কলকাতা: অফিসটাইমে মাথায় হাত। ৫ মিনিটের পথ বাকি ছিল, তাতেই গাড়ি আটকে ৩০ মিনিট! রোজ রোজ স্কুল, কলেজ যেতেও দেরি। বাস নড়তেই চায় না। এত যানজট হলে কী ভাবে চলবে? সম্প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল প্রশাসন।
জেলায় জেলায় শহরাঞ্চলে যানজটের ছবি চোখে পড়ছে। বিপর্যস্ত জনজীবন। ট্রাফিক পুলিশদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন এডিজি ট্রাফিক। জানালেন, ট্রাফিক কন্ট্রোল নিয়ে শীঘ্রই আবার বৈঠক ডাকা হবে। বর্ষার প্রকোপ বাড়তে পারে যে কোনও মুহূর্তে। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তির স্বীকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে ট্রাফিক নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়। বৈঠকে ট্রাফিক নিয়ে সিপিএসপিতে বিশেষ করে সতর্ক করলেন এডিজি ট্রাফিক। বিভিন্ন রাস্তায় বাম্পারের আগে কেন সাদা লাইন রাখা হচ্ছে না? বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন শীর্ষ পুলিশকর্তারা।
শুধু তাই-ই নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে। তা নিয়ে উদ্বেগে মুখ্য সচিব। কোচবিহার, আসানসোল-দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি কমিশনারেট, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। কেন এত পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে? প্রশ্নের মুখে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কমিশনাররা। প্রশ্নের মুখে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারও। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রচার কর্মসূচিতে জায়গায় জায়গায় আরও জোর দেওয়ার নির্দেশ মুখ্য সচিবের। এখনও কেন একাধিক জায়গায় ব্ল্যাক স্পটগুলোতে দুর্ঘটনা কমাতে পদক্ষেপ করা হয়নি? প্রশ্নের মুখে একাধিক জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা। দুপুর ৩টে থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পথ দুর্ঘটনার সমীক্ষা নিয়ে বৈঠক চলে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।