বীরভূম: একসময় তাঁদের তৈরি বাঁশের উপকরণের সারা বছর জুড়েই বেশ চাহিদা ছিল।বিশেষ করে ছটপুজোর আগে বাঁশের তৈরি ঝুড়ি ,ডালির চাহিদাও থাকত তুঙ্গে। উপার্জনও হত ভালো। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর সেরকম আর চাহিদা নেই। ফলে মন খারাপ বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর বিধানসভার ষাটপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের আমচুয়া গ্রামের হস্তশিল্পীদের। আগে বাঁশের তৈরি ডালি, ঝুড়ি ও অন্যান্য জিনিসের যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি জিনিসের জায়গা দখল করে নিয়েছে ধাতুর তৈরি উপকরণ। ফলে নিজেদের পেশা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন শিল্পিরা।
হস্তশিল্প ব্যবসায়ী শম্ভু দলুই আমাদের জানান একটি সময় বাঁশের তৈরি ধামা-কুলো বিক্রির চাহিদা ছিল তুঙ্গে তবে বর্তমানে অত্যাধুনিক জিনিসের ফলে বাঁশের ধামা-কুলোর চাহিদা একদম নেই বললেই চলে। শিল্পী শুধুমাত্র বাঁশ এবং আঠা দিয়ে ধামা-কুলো থেকে শুরু করে ঝুড়ি,চেয়ার,খাট, দোলনা বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে থাকেন। তবে এইসব জিনিস বানালেও তার চাহিদা নেই একদম। যে সমস্ত জিনিসের দাম ৫ হাজার টাকা হওয়া প্রয়োজন সেই সমস্ত জিনিস ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফলে আর্থিক সংকটে দিন কাটছে তাদের।
আরও পড়ুন : বোলপুরে শর্ট ট্যুর করবেন? কয়েকটা সস্তার হোমস্টে, সঙ্গে রুট ম্যাপ রইল
ওই পাড়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বর্ষায় তাঁরা চাষাবাদ করলেও, বাড়ির ছেলেমেয়েরা সবাই বছরভর বাঁশের সামগ্রী তৈরি করেন। সারা বছরই পুজো-সহ নানা কাজের জন্য বিভিন্ন মাপের ঝুড়ি, কুলো, ফুলের সাজি প্রভৃতির খুব কম চাহিদা থাকে। এই কাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ধুলা মুর্মু। তিনি জানান, এলাকায় এসে মহাজনেরা কাজের বরাত দিয়ে যান। সেই মত সামগ্রী তৈরি করেন তাঁরা। আবার অনেক সময় নিজেদের মত করেও সামগ্রী তৈরি করা হয়। তবে মহাজনরা বরাত দিয়ে গেলও নিজের কষ্টের উপযুক্ত পারিশ্রমিক মেলেনা তাদের।তবে দুর্গাপুজোর সময়ে বেশ কিছুটা চাহিদা থাকে।
আরও পড়ুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি, শান্তি ফেরাতে গিয়ে বিপাকে পুলিশ
তবে বর্তমানে যারা এই পেশা সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের পূর্ব পুরুষেরা এই পেশার সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত ছিলেন আর সেই কারণেই এই পেশাকে ছাড়তে পারছেন না শিল্পীরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই তারা চায় সরকার আর্থিক সাহায্য করে বা অন্য কোনওভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়াক।
সৌভিক রায়