত অঙ্কনশিল্পী। বিদ্যালয়ের পর শিক্ষিকার অবসর সময় কাটে ছবি এঁকে। এখনও সংসার সামলে, বিদ্যালয়ের পর অবসরে রং তুলিতে ফুটিয়ে তোলেন একের পর এক ছবি। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ে থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কিংবা অবসরে তিনি ছবি আঁকেন। আসলে ছবিই তার কাছে ধ্যান জ্ঞান।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর তেমাথানির বাসিন্দা স্বপ্না পড়িয়া, বর্তমানে সবং এর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।বিদ্যালয়, পরিবারের চাপ সামলে রং-তুলিতে আঁচড় কেটে সৃষ্টি করেন নানা ছবি। তার হাতে ফুটে ওঠে বিভিন্ন ছবি। অভাবকে নিত্য সঙ্গী করে বড় হয়ে ওঠা তার, তবে শিল্পের নিপুণতা মন কাড়বে আপনার। তাঁর শিল্পকুশলতা দেখে অবাক হতে হয়। রং তুলি দিয়ে আঁকা ছবি যেন আসল মনে হবে।বাবা বিভূতিভূষণ পড়িয়া সামান্য বরজ সামলে সংসার চালাতেন। মা জ্যোৎস্না বরাবরই তাকে সাহস জুগিয়েছেন।ছোট থেকে অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে উঠা। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি চর্চা করা হয়নি ছবি আঁকার।

আরও পড়ুন : ১ টাকাও লাগবে না, দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা, তিন মাসের প্রশিক্ষণেই আয় করতে পারবেন মহিলারা

শেখা হয়নি কোনওগুরুর থেকে।তবে নিজে নিজেই শুরু করেন এই ছবি আঁকা।জীবনের প্রথম এঁকে ছিলেন ঝাঁসির রানীর ছবি। আর সেই থেকে জেদ আরও বাড়ে।বিদ্যালয়ে পড়াকালীন নানা ছবি দেখে দেখে আঁকতেন তিনি। 2006 সালে যোগ দেন শিক্ষকতায়। বিবাহ সূত্রে আসেন সবং এ। তবে এর পর থেকে বিদ্যালয় পরিবার সামলে নিয়ম করে ছবি আঁকেন তিনি। বাড়িতে বাবা, মেয়ে রয়েছে।তবে এই শিক্ষিকা থিমের উপর ফুটিয়ে তুলে নানা ছবি। নারীশক্তি এবং মা’কে ফুটিয়ে তোলেন তার ছবিতে। থিমের ছবি, পোর্ট্রেট, বিমূর্ত ছবি ফুটিয়ে তোলেন সাদা ইতিমধ্যে নানা প্রদর্শনীতে অংশও নিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : পাহাড় সমুদ্র অনেক হয়েছে, এবার ঘুরে দেখুন এই বিশেষ জায়গা, জানতে পারবেন ভারতের ইতিহাস

তার আঁকা ছবি বিক্রিও হয়েছে। অবসরে, নানা গল্প, উপন্যাস বইয়ের প্রচ্ছদ ফুটিয়ে তোলেন তিনি। বাড়িতেই শুরু করেছেন ছবি আঁকা শেখানো।ছাত্রছাত্রীদের কোনও বেতন না নিয়ে অঙ্কন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয়েও ছাত্রছাত্রীদের সপ্তাহে বিশেষ একটি দিন অঙ্কনে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তার আঁকা এবং থিমেকোনওবাঁধা ধরা নিয়ম নেই। মন থেকে যা আসে তাই তিনি ফুটিয়ে তোলেন সাদা কাগজে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে নিয়ম করে ছবি আঁকেন এই শিক্ষিকা। এভাবে শিল্পের সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছে শিক্ষিকার।

রঞ্জন চন্দ