চন্দননগর কলেজের ছবি

Hooghly news: NAAC-এর মূল্যায়নে দেশের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষায়তনের তালিকায় চন্দননগর কলেজ

হুগলি: রাজ্যের প্রথম সরকারি কলেজ হিসাবে ন্যাকের মূল্যায়নে এ প্লাস গ্রেড পেল চন্দননগর গভর্মেন্ট কলেজ। ফরাসি আমলের তৈরি এই কলেজ আগে ছিল বি প্লাস ক্যাটাগরির। এই বছর ন্যাকের মূল্যায়নে তা উঠে এসেছে এক শতাংশ প্রথম শ্রেণীর কলেজের তালিকায়। সোমবার ন্যাকের খামবন্দি সেই শংসাপত্র এসে পৌঁছায় কলেজের হাতে। তারপর থেকেই খুশির বাতাবরণ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রী মহলে।

আরও পড়ুনঃ বড় খবর! আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিক‍‍্যাল কলেজের এমবিবিএস কোর্সে বাড়ল আসন সংখ‍্যা

কলেজ অধ্যক্ষ দেবাশিষ সরকার বলেন, গত ২৫-২৬ জুন, ২০২৪ চন্দননগর মহাবিদ্যালয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের মূল্যায়নকারী দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। চন্দননগর মহাবিদ্যালয় (১৮৬২) তৃতীয় দফার (NAAC) মূল্যায়নে ৩.৪৬ মান সহ A+ গ্রেড পেয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরে, ১৯৯৪ সালে এই মূল্যায়ন শুরু হওয়ার পর, এটিই এখন পর্যন্ত আমাদের রাজ্যে কোন সরকারী কলেজের সর্বাধিক গ্রেড নম্বর। বিগত দুটি দফায়, ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে, এই মহাবিদ্যালয় B++ গ্রেড পেয়েছিল । সর্বভারতীয় স্তরে AISHE নথিভুক্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার কলেজের মধ্যে ১% এর ও কম কিছু কলেজ এখন পর্যন্ত A+গ্রেড পেয়েছে।

ফরাসী আমলে তৈরি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ক্রমবিবর্তনের পথে নানা ধাপ অতিক্রম করে কলেজ দুপ্লে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০১ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৪৮ সালে ঐ কলেজের নামকরণ হয় চন্দননগর মহাবিদ্যালয়। বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দীর্ঘ ২৩ বছর (১৯০৮-১৯৩১) বন্ধ ছিল এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৪ সালের ২রা অক্টোবর থেকে এই মহাবিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরিচালনাধীন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৯টি বিভাগে স্নাতক স্তরের ও ৩টি বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন চলছে। কলেজের ঐতিহ্যবাহী, প্রায় দুশ বছরের বেশি প্রাচীন, ভবনে বিপ্লবীদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত চন্দননগর কলেজ মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালে। বর্তমানে নানা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ বহু দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে এই মিউজিয়াম।

রাহী হালদার