Tag Archives: College Student

West Medinipur News: মনের মতো ফ্লেভারে জিভে জল আনা চকোলেট! প্রিয়জনের মন রাখতে ভরসা এখন এই তরুণী!

পশ্চিম মেদিনীপুর: কোনও অনুষ্ঠান হোক, বা কাউকে উপহার দিতে আমাদের প্রথম পছন্দ থাকে চকোলেট। বাজারে কিনতে পাওয়া বিভিন্ন প্যাকেটজাত চকোলেট আমরা সাধারণত উপহার দিয়ে থাকি। তবে এমন যদি চকোলেট হয় যা নিজেদের মনের মতো, একেবারে আলাদা!

মনের মতো স্বাদও হল, আবার প্যাকেজিংও— এমন হলে তো বেশ ভালই হয়! সেই  ইচ্ছা পূরণের ভার নিলেন এক কলেজ পড়ুয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা সেই কলেজ ছাত্রীর নাম ববি সিং। দারুণ সব ফ্লেভার, কাস্টমাইজড কভার দিয়ে বিশেষ চকোলেট তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি।

মাসিক আয়ের পাশাপাশি যুব প্রজন্মকে ববি দিচ্ছেন  স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। ক্রেতার মনের মতো চকোলেট বানিয়ে দেন ববি। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। শুধু তাই নয় চকোলেটের মোড়কের পাশাপাশি গিফট-প্যাকও বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

এ বার আপনার পছন্দের মানুষকে তাঁর পছন্দ মতো চকোলেট দিতে পারবেন আপনিও। মোড়কে থাকবে আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের প্রিয় ছবি। থাকতে পারে  বিভিন্ন কাস্টমাইজড লেখাও। জন্মদিন হোক কিংবা বিশেষ দিনের উপহার দিতে পারবেন প্রিয় জনকে।

পড়াশোনার পাশাপাশি এই চকোলেট বানানোর কাজ করেন ববি। করোনার সময় থেকে বাড়িতেই তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের চকোলেট। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি করছেন সেগুলো।

করোনার সময়ে ঘরবন্দি অবস্থা ছিল সকলের। বাড়িতে থাকাকালীন ববি বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড চকোলেট তৈরি শুরু করেন। ক্যান্ডি, ললিপপ থেকে বড় চকোলেটের দাম ৫ টাকা থেকে ২০০-৩০০ টাকাপর্যন্ত। শুধু তা-ই নয়, পছন্দের ফ্লেভার দিয়ে চকোলেট তৈরি করতে ভালবাসেন তিনি। জন্মদিন হোক কিংবা দুর্গাপুজোর প্রতিটি দিন আপনার প্রিয়জনের হাতে তুলে দিন ববির তৈরি চকোলেট।

আরও পড়ুন- শ্রাবণের পুণ্য লগ্নে পুজো দিতে এসে মৃত্যু! গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ৬ পুণ্যার্থীর

ববি বর্তমানে স্নাতকোত্তর বিভাগে পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি ভ্রমণের ইচ্ছে তাঁর। শুধু তা-ই নয় বিভিন্ন সময়ে পশুপাখির পরিচর্যা করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে করোনার সময় থেকে শুরু করেছেন চকোলেটের ব্যবসা।

সামান্য খরচে চকোলেট বানিয়ে মাসে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ জুটছে তাঁর। সরকারি এবং বেসরকারি মেলাতেও স্টল দিচ্ছেন ববি।  এ ভাবেই সমবয়সিদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন তিনি পড়তে পড়তেই।

রঞ্জন চন্দ

Murshidabad news: কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে

মুর্শিদাবাদ: কলেজ ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল সামশেরগঞ্জে। সামশেরগঞ্জ থানার মধ্য চাচন্ড গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সোহেল রানা (১৯)। জঙ্গিপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সোহেলের। মধ্য চাচন্ড গ্রামে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন-সহ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: জানতেন ওজন বেশি! ভয়ে ছিলেন ভিনেশ, সারা রাত যা যা করলেন, ভাবতে পারবেন না…

বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সামশেরগঞ্জ থানার মধ্য চাচণ্ড গ্রামের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সোহেল রানা। অরঙ্গাবাদ ডিএন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে প্রথমে সুতির মহেশাইল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে তাকে রেফার করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসার মত অবস্থায় ছিল না ছাত্রটি।

আরও পড়ুন: তারকেশ্বর গেলে সোনায় সোহাগা! বাড়ছে ৮ জোড়া ট্রেন, দাঁড়াতে হবে না টিকিটের লাইনেও

পরিবারের সদস্যরা ওমরপুর তালাইমোড়ের ত্রুটি বেসরকারি নার্সিংহোমের আইসিসিইউ-তে ভর্তি করেন। সেখানেই মঙ্গবার রাতে মৃত্যু হয় সোহেলের। সোহেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবার-সহ গোটা এলাকায়। মৃত ছাত্রের বাবা হাবিবুল্লা শেখ বলেন, “৫ দিন ধরে জ্বর না কমায় ছেলের রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করলে কোনও ওষুধই নিতে পারেনি। সেখানেই মৃত্যু হয়”। যদিও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যাল বলেন, “মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়েই মৃত্যু হয়েছে। তবে ডেঙ্গুর কারনেই মৃত্য কিনা তা এখনই বলা যাবে না। আমরা সমস্ত পরীক্ষার কাগজপত্র তদন্ত করে দেখছি।”

Fingerprint E-Bike: ফিঙ্গারপ্রিন্টে চালু হবে ই-বাইক! তৈরি করে চমকে দিল পাথরপ্রতিমার ছেলে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার পরিবেশবান্ধব ই-বাইক তৈরি করে তাক লাগাল পাথরপ্রতিমার এক আইটিআই কলেজ ছাত্র। ওই ছাত্রের নাম রেজাউল করিম মোল্লা। বাইকটি ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অন হবে। ফলে বাইক চুরির চেষ্টা সহজেই রোখা যাবে‌।

পাথরপ্রতিমার গঞ্জের বাজার আইটিআই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে এই ই-বাইকটি সকলের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে। এই বাইকের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এই বাইকে লিথিয়াম-ফসফেট ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। খুবই হালকা এবং পরিবেশ-বান্ধব এই বাইকটি চার্জ হবে দ্রুত। মোবাইলের মাধ্যমে এই বাইকটিকে পরিচালনা করা যাবে। জিপিএসের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই জানা যাবে বাইকটি কোথায় কোন স্থানে আছে।

আর‌ও পড়ুন: আবারও মানবিক ভূমিকায় পুলিশ, রক্ষা পেল প্রাণ

নিজের কলেজের ছাত্রের এই উদ্ভাবনী চিন্তায় খুশি আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ অয়ন দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজের ছাত্রের এই উদ্ভাবনী ভাবনা নজর কেড়েছে অনেকের। এই বাইকটি পরিবেশবান্ধব বাইক তৈরি হওয়ায় ভবিষ্যতে এই বাইকের চাহিদা হতে পারে বাজারে এমন মনে করছেন তিনি। পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। তার তৈরি এই নতুন বাইক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছিলেন। নতুন এই বাইক তৈরি করে আপতত এলাকার হিরোতে পরিণত হয়েছেন তিনি।

নবাব মল্লিক

Indoor Plant Business: কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’হাত ভরে আয়! বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুবকের কামাল

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই বাড়ির বড়দের দেখে ফুল-ফলের গাছ লাগানো তার নেশা। সেই নেশাকে প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জিইয়ে রেখেছে কলেজ ছাত্র সৌগত নন্দ। গাছ লাগানোর সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে পেশাতে। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এই কলেজ পড়ুয়া।

বাড়িতে প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই যুবক। পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা থেকেই বাড়িতে একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করেছে সে। দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা উঁচুডিহা। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকেই স্নাতক পাস সৌগত নন্দ বাড়িতেই নিতান্তই শখের বসে শুরু করেন গাছ লাগানো। সেটাই এখন তাঁর পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের মুখে মহাকুমাশাসক

বর্তমানে তাঁর কাছে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি ভূগোল নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। ২০২১ এ করেছেন বিএড কোর্স। এরপর তিনি এক বছর লাইব্রেরি সায়েন্স ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

বাড়িতে সামান্য জায়গায় ফার্ম হাউস করে চাষ প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্টের। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইনে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ইনডোর প্ল্যান্ট বিক্রি করছেন। ফার্ন, অ্যাডেনিয়াম, হোয়া, অ্যানফরিয়াম, ক্যাকটাস প্রজাতি, অক্সালিস, অ্যালোকেসিয়া, মনস্টার অ্যালবো সহ একাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে তাঁর কাছে। দাম ৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি কাশ্মীর, আন্দামান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। সামান্য পরিচর্যায় এই গাছের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

প্রসঙ্গত ছোট থেকে নেশা থাকায় এক এক করে তিনি থাইল্যান্ড, ইকুইজেনেরিয়া সহ গ্রামীণ বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি এক একটি গাছ সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিচর্যায় বড় করে তুলেছেন ইনডোর প্লান্ট ফার্ম। বর্তমানে তা বিক্রি করে মাসিক প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত তিনি রোজগার করছেন। বাড়িতে পড়াশোনার পরে চলে তাঁর গাছ পরিচর্যার কাজ। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।

রঞ্জন চন্দ

Bankura News: ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

বাঁকুড়া: সাহসিকতার পরিচয় দিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ভয় না পেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদায়িত্ব। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গাড়িচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তবে যে সে গাড়ি নয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির একটি শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালাচ্ছেন পূজা মণ্ডল।

মানুষের অন্তিম যাত্রার সহায়ক হলেও ‘স্বর্গের রথ’ বা শববাহী গাড়িকে অবহেলার চোখেই দেখে সমাজ। বাঁকুড়াতেও রয়েছে নেতিবাচক উদাহরণ। সম্প্রতি বড়জোড়ার শব বহন করা গাড়িকে পেট্রোল দিতে চাননি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। টুকটাক কাজ যেমন,টায়ার সারানো কিংবা সার্ভিসিং করাতে গেলেও অনেক সময় এই গাড়িগুলির চালকদের বেগ পেতে হয়। সাধারণ মানুষের একাংশের চোখে এই গাড়িগুলি অপবিত্র এবং অস্পৃশ্য।

তা সত্ত্বেও হাসিমুখে এই কাজ করে চলেছেন ছাত্রী পূজা। কিন্তু কেন? জানা যায়, নেপথ্যে রয়েছে চমকপ্রদ একটি গল্প। ২০১৪ সালে গাড়িটি কেনা হয় সংগঠনের তরফে। তখন থেকে গাড়িটি চালাতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল চালককে। পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গিয়েও হয়েছে ঝামেলা। এছাড়াও সিট কভার লাগিয়ে দিতেও চাননি কোনও ব্যবসায়ী। বড়জোড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই থাকত এই ‘স্বর্গের রথ’,কিন্তু কোনও ড্রাইভারই চালাতে চাইতেন না গাড়িটিকে। এর পর পূজা মণ্ডল বড়জোড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৮ সালে প্রথম রক্তদান করেন তিনি। তার পর ২০২১ সালে দুর্গাপুরে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে করতেই শবদেহ বহনকারী এই গাড়ির দায়িত্ব নেন পূজা। মূলত মানুষকে সচেতন করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত পূজার। তাঁর দাবি, আর পাঁচটা যানবাহনের মতই এটিও একটি স্বাভাবিক যান, কোনও অপবিত্র বস্তু নয়। এই চিন্তা থেকেই গাড়িটি চালানো শুরু করেন পূজা। এর পর ধীরে ধীরে চড়াই উতরাই পার করে,মানুষের মনের পরিবর্তন দেখেছেন তিনি। আগের মত আর গাড়িটি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে ড্রাগন ফল! স্কুলের ছাদবাগানের ফলনেই পুষ্টির জোগান ছাত্রদের

সমাজসেবা নিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন পূজা। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন সচেতনতার প্রচার এবং সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। বর্তমানে পূজার নাম অনেকেই জানেন। তাঁকে উদাহরণ হিসাবে মনে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর থেকে শুরু করে ভাইস চ্যান্সেলর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত সকলেই এক ডাকে চেনেন পূজাকে। বড়জোড়ার বাড়িতে তাঁর বাবা-মাও তাঁকে নিয়ে গর্বিত। পূজার মা টুম্পা মণ্ডল বলেন,”আমার তো বেশ ভালই লাগে। প্রথম যখন আমার মেয়ে ঠিক করে যে গাড়িটা চালাবে,তখন খুব ভয় লাগত। এত বড় গাড়ি কি ও আদৌ চালাতে পারবে? তার পর ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এখন আমি খুব খুশি।”

বাঁকুড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে বড়জোড়ার রাস্তাঘাটে শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালিয়ে যান পূজা। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে শবদেহর স্ট্রেচার টেনে বাইরে আনা পর্যন্ত একা হাতেই সামলান সব কিছু। এতে ক্লান্তি নেই, দায়িত্ব নিতে পারায় জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেন পূজা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Gourbanga University: পাশ মাত্র ৩%! ফেল ৭০০০-এর বেশি, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম সেমেস্টারে নজিরবিহীন খারাপ ফল

মালদহ: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম সেমিস্টারে পরীক্ষায় নজিরবিহীন খারাপ ফল। সব বিষয়ে পাশ মাত্র ৩ শতাংশ পড়ুয়া! বাকি ৯৭ শতাংশ পড়ুয়াই এক বা একাধিক বিষয়ে পাশ করতে পারেননি। তাঁদের অকৃতকার্য হওয়া বিষয়গুলিতে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণই হতে পারেনি এমন পড়ুয়ার সংখ্যা সাত হাজারেরও বেশি।

প্রকাশিত ফল প্রত্যাহারের দাবিতে গৌড়বঙ্গে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে তদন্ত কমিটি গঠন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের।মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ২৫টিরও বেশি কলেজের ৩৭ হাজার ৭৪৮ জন ছাত্রছাত্রী এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় বসেছিলেন। এর মধ্যে সমস্ত বিষয়ে উত্তীর্ণ মাত্র ১২৪২ জন ছাত্রছাত্রী। দ্বিতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ পেলেও এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য পড়ুয়ার সংখ্যা ২৮ হাজার। পাশাপাশি দ্বিতীয় সেমিস্টারের উঠতে পারেননি এমন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাত হাজার ৩০১জন।

আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে আতঙ্ক! গার্ড ছাড়াই হঠাৎ চলতে শুরু করল ব্যান্ডেল লোকাল, প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপ যাত্রীদের!

জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হওয়ার পর এই প্রথম স্নাতকস্তরে কলেজগুলিতে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হল। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সেমিস্টার থেকে দ্বিতীয় সেমিস্টারে পৌঁছতে হলে সাতটি বিষয়ের মধ্যে অন্তত দু’টি বিষয়ে ৪০ শতাংশ নম্বরের প্রয়োজন। এক বা একাধিক বিষয়ে পাশ মার্ক না পেলেও দ্বিতীয় সেমিস্টারে পৌঁছানো সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে পড়ুয়াদের নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে ওই বিষয়গুলিতেও ৪০ শতাংশ নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এক বা একাধিক অনুত্তীর্ণ বিষয়ে ফের পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে। এমন খারাপ ফলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে সোমবার বিভিন্ন কলেজ থেকে পড়ুয়ারা এসে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান। নম্বর বৃদ্ধির আশায় সমস্ত বিষয়ে রিভিউয়ের সুযোগ এবং প্রকাশিত ফল নতুন করে পর্যালোচনার দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। পাশাপাশি কলেজস্তরে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না বলেও দাবি আন্দোলনকারীদের।

এদিকে নজিরবিহীন ফল পর্যালোচনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। কেন এমন খারাপ ফল, খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টারের ফল আশানুরূপ হয়নি বলে স্বীকার কর্তৃপক্ষেরও। তবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় যেমন ভুলের দাবি আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা করছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকারের। এই পরিস্থিতিতে তদন্ত রিপোর্টের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ বলে খবর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের।

Travel to Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ! কলেজ ছাত্রের সঙ্গী নারী সুরক্ষা ও জল অপচয় বন্ধের বার্তা

হুগলি: নারী সুরক্ষা ও জল অপচয় রোধের বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে লাদাখের পথে ডানকুনির ছেলে অরিজিৎ চক্রবর্তী। ২২৭৪ কিলোমিটার পথ পেয়ে হেঁটে পাড়ি দেবেন। ৭০ থেকে ৮০ দিন ধরে চলবে তাঁর এই যাত্রা। ৮০ দিনের মধ্যেই পায়ে হেঁটে লাদাখ পৌঁছানোর লক্ষ্য স্থির করেছে অরিজিত। এর আগে পায়ে হেঁটে হাওড়া থেকে দার্জিলিং গিয়েছিলেন তিনি। এবার নতুন চ্যালেঞ্জের পথে রওনা দিয়েছে।

অরিজিতের কথায়, লাদাখ যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর বহু দিনের। কয়েক মাস আগে আরামবাগের প্রদীপ মণ্ডল পেয়ে হেঁটে লাদাখ থেকে ঘুরে আসেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনিও এবার পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে পড়েছে লাদাখের উদ্দেশে। এর আগে সচেতনতা বার্তা নিয়ে হওড়া থেকে দার্জিলিং গিয়েছিলেন পায়ে হেঁটে। কলেজে পড়াশোনা করার পাশাপাশি তাঁর এই সচেতনতা বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে লাদাখ যাওয়ায় পুরোপুরি সম্মতি দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

আর‌ও পড়ুন: বিরোধীদের আশ্বস্ত করতে সন্দেশখালিতে ঘুরে ঘুরে বিধায়কের মাইকিং

নিজের লক্ষ্যে অনড় থেকে লক্ষ্য পূরণের জন্য ভোর হতেই বেরিয়ে পরে সে। বৃহস্পতিবার এসে উপস্থিত ন আরামবাগে। এদিন আরামবাগে এসে প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে অরিজিত। প্রদীপ যে রেস্টুরেন্টে কাজ করেন সেই রেস্টুরেন্টের মালিক আজ অরিজিতের খাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানেই প্রদীপ ও অরিজিত একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সরেন। এর পরে অরিজিৎ আবার বেরিয়ে পড়েন তাঁর গন্তব্যের পথে।

আগামীতে পথ চলায় কোথায় কোথায় বাধা বিপত্তি আসতে পারে সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রদীপ। একইসঙ্গে অরিজিতের যাত্রাপথ যাতে ভাল হয় এবং সবকিছু ভালো করে সে মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে সেই আশায় সকল শুভাকাঙ্ক্ষী।

রাহী হালদার