এক্সরে রুমে চলছে জল পরিস্কারের কাজ

Birbhum News: জল জমে বন্ধ এক্সরে রুম, সমস্যায় রোগীর আত্মীয়রা রামপুরহাট হাসপাতালে

বীরভূম: রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জলমগ্ন হয়ে বন্ধ ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা। বৃষ্টির জেরে জল জমে বিপত্তি। ফলে বিপাকে রোগীরা। মঙ্গলবার দুপুরের পরেই বৃষ্টি শুরু হয় রামপুরহাট শহরে। তারপরেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে রুম। বুধবার জল শুকিয়ে গেলেও শট সার্কিটের ভয়ে মেশিন বন্ধই রাখতে হল ডিজিটাল এক্সরে রুমে থাকা টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। তার জেরে হয়রানির শিকার রামপুরহাট হাসপাতালে আসা থেকে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।

এক্স- রে রুমে জল ঢোকার জেরে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। যে কোনও সময় জমা জল থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে বিপদজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তড়িঘড়ি পূর্ত দফতরের সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে দেখার জন্য চিঠি দিলেন মোডিক্যাল কলেজের সুপার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিজিটাল এক্সরের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, “দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছে না।কাজ করতে প্রাণের ভয় হয়। কখন শর্ট সার্কিট হয়ে যে কোনও সময় বিপদজনক ঘটনা ঘটতে পারে।”

আরও পড়ুন : বীরভূমের প্রথম কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের অনুমোদন কেন্দ্রের

উদ্বেগের কথা জানালেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য আগেই চিঠি দিয়েছি। হাসপাতাল পাড়ার প্রধান নিকাশী নালা ঠিক করার জন্য দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েছি, পাশাপাশি মহকুমা শাসককেও জানানো হয়েছে।”রামপুরহাট হাসপাতালে অবস্থা করুন, এমনিতেই নিকাশি নালার মুখ বন্ধ। মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে হাসপাতালের এই অবস্থা। কৌর গ্রামের রোগীর এক আত্মীয় অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, “একদিনের সামান্য জলেই রামপুরহাট হাসপাতালে জল জমেনি। মূল রাস্তা জলমগ্ন। আগে জরুরি বিভাগের সামনে জমা জল টপকে রোগীদের ভিতরে যেত হত। পাম্প বসিয়ে তার সুরাহা হয়েছে। কিন্তু মেডিক্যাল হাসপাতালে যাওয়ার মূল রাস্তা দ্বিতীয় গেটের সামনে সামান্য জলেই চত্বর জুড়ে জলমগ্ন হয়ে যায়। সেই জল বেরতে না পারায় ঢুকছে এক্সরে রুমের ভিতরে হাসপাতালের ছবিকরাতে এসে তা না করে বাইরে বেসরকারি ল্যাবে এক্সরে করাতে হল।”

আরও পড়ুন : আচমকাই রাস্তায় বুলডোজার, তারপর যা হল রামপুরহাটে…

রোগীর পরিবারের এক সদস্য বরকতউল্লাহ সাহেব জানান, “সামান্য বৃষ্টির জলে হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যায় এক্সরে পরিষেবা তার জেরেই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় রোগীদের।”রামপুরহাট হাসপাতালের এম এস ভি পি পলাশ দাস জানান, “১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও হাসপাতালের মাঝে যে নিকাশি নালা রয়েছে সেটি আবর্জনায় ভরে গিয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

যার কারণে সামান্য বৃষ্টির ফলেই জল জমছে হাসপাতালে।”সকলেরই একটি দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা থেকে যেন রেহাই পাওয়া যায়।

সৌভিক রায়