Tag Archives: Birbhum news

Birbhum News: বাঁশের ধামা-কুলো তো ব্যবহার করেছেন, জানেন কীভাবে তৈরি হয় এ সব জিনিস?

বীরভূম: একসময় তাঁদের তৈরি বাঁশের উপকরণের সারা বছর জুড়েই বেশ চাহিদা ছিল।বিশেষ করে ছটপুজোর আগে বাঁশের তৈরি ঝুড়ি ,ডালির চাহিদাও থাকত তুঙ্গে। উপার্জনও হত ভালো। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর সেরকম আর চাহিদা নেই। ফলে মন খারাপ বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর বিধানসভার ষাটপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের আমচুয়া গ্রামের হস্তশিল্পীদের। আগে বাঁশের তৈরি ডালি, ঝুড়ি ও অন্যান্য জিনিসের যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি জিনিসের জায়গা দখল করে নিয়েছে ধাতুর তৈরি উপকরণ। ফলে নিজেদের পেশা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন শিল্পিরা।

হস্তশিল্প ব্যবসায়ী শম্ভু দলুই আমাদের জানান একটি সময় বাঁশের তৈরি ধামা-কুলো বিক্রির চাহিদা ছিল তুঙ্গে তবে বর্তমানে অত্যাধুনিক জিনিসের ফলে বাঁশের ধামা-কুলোর চাহিদা একদম নেই বললেই চলে। শিল্পী শুধুমাত্র বাঁশ এবং আঠা দিয়ে ধামা-কুলো থেকে শুরু করে ঝুড়ি,চেয়ার,খাট, দোলনা বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে থাকেন। তবে এইসব জিনিস বানালেও তার চাহিদা নেই একদম। যে সমস্ত জিনিসের দাম ৫ হাজার টাকা হওয়া প্রয়োজন সেই সমস্ত জিনিস ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফলে আর্থিক সংকটে দিন কাটছে তাদের।

আরও পড়ুন : বোলপুরে শর্ট ট্যুর করবেন? কয়েকটা সস্তার হোমস্টে, সঙ্গে রুট ম্যাপ রইল

ওই পাড়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বর্ষায় তাঁরা চাষাবাদ করলেও, বাড়ির ছেলেমেয়েরা সবাই বছরভর বাঁশের সামগ্রী তৈরি করেন। সারা বছরই পুজো-সহ নানা কাজের জন্য বিভিন্ন মাপের ঝুড়ি, কুলো, ফুলের সাজি প্রভৃতির খুব কম চাহিদা থাকে। এই কাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ধুলা মুর্মু। তিনি জানান, এলাকায় এসে মহাজনেরা কাজের বরাত দিয়ে যান। সেই মত সামগ্রী তৈরি করেন তাঁরা। আবার অনেক সময় নিজেদের মত করেও সামগ্রী তৈরি করা হয়। তবে মহাজনরা বরাত দিয়ে গেলও নিজের কষ্টের উপযুক্ত পারিশ্রমিক মেলেনা তাদের।তবে দুর্গাপুজোর সময়ে বেশ কিছুটা চাহিদা থাকে।

আরও পড়ুন : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি, শান্তি ফেরাতে গিয়ে বিপাকে পুলিশ

তবে বর্তমানে যারা এই পেশা সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের পূর্ব পুরুষেরা এই পেশার সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত ছিলেন আর সেই কারণেই এই পেশাকে ছাড়তে পারছেন না শিল্পীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তাই তারা চায় সরকার আর্থিক সাহায্য করে বা অন্য কোনওভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়াক।

সৌভিক রায়

Birbhum News: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি, শান্তি ফেরাতে গিয়ে বিপাকে পুলিশ

বীরভূম: ‘পরকীয়া’ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি থামাতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন পুলিশ কর্মীরা। তারপর যা ঘটল শুনলে চমকে উঠবেন।অভিযুক্তদের হাত প্রহৃত হয়ে পুলিশ কর্মী ও গ্রামবাসি মিলিয়ে মোট ১০ জন জখম হয় । আহতদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এইদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামে।প্রসঙ্গত, মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামের মাল পাড়ায় এক সপ্তাহ আগে পল্লবী নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রদ্যুত মাল নামের এক ব্যক্তির। তার পরেও তিনি পাশের পাড়ার এক মহিলাকে বিয়ে করতে চায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি মায়াকে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তার সঙ্গে মায়ার ছবিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে শুরু হয় সমস্যা।

এরপর ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করতে প্রদ্যুতের বাড়ি যান। তখনই প্রদ্যুত সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে পরক্ষণেই সে ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।এর পরেই মহিলার আত্মীয় ও অভিযুক্তপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।এদিন সকালে মহিলার বাড়িতে হাজির হয় প্রদ্যুতের লোকজন।খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিশও। দুপক্ষকে থামাতে গেলে অভিযুক্তরা পুলিশের উপর চড়াও হয়।

আরও পড়ুন : একশো দুশো নয়, প্রায় ৭০ হাজার মিষ্টি বিতরণ তৃণমূলের! কারণে আছে বড় চমক

আর এই ঘটনায় তিন এএসআই,চার  কনস্টেবল জখম হন। একজনের মাথা ফাটে।দুজনের হাতে কোমরে গুরুতর চোট লাগে। তিন গ্রামবাসীও জখম হন। তাঁদের মল্লারপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন মায়া মালও। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রদ্যুত এই ঘটনার পর থেকে পলাতক।

আরও পড়ুন : বোলপুরে শর্ট ট্যুর করবেন? কয়েকটা সস্তার হোমস্টে, সঙ্গে রুট ম্যাপ রইল

অশান্ত গ্রামে শান্তি ফেরাতে পরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গ্রামে পুলিশবাহিনী টহলদারি চালায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে যে পুলিশ গ্রামে শান্তি ফেরাতে গিয়েছিল তাদেরকেই যে এভাবে অশান্তিতে পড়তে হবে তা হয়ত কেউই ভাবেননি।

সৌভিক রায়

Birbhum: অনুব্রতর দিন শেষ? ভোটের বীরভূমে তৃণমূলের নতুন ‘ম্যানেজার’! কে সে? একটি দৃশ্যই সব চমক

বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল-হীন বীরভূমে এবার তৃণমূলের ভোটের কান্ডারী কাজল শেখ। পাপুড়ি গ্রামের বাড়িতে বসে টেলিফোনেই বীরভূমের ভোট ‘কন্ট্রোল’ করছেন কাজল। বীরভূমের দু’টি লোকসভা আসনে গতবারের তুলনায় এবার লিড বাড়বে তৃণমূলের। দুপুর দুটোতেই কাজল শেখ বলে দিলেন তৃণমূল জিতে গিয়েছে দুটি লোকসভাতেই।

এমনকি কোন বিধানসভায় কত লিড পাবে দল, তাও নিউজ ১৮ বাংলা-কে বলে দিলেন কাজল শেখ। তিনি বলেন, ”অনুব্রত মণ্ডল দলের অভিভাবক। তাঁর অভাব উপলব্ধি করি। তিনি আমার রাজনীতির পথপ্রদর্শক ছিলেন। অনুব্রতর সঙ্গে বিবাদ সংবাদ মাধ্যমের একাংশের তৈরি। একসময় আমাকেও বাম বিরোধিতার জন্য অপরাধের জগতে থাকতে হয়েছিল। এখন হিংসা, সন্ত্রাসহীন নানুর এমনকী বীরভূম তৈরিই লক্ষ্য।”

আরও পড়ুন: বীরভূমে বুথের সামনেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হঠাৎ অঘটন! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু

ভোট হচ্ছে, বুথ আছে কিন্তু নেই বীরভূমের তৃণমূলের কমান্ডার ইন চার্জ অনুব্রত মণ্ডল। চতুর্থ দফায় ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচন চলছে বোলপুরে। তবে অনুব্রত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। সেই কারণেই থমথম করছে বোলপুর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি কালিকাপুরের বাসিন্দাদের মন ভারাক্রান্ত। কেউ কেউ বলছেন ভোট বলে মনেই হচ্ছে না।

আজকের দিনে তাঁর বাড়ির সামনে মানুষের ঢল নামত। দলের কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ আসতেন দেখা করতে। তবে ভোট শুরু হলেও এদিন সেই দৃশ্য নেই। খাঁ খাঁ করছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। এই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে করে ভোট দিতে যেতেন অনুব্রত মণ্ডল। কালিকাপুরের সরু ওলি-গলি পেরিয়ে যেতে হত ভোটকেন্দ্র ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। আজ দেখা নেই সেই দৃশ্যেরও। বরং বীরভূম সামলাচ্ছেন কাজল শেখ।

CRPF Jawan Death: বীরভূমে বুথের সামনেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হঠাৎ অঘটন! কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু

বোলপুর: ভোট চলাকালীনই বীরভূমের জাজিগ্রামের ২০৩ নং বুথে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের। জানা গিয়েছে, ওই জওয়ানের নাম মহেন্দ্র সিং, বাড়ির উত্তরাখন্ডে। CRPF-এর এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পর মৃতদেহ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

দেশজুড়ে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তিন দফার ভোটদান প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রের এই উৎসব এখনও পর্যন্ত কার্যত শান্তিপূর্ণ। সোমবার ১৩ মে চলছে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এরপর ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আরও তিন দফায়। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।

আরও পড়ুন: ২০৬০ সাল, আর মাত্র ৩৬ বছর, পৃথিবীতে ঘটবে ভয়ঙ্কর ঘটনা! যে সে নয়, লিখে গিয়েছেন স্বয়ং আইজ্যাক নিউটন

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে প্রথম দফা থেকেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূচি অনুসারে চলছে মোট সাত দফার ভোট। প্রথম, দ্বিতীয় ও কিছুটা তৃতীয় দফাতেও মূলত ভোট ছিল উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক। তৃতীয় দফায় ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি জায়গায়- বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুর।

প্রথম দফা ভোটের আগেই অবশ্য অসুস্থ হয়ে আরও এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। বাথরুমে অচেতন হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ওই জওয়ান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিউআরটি টিমে থাকার কথা ছিল তাঁর। প্রথম দফার পর এবার চতুর্থ দফাতেও মৃত্যু হল এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের।

Abhishek Banerjee: হাজার-হাজার মানুষ অপেক্ষায়, তবুও পৌঁছতে পারলেন না অভিষেক! যা ঘটল, মন খারাপ বীরভূমের

বীরভূম: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর ভোটের আগে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূমের বিনোদপুর মাঠে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন বেলা ২:৩০ নাগাদ সভার ময়দানের পাশে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা ছিল। এরপরই সেখান থেকে সভাস্থলে এসে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে জনসভা করতেন তিনি।

তবে সভায় সব কিছু ব্যবস্থা থাকলেও উপস্থিত হলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া রয়েছে বীরভূমে। সকালের দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়, তবে জল ঝড় উপেক্ষা করেই জনসভায় প্রায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত হন। প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই বীরভূমের হাসান বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত তারাপীঠের একটি বেসরকারি হোটেলে কর্মীদের নিয়ে সভা করেন অভিষেক। এর পরেই এই দিন পুনরায় আবার শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন, সেই কারণে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয় বিনোদপুর মাঠ।

আরও পড়ুন: এবার প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ২০২০ প্রক্রিয়ায় পড়ল ‘দাঁড়ি’

এদিনের জনসভায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেস লেখা টুপি পরে, আবার কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের পোস্টার নিয়ে হাজির হন। আবার কেও ‘WE LOVE AB ‘ লেখা অভিষেকের ছবি নিয়ে হাজির হন। তবে শেষ মুহূর্তে সমস্ত বাতিল হয়। ময়দানে তখন প্রায় ২০ হাজার কর্মী সমর্থক। স্টেজে উঠে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারছেন না। কিন্তু কেন?

আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ জেলায়।সকালে বৃষ্টি থামার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার কালীঘাট থেকে বীরভূমের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার করে রওনা দিলেও ১১ মিনিট হেলিকপ্টার ওড়ার পরে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে পুনরায় অবতরণ করতে হয়।এর ফলেই বীরভূমের জনসভায় যোগদান করতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কলকাতা থেকেই ভার্চুয়ালি ভাবে জনসভায় যোগদান করেন।

—– সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: : বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে বীরভূমে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ

বীরভূম: অপেক্ষার আর মাত্র হাতে চারটি দিন। তারপরেই চতুর্থ দফায় বীরভূমের লোকসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। এক কথায় সমস্ত রাজনৈতিক দল কেও কারোকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ। সূর্যের আলো ফোটা থেকে শুরু করে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের প্রচার কর্ম চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কারোকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ।

আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য এর সমর্থনে বীরভূমের নলহাটি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত কুরুমগ্রাম হসপিটাল ময়দানে জনসভায় যোগদান করতে আসেনবাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সেই অভিনেতাকে একবার দেখার জন্য সাধারণ মানুষের সমাগম ঘটে।গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান। ৮ থেকে ৮০, মহিলা থেকে শুরু করে পুরুষ সকলেই উপস্থিত হন অভিনেতাকে দেখার জন্য।

আরও পড়ুন : ভোটের পর জমিদারদের তৈরি এই প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার চায় গোটা গ্রাম

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন।কোথাও দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব দেওয়াল লিখন আবার কেউনিজেই গান লিখে সেই গানের শুটিং করে প্রচার চালাচ্ছেন নিজের দলকে চাঙ্গা করতে।কেও ঘুরছেন হুডখোলা গাড়িতে, আবার কেউপায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন।কেউনিয়ে আসছেন হেবিওয়েটনেতা নেত্রীদের। সেই মতই বীরভূমে লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এবার প্রচারে এলেন অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ।

আরও পড়ুন : চোখে না দেখেও মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হয়ে লোকসভা নির্বাচন, সাধারণ মানুষ ভোট দেননেতা নেত্রীদের। রুদ্রনীল ঘোষ স্টেজে বক্তব্য রাখতে শুরু করতেই সাধারণ মানুষের উচ্ছাস বাঁধ ভাঙাছিল।রুদ্রনীল তার সিনেমার ডায়লগ শোনানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা শুনিয়ে দর্শকদের মনকাড়েন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এক কথায় ভোটের ময়দানে যুদ্ধ জারি রয়েছে। এখন দেখার বিষয় সাধারণ মানুষ কাকে সমর্থন করে।

সৌভিক রায়

Madhyamik Result 2024 3rd: মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূমের পুষ্পিতা স্বপ্ন দেখে কীসের? নতুন পরীক্ষার্থীদের দিল দারুণ এক টিপস, জানুন

বীরভূম: প্রকাশিত হল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। ওই মাসেরই ১২ তারিখ পরীক্ষা শেষ হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬ জন। এবছর মাধ্যমিকে পাশ করেছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৩১%। গত বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার বেড়েছে। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এবার রয়েছে ৫৭ জন।

পাশের হারে এগিয়ে কালিম্পং, তারপর পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় স্থানে কলকাতা, ৪র্থ পশ্চিম মেদিনীপুর। এ বছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু (পুরুলিয়া জেলা স্কুল) প্রাপ্ত নাম্বার ৬৯২। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে আছে তিনজন, বীরভূমের পুষ্পিতা বাঁশুরি, দক্ষিণ দিনাজপুরের উদয়ন প্রসাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নৈঋতরঞ্জন পাল।

আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মাধ্যমিকের প্রথম দশে কারা? দেখুন সম্পূর্ণ মেধাতালিকা

পরীক্ষার্থীরা তাদের ফলাফল দেখতে পান সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে। ফল ঘোষণার দিনেই পরীক্ষার্থীরা হাতে পাবেন মার্কশিট। পরীক্ষার্থীরা সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দুটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পাবে। wbbse.wb.gov.in এবং wbresults.nic.in -এ ক্লিক করে রেজাল্ট দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ৯০ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণার কথা থাকলেও ৮০ দিনের মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হল।

আরও পড়ুন: ৮০ দিনের মাথায় মাধ্যমিক ২০২৪-এর রেজাল্ট আউট, কেমন হল ফলাফল? দেখুন এখানে

২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ওই ছাত্রীর নাম পুষ্পিতা বাঁশুরি। পুস্পিতা নিউ ইন্ট্রিগেডেট গভর্মেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। সে জানায়, সারাদিন স্কুল বাদেও প্রায় ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সে পড়াশোনা করেছে পরীক্ষার জন্য। সামনের বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন তাদের উদ্দেশ্য পুষ্পিতার টিপস টিউশন পড়ার পাশাপাশি টেস্ট পেপার ফলো করা প্রয়োজন। আগামী দিনে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার পর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে পুষ্পিতার।

