আমের আঁটির বাজার

Mango Seeds Market: আম আঁটির বাজার! আম খেয়ে আঁটি ফেলে না দিয়ে বিক্রি করুন

পূর্ব বর্ধমান: আম নয়, আমের আঁটির পাইকারি বাজার রয়েছে এই জেলায়। আমের আঁটি কেনার জন্য ভিন রাজ্য থেকেও পাইকাররা আসেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। এখানে রেল স্টেশনের কাছেই রয়েছে এই আমের আঁটির বাজার।

আপনি হয়ত এই বাজারের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন। তবে অবাক হলেও আদতে এটাই সত্যি। কিন্তু আমের আঁটি কেন বিক্রি হয়? কী করা হয় এই আমের আঁটি দিয়ে? কারা সংগ্রহ করেন এই জিনিস? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আসলে আমের আঁটি কেনেন রাজ্য সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন নার্সারির মালিকেরা। আমের আঁটি কিনে সেইগুলো থেকে আবার নতুন করে তাঁরা গাছের চারা তৈরি করেন। পরবর্তিতে বিক্রি হয় সেই সমস্ত গাছের চারা। বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে হাতেগোনা কয়েকজন আড়তদার রয়েছেন যাঁরা এই আঁটি স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের বিক্রি করেন। এই বিষয়ে আড়তদার বাবলু মণ্ডল বলেন, স্থানীয়রা আমের আঁটি নিয়ে আসে, আমরা কিনে নিই। ১ টিন আমের আঁটির দাম দেওয়া হয় একশো থেকে দেড়শো টাকা। পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে এই আমের আঁটি কিনে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণ

আম খাওয়ার পর সাধারণত আমের আঁটি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া আমের আঁটি কুড়িয়েই অর্থ উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার বহু মানুষ। এমনকি মহিলারাও বর্তমানে এই আঁটি কুড়ানোর কাজ করছেন। ভোর হলেই তাঁরা ঝোলা অথবা বস্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তারপর ট্রেনে , বাসে দূর দূরান্ত ঘুরে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন ফেলে দেওয়া আমের আঁটি। পরবর্তিতে তাঁরা আড়তদারদের সেই আঁটি বিক্রি করেন। এই কাজে যুক্ত যমুনা রাজবংশী নামে এক মহিলা বলেন, সকালে বেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আমের আঁটি কুড়িয়ে নিয়ে আসি। এখানে সেই আঁটি বিক্রি করে আমরা টাকা পাই। আমের আঁটির জন্য অনেক অনেক দূরে দূরে যেতে হয়।

এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা অর্থ উপার্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। ফেলে দেওয়া আমের আঁটিরও কদর বেড়েছে বর্তমানে। বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে ফেলে দেওয়া আমের আঁটি পাড়ি দিচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম সহ বাংলার অন্যান্য জেলায়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী