বাম জমানায় মাওবাদী-দমনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন মনোজ ভার্মা। ২০০৯ সালে পুলিশ বয়কট হঠাতে লালগড়-সহ জঙ্গলমহলে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের SP হিসেবে মনোজের নেতৃত্বেই মাওবাদী দমনে অভিযান চলে।

West Bengal Police: সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় বড় সাফল্য, ভিন্ রাজ্যের ডাকাত দলকে ধরল রাজ্য পুলিশ

কলকাতা: ডাকাতির ঘটনায় বড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশ। এদিন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের এডিজি এবং আইজিপি (আইন শৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবছর ৪ টি ডাকাতির ক্ষেত্রে কাল ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ১০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়। অন্য রাজ্যের থেকে। ডাকাত দল কে ডাকাতির আগে ধরে দুটো ক্ষেত্রে। অন্য দুটো ক্ষেত্রে ডাকাতির পারে ধরে। প্রতিটি ডাকাত দল ছিল বিহার, ঝাড়খন্ড এর।

আরও পড়ুন: দেশের আর কোথাও তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই, বেশিরভাগ অংশেই প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু

এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা জানান, আসানসোলের একটা ডাকাতির ঘটনায় দু’জন অভিযুক্তকে রাজ্য থেকে, এবং দু’জনকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাঁকুড়ায় ডাকাতির ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হাওড়াতে যে সেনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনায় এক জন গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের সমস্তিপুর থেকে। কোচবিহারে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অভিযুক্তকে”।

সেই সঙ্গে ভিন্ রাজ্যের ডাকাত দলের যে তীব্র রমরমা রয়েছে রাজ্য জুড়ে তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায় পরিসংখ্যান থেকে। শেষ ২ বছরে পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে ডাকাতির ঘটনায় মোট ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মনোজ বর্মা জানান, বিহার, ঝাড়খণ্ডের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড, বিহারের পুলিশের ডিজির সঙ্গেও কথা হয়েছে”। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ সাফল্য পেয়েছে ডাকাতির ঘটনায়”।