সৌভিক রায়

Tarapith: গরমের দাবদাহে ভাটা ভক্তদের ভিড়ে, কার্যত ফাঁকা থাকছে তারাপীঠ মন্দির

বীরভূম: বীরভূম লালমাটির জেলা।আর এই লালমাটির জেলার এক প্রসিদ্ধ সিদ্ধপিঠ তারাপীঠ। তারাপীঠ এক কথায় তন্ত্রপীঠ নামে পরিচিত। মূলত এক সময় বহু সাধু সন্ন্যাসীরা এই তারাপীঠ এসে তন্ত্র সাধনা করতেন।আর এই তারাপীঠের প্রতিষ্ঠিত দেবী মা তারা। মা তারাকে লক্ষী থেকে শুরু করে সরস্বতী,দুর্গা,কালী সমস্ত রূপে পুজোকরা হয়। বীরভূমের রামপুরহাট শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত তারাপীঠ মন্দির।

প্রত্যেকদিন এই তারাপীঠ মন্দিরের মা তারার দর্শনের জন্য হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে কখনওকখনওসেই ভক্তের সংখ্যা পেরিয়ে যায় কয়েক লক্ষ। তবে এক কথায় এখন অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে তারাপীঠে! কিন্তু কেন?কী রয়েছে পেছনে কারণ? মূলত বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকেই একলাফে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেড়েছে তাপমাত্রা। সকাল আটটার পর থেকে তীব্র রোদের দাপটে নাজেহাল জনজীবন। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিনের তাপমাত্রা প্রায় ৪৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর কাছাকাছি।

আরও পড়ুন : গরমে তারাপীঠ যেতে ভয় পাচ্ছেন! এসি রুমে বিরাট ছাড় চলছে সব হোটেলে! ভাড়া কত জেনে নিন

মূলত তীব্র গরমে জনশূন্য তারাপীঠ। সকাল ১০ টা পর্যন্ত দু একজন পর্যটকের দেখা মিললেও রোদের দাপটে দশটার পর থেকে শুনসানরাস্তাঘাট থেকে সবকিছু। অতিরিক্ত গরমের কথা মাথায় রেখে এবং পর্যটকের সুবিধার্থে তারাপীঠ হোটেলের এসি রুমের উপর প্রায় ৩০% ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবুও দেখা মিলছে না পর্যটকদের। এলাকাবাসী থেকে মন্দিরের সেবায়েতদের দাবি ‘এ যেন এক অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়েছে তারাপীঠে ‘।

আরও পড়ুন : একটি গাছের মৃত্যু! রবীন্দ্রনাথের বকুল ‘হত্যায়’ তদন্তের দাবি

তারাপীঠ মন্দিরের এক পুরোহিত এবং হোটেলের মালিক পুলক চট্টোপাধ্যায় জানান সংবাদমাধ্যমের পাওয়া খবর অনুযায়ী দীর্ঘ ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে এবছরের তাপমাত্রা রয়েছে। আর মূলত সেই কারণেই তারাপীঠ জনশূন্য। হোটেল থেকে সমস্ত রুমে ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও এই গরমে তারাপীঠ মুখী হচ্ছেন না পর্যটকেরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তার ফলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ছোট বড় দোকানদারদের।

সৌভিক রায়

Birbhum News: বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দারা কী বলছেন ভোট নিয়ে!

বীরভূম: সামনেই লোকসভা নির্বাচন আর হাতে মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। চতুর্থ দফায় সামনের মাসের ১৩ তারিখ লোকসভা নির্বাচন বীরভূমে। একদিকে বৈশাখ মাসের প্রথম থেকেই তীব্র দাবদাহ তার মধ্যে প্রচার চালাতে হচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। রাজনৈতিক ময়দানে এবং রাজনৈতিক যুদ্ধে কেউ কাউকে এক চুল জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের প্রচার কর্ম চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ চা-কফি ছাড়ুন, গরমে সকাল-বিকেল খান ঘরে তৈরি এই পানীয়! রোদ ছুঁতে পারবে না, শরীর থাকবে ঠান্ডা

ভোট আসে ভোট যায়, ঠিক যেমন গল্পে রয়েছে রাজা আসে রাজা যায়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছরে বীরভূম জেলার বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গ্রামে কতটা উন্নয়ন হয়েছে। কী রয়েছে সেই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, কী চাইছেন তাঁরা। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি লোকাল ১৮। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা, তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। তাঁদের কাছে কী দাবি রাখছে সেই এলাকার মানুষজন।

তবে, এই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর যে সকল প্রকল্প রয়েছে সে প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন তাঁরা। আবার অন্যদিকে দাঁড়িয়ে অনেক গ্রামবাসীদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর অনেক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। যেমন লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বার্ধক্য ভাতা অথবা বিধবা ভাতা। ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের দাবি ভোটযুদ্ধের ময়দানে যেই জয়ী হোক বা না হোক,তাঁদের অভাব অভিযোগপূরণ করা হোক।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর পালিত হয় লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের ময়দানে কেউ কাউকে এক চুল জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ। সমস্ত রাজনৈতিক দল একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বৈশাখ মাসের এই ৪৫ ডিগ্রির তাপমাত্রাতে রাজনৈতিক ময়দানে যুদ্ধ অব্যাহত। এখন দেখার বিষয় জনগণ কাকে জয়ী করে।

সৌভিক রায়

Birbhum News: ইষ্টি কুটুমের প্রভাব! বাংলা ধারাবাহিকের দেওয়া নামেই জনপ্রিয়তা এই গ্রামের, কোথায় জানেন

বীরভূম: টেলিভিশনের বিভিন্ন চরিত্র দর্শকের খুব কাছের হয়ে ওঠে।সেরকমই বলা যায় ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছিল বাহামণি-অর্চি বাবুরা। ২০১১-এর অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছিল ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিক।একটি বেসরকারি চ্যানেলে এই মেগা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল।বাহা শাড়ি থেকে, পলাশবনির গ্রামের উপভাষা, সবটাই সে সময় ছিল ট্রেন্ড। পুজোর বাজার করতে গিয়ে মহিলারা দোকানে গিয়ে বাহা শাড়ি দেখতে চাইতেন।এমনকী প্রচুর মিম তৈরি হয়েছিল সেই সময় নেটমাধ্যমে। সব মিলিয়ে,এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছিল ধারাবাহিকটি।

বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় এই সিরিয়ালের শ্যুটিং হয়েছিল। কবিগুরুর লাল মাটির জেলা বীরভূম আর এই লাল মাটি জেলার লাল মাটির শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন। এই শান্তিনিকেতন থেকে কিছু দূরে অবস্থিত সোনাঝুরির হাট আর সোনাঝুরি থেকে মাত্র পায়ে হেঁটে দুই মিনিটে দূরত্বে অবস্থিত রয়েছে বনের পুকুরডাঙা গ্রাম। সেই গ্রামে বহুদিন ধরে এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন শ্যুটিং হয়েছে। আর সেই সময় এই শুটিং দেখতে দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটকরা ভিড় জমাতেন এই গ্রামে।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! প্রচার শুরু করতেই বড় গোলমাল.. নেতা বললেন, ‘যব হাতি চলে বাজার..’

আরও পড়ুন: শিক্ষক ভাই দাদার সঙ্গে এমন কাজ করলেন! লুকিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ল ধরা

তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যায় আর তারপরে থেকেই বনের পুকুরডাঙা গ্রামটি পলাশবনি গ্রাম নামে পরিচিতি পায়। সেই গ্রামে এখন শ্যুটিং না হলেও বহু স্মৃতি থেকে গিয়েছে ।তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তারা জানাচ্ছেন ছোট থেকেই এই গ্রামটিকে বনের পুকুরডাঙা বলে জেনে আসছেন সবাই।ধারাবাহিকের পর এই গ্রামটি পলাশবনি নাম পেয়েছে। সকলেই চান, গ্রামটি সিরিয়ালের জন্য নাম অর্জন করলেও পুরনো নামেই থাক তার পরিচিতি ।

সৌভিক রায়