পশ্চিম মেদিনীপুর: কোনও অনুষ্ঠান হোক, বা কাউকে উপহার দিতে আমাদের প্রথম পছন্দ থাকে চকোলেট। বাজারে কিনতে পাওয়া বিভিন্ন প্যাকেটজাত চকোলেট আমরা সাধারণত উপহার দিয়ে থাকি। তবে এমন যদি চকোলেট হয় যা নিজেদের মনের মতো, একেবারে আলাদা!
মনের মতো স্বাদও হল, আবার প্যাকেজিংও— এমন হলে তো বেশ ভালই হয়! সেই ইচ্ছা পূরণের ভার নিলেন এক কলেজ পড়ুয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা সেই কলেজ ছাত্রীর নাম ববি সিং। দারুণ সব ফ্লেভার, কাস্টমাইজড কভার দিয়ে বিশেষ চকোলেট তৈরি করে দিচ্ছেন তিনি।
মাসিক আয়ের পাশাপাশি যুব প্রজন্মকে ববি দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। ক্রেতার মনের মতো চকোলেট বানিয়ে দেন ববি। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। শুধু তাই নয় চকোলেটের মোড়কের পাশাপাশি গিফট-প্যাকও বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
এ বার আপনার পছন্দের মানুষকে তাঁর পছন্দ মতো চকোলেট দিতে পারবেন আপনিও। মোড়কে থাকবে আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের প্রিয় ছবি। থাকতে পারে বিভিন্ন কাস্টমাইজড লেখাও। জন্মদিন হোক কিংবা বিশেষ দিনের উপহার দিতে পারবেন প্রিয় জনকে।
পড়াশোনার পাশাপাশি এই চকোলেট বানানোর কাজ করেন ববি। করোনার সময় থেকে বাড়িতেই তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের চকোলেট। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি করছেন সেগুলো।
করোনার সময়ে ঘরবন্দি অবস্থা ছিল সকলের। বাড়িতে থাকাকালীন ববি বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড চকোলেট তৈরি শুরু করেন। ক্যান্ডি, ললিপপ থেকে বড় চকোলেটের দাম ৫ টাকা থেকে ২০০-৩০০ টাকাপর্যন্ত। শুধু তা-ই নয়, পছন্দের ফ্লেভার দিয়ে চকোলেট তৈরি করতে ভালবাসেন তিনি। জন্মদিন হোক কিংবা দুর্গাপুজোর প্রতিটি দিন আপনার প্রিয়জনের হাতে তুলে দিন ববির তৈরি চকোলেট।
আরও পড়ুন- শ্রাবণের পুণ্য লগ্নে পুজো দিতে এসে মৃত্যু! গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ৬ পুণ্যার্থীর
ববি বর্তমানে স্নাতকোত্তর বিভাগে পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি ভ্রমণের ইচ্ছে তাঁর। শুধু তা-ই নয় বিভিন্ন সময়ে পশুপাখির পরিচর্যা করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে করোনার সময় থেকে শুরু করেছেন চকোলেটের ব্যবসা।
সামান্য খরচে চকোলেট বানিয়ে মাসে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ জুটছে তাঁর। সরকারি এবং বেসরকারি মেলাতেও স্টল দিচ্ছেন ববি। এ ভাবেই সমবয়সিদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে রোজগারের পথ দেখাচ্ছেন তিনি পড়তে পড়তেই।
রঞ্জন চন্দ