মোদির চিঠি

Narendra Modi Sketch: বাঁকুড়ার যুবককে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! কারণ জানলে অবাক হবেন

বাঁকুড়া: ছবি দেখে বাঁকুড়ার শিল্পীকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি পেয়ে আপ্লুত খাতড়ার শিল্পী মহান দত্ত। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট থেকেই আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিলই তাঁর। মোদির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা তাঁর। সেই থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে অবশেষে মোদির ছবি এঁকে তাঁর কাছে পৌঁছলেন খাতড়ার মহান।

খাতড়ার বাড়িতে এল প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসিত শুভেচ্ছা পত্র। বাঁকুড়ার খাতড়ার বিবেকানন্দ রোডের ১৯ বছরের যুবক মহান দত্ত বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের আইনের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকার নেশা বরাবরই। প্রশিক্ষণ নিয়ে রং পেন্সিলে আঁকতেন প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য থেকে মনীষী ও দেব-দেবীর ছবি। পরে ইউটিউব দেখে স্কেচ শুরু করেন।

নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, থেকে দেবাদিদেব শিবের বিভিন্ন ধরনের পেন্সিল স্কেচ করেন মহান। সুপ্ত বাসনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি যদি তাঁরই কাছে কোনওভাবে পৌঁছনো যায়। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদির বিভিন্ন সভায় অনেককেই ছবি দিতে দেখেন মহান। বিভিন্ন সভায় টেলিভিশনে সেই দৃশ্য দেখে বাবাকে বলেন মহান। পরে স্থানীয় রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সঙ্ঘের লোকজনের সঙ্গে ওন্দার নিকুঞ্জপুরের রাজনৈতিক সভায় মোদির কাছে ছবি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন মহানের বাবা। সেখানে গিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে আঁকা ছবি তুলে দিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: বর্ষায় সংক্রমণের রোগ! সারা গায়ে দাগ, চুলকানি… চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

সম্প্রতি ডাকযোগে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি এসে পৌঁছায় খাতড়ার বিবেকানন্দ রোডের বাড়িতে। খাম দেখেই বুঝতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর চিঠি। আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভাসেন পরিবারের সদস্যরা। মোদির দফতর থেকে চিঠি এসেছে। চিঠিতে শিল্পী মহানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাঁর এই সুন্দর কাজ যে হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে, সেকথা লেখা রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ যে সাহিত্য সংস্কৃতির পীঠস্থান, সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আঁকাও যে বড় শিল্প সে কথা বলা রয়েছে। মহানের শিল্প দক্ষতার প্রশংসা করে আগামীদিনে আরও সাফল্য অর্জনের শুভেচ্ছা রয়েছে।

শিল্পী মহান বলেন, ”অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে আঁকা ছবি পৌঁছে দেওয়ার। সেই মতো ছবি পৌঁছে দিই। কিন্তু এইভাবে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর‌ চিঠি পাব, ভাবতে পারিনি। চিঠি পাওয়ার পরে খুশি পরিবারের সবাই,এমনটাই জানান‌ মহান। মহানের বাবা খাতড়া বাজারের অলংকার ব্যবসায়ী মন্টু দত্ত বলেন, ”ছেলের ইচ্ছের সঙ্গে আমি নিজেও আগ্রহ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ছবি পৌঁছে দিয়েছিলাম। তবে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা পত্র আসবে‌ এটা কোনওদিন কল্পনাও করতে পারিনি আমরা।” মোহনের মা রঞ্জু দত্ত বলেন, ”পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছেলে। ছোট থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি দেখে তিনি নিজেও বিস্মিত।

মহানের প্রতিবেশী বিলাস মল্লিক বলেন, ”মহান ছোট থেকে ভাল ছবি আঁকে। মহানের আঁকা ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী যে শুভেচ্ছা পত্র পাঠিয়েছেন এটা শুনে মহানের পরিবারের লোকজনদের পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই খুবই আনন্দিত।”

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী