গাছের পরিচর্যায় পড়ুয়া

Indoor Plant Business: কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’হাত ভরে আয়! বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুবকের কামাল

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই বাড়ির বড়দের দেখে ফুল-ফলের গাছ লাগানো তার নেশা। সেই নেশাকে প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জিইয়ে রেখেছে কলেজ ছাত্র সৌগত নন্দ। গাছ লাগানোর সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে পেশাতে। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এই কলেজ পড়ুয়া।

বাড়িতে প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই যুবক। পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা থেকেই বাড়িতে একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করেছে সে। দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা উঁচুডিহা। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকেই স্নাতক পাস সৌগত নন্দ বাড়িতেই নিতান্তই শখের বসে শুরু করেন গাছ লাগানো। সেটাই এখন তাঁর পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের মুখে মহাকুমাশাসক

বর্তমানে তাঁর কাছে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি ভূগোল নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। ২০২১ এ করেছেন বিএড কোর্স। এরপর তিনি এক বছর লাইব্রেরি সায়েন্স ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

বাড়িতে সামান্য জায়গায় ফার্ম হাউস করে চাষ প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্টের। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইনে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ইনডোর প্ল্যান্ট বিক্রি করছেন। ফার্ন, অ্যাডেনিয়াম, হোয়া, অ্যানফরিয়াম, ক্যাকটাস প্রজাতি, অক্সালিস, অ্যালোকেসিয়া, মনস্টার অ্যালবো সহ একাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে তাঁর কাছে। দাম ৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি কাশ্মীর, আন্দামান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। সামান্য পরিচর্যায় এই গাছের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত ছোট থেকে নেশা থাকায় এক এক করে তিনি থাইল্যান্ড, ইকুইজেনেরিয়া সহ গ্রামীণ বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি এক একটি গাছ সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিচর্যায় বড় করে তুলেছেন ইনডোর প্লান্ট ফার্ম। বর্তমানে তা বিক্রি করে মাসিক প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত তিনি রোজগার করছেন। বাড়িতে পড়াশোনার পরে চলে তাঁর গাছ পরিচর্যার কাজ। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।

রঞ্জন চন্দ