প্রতীকী ছবি৷

Crime news: চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াকে সারা শরীরে গরম চামচের ছ্যাঁকা! অভিযুক্ত কাকিমা

মালদহ: শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল কাকিমার বিরুদ্ধে। মালদহে চামচ আগুনে গরম করে নয় বছরের শিশুর শরীরে বারবার ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শিশুটির কাকিমার বিরুদ্ধে।

ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া। ইংরেজবাজারের গান্ধিপার্ক এলাকার ঘটনা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। ঘটনায় সরব প্রতিবেশীরাও। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত কাকিমা। এদিকে পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, অভিযোগ জানানোর পরেও তৎপর হয়নি ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ শহরের ইংরেজবাজার থানার গান্ধিপার্ক এলাকার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: হাবড়ার ‘আয়রন ম্যান’কে সুস্থ জীবনে ফেরানোর উদ্যোগ, শরীর থেকে ছাড়ানো হল কয়েক কিলো তার

পরিবারের দাবি, শিশুটির অসাবধানতাবশত ধূপকাঠির ছ্যাঁকা লাগে কাকাতো বোনের গায়ে। এতেই রাগে অগ্নিশর্মা কাকিমা। তার জেরে নয় বছরের ওই শিশু কন্যাকে চামচ গরম করে গোটা শরীরে ছ্যাঁকা দেয় সেই কাকিমা। শরীরের একাধিক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার ছবি স্পষ্ট। জ্বালাযন্ত্রণা আর আতঙ্কে ভুগছে অসুস্থ শিশুটি। অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন মহিলারাও।

অসুস্থ শিশুটির মা আদুরী সাহা অভিযোগ করে বলেন, “আগেও মেয়ের ওপর নানা ভাবে অত্যাচার করেছে ছোট জা (অভিযুক্ত কাকিমা)। কেন এই একরত্তি শিশুর ওপর আক্রোশ তা স্পষ্ট নয়। এর আগেও বকাঝকা এবং অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে তা পারিবারিকভাবেই সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এভাবে শিশুকে পুড়িয়ে দিতে পারে তা কল্পনায় করতে পারিনি”। প্রতিবেশীরা বলেন, “এলাকার সব শিশুরা একত্রিত হয়ে খেলে। বেশিরভাগ ঘরেই শিশুরা রয়েছে। এভাবে খেলার সময় কোনও সমস্যা হলে যদি অন্য শিশুদের শাস্তি দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা চাই পুলিশ তৎপর হয়ে বিষয়টির সমাধান করুন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।

মালদহ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপারসন অম্বরীশ বর্মণ জানান, বিষয়টি বর্বরোচিত ও নিন্দনীয়, পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি শিশুটি এবং তার পরিবারকে আইনি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও সহযোগিতা দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা বেপত্তা হয়ে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।