Tag Archives: Mango Seed

Mango Seeds: আম খেয়ে ফেলে দেন আঁটি? ফেলে দেওয়া এই জিনিস দিয়ে করতে পারবেন আয়, জানলে এমন ভুল জীবনেও করবেন না

নদিয়া:  আম খেয়ে ফেলে দেন আঁটি? এবার ফেলে দেওয়া আঁটি কুড়িয়েই সিজেনাল রোজগারের পথ খুঁজে নিচ্ছেন অনেকেই। গ্রীষ্মকালে আম খাওয়ার পরে সেই আঁটি ফেলে দেওয়ার পর বাড়ির আনাচে কানাচে সেই আঁটিগুলি শুকিয়ে পড়ে থাকে। তবে বর্তমানে সেই আঁটি দিয়েই নতুন করে গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই বেশ কিছু মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই আঁটি কুড়িয়েই খুঁজে নিচ্ছেন নতুন রোজগারের পথ।

নদিয়ার মাজদিয়া, কৃষ্ণগঞ্জ ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকায় বর্ষাকালের এই সময়টাতে দেখা যায় একাধিক ভ্যানচালক প্রচুর পরিমাণে আমের শুকনো আঁটি থেকে বের হওয়া সদ্য আম গাছের চারা নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলেছে। এই চারা গুলি বিভিন্ন বাড়ি থেকে তারা সংগ্রহ করে। আম খাওয়ার পরে সেই আঁটি আমরা হামেশাই বাড়ি আনাচে কানাচে ফেলে দিই। এরপর সেই আঁটি রোদে জলে শুকিয়ে সেখান থেকে বের হয় পুনরায় আমের চারা। সেই আমের চারা গাছ কখনও আমরা উপড়িয়ে ফেলে দিই কখনও বা গরু ছাগলে এসে মুড়িয়ে খেয়ে নেয়। তবে এই আমের চারা দিয়েই কিন্তু পুনরায় হতে পারে সুস্বাদু আম।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আমের চারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন এরপর একত্রে সেগুলিকে স্থানীয় নার্সারিতে বিক্রি করে দেন। জানা যায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি শ হিসেবে এই চারা গুলি তারা নার্সারিতে বিক্রি করে থাকেন। এরপর নার্সারি লোকেরা সেই চারাগুলি দিয়ে পুনরায় আমের কলম বানান। সেই কলম গুলি স্থানীয় কৃষক কিংবা গৃহস্থ মানুষেরা কিনে এনে পরিচর্যা করে পