পূর্ব বর্ধমান: রাত পোহালেই রথযাত্রা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। রাজ্যজুড়ে যেন সাজো সাজো রব। রথযাত্রার আগে বিভিন্ন জায়গায় জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। সেরকমই রথযাত্রার প্রাক্কালে আবারও এক নতুন চমক দিলেন পূর্ব বর্ধমানের তপন বাবু। রথযাত্রার পূর্বে আবারও পূর্ব বর্ধমানে দেখা গেল এক অসাধারণ ছবি। ফেলে দেওয়া বাতিল বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে কোনারকের সূর্য মন্দির তৈরি করে, তাক লাগিয়ে দিলেন পেশায় শিক্ষক তপন দাস।
এই প্রসঙ্গে তপন বাবু বলেন, “আমি পুরীর কোনারক সূর্য মন্দির তৈরি করেছি। রথযাত্রা উদ্দেশ্য করে আমি এই মন্দির বানিয়েছি। গুসকরা শহরের স্থানীয় বাজার থেকে বিভিন্ন ওয়েস্ট মেটেরিয়াল সংগ্রহ করে এই মন্দির তৈরি করেছি। এটাই প্রথম নয় এর আগেও আমি বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেছি ওয়েস্ট মেটেরিয়াল দিয়ে। গত বছর রথযাত্রার আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছিলাম।”
পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহরের বাসিন্দা তপন দাস। তপনবাবু গুসকরার রায় রামচন্দ্রপুর এন বি বিদ্যাপীঠ-এর শিক্ষক। জানা গিয়েছে, শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে তপনবাবুর সাহিত্য, সৃজনী, শিল্প, খেলাধুলো এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর এক আলাদা আগ্রহ রয়েছে। এর আগেও তপনবাবু বিভিন্ন ধরনের জিনিস বানিয়ে সকলকে অবাক করেছিলেন। সেরকমই এবার রথযাত্রার প্রাক্কালে তাঁর নতুন চমক কোনারকের সূর্য মন্দির। এই প্রসঙ্গে তপন বাবু আরও বলেন , “এপ্রিল মাস থেকে আমি এই কাজ করতে শুরু করেছিলাম। আমার টার্গেট ছিল রথযাত্রার এক সপ্তাহ আগেই এই কাজ আমি শেষ করব। এত কঠিন কাজ মাঝখানে এসে মনেও হয়েছিল যে হয়তো আমি সম্পূর্ণ করতে পারবো না। কিন্তু সারা দিনে আমি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে এবং গ্রীষ্মের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে এই মন্দির সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। রথযাত্রার আগে জনসম্মুখে এই মন্দির আনতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।”
তপন বাবু যে মন্দির তৈরি করেছেন তা সত্যিই নজরকাড়া। খবরের কাগজ, জেরক্স পেপার,কার্ডবোর্ড, সুতো সহ আরও বেশ কিছু বাতিল সামগ্রী দিয়ে তৈরি, এই মন্দির দেখলে মুগ্ধ হবেন অনেকেই। দীর্ঘ পরিশ্রমের দ্বারা সৃষ্টি এই মন্দির সত্যিই অসাধারণ। পেশায় শিক্ষক পূর্ব বর্ধমানের তপন বাবুর হাতের জাদুতে যেন অন্য রূপ পেয়েছে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। সবমিলিয়ে রথযাত্রার প্রাক্কালে কোনারকের সূর্য মন্দির তৈরি করে আবারও নতুন চমক দিলেন পূর্ব বর্ধমানের তপন দাস।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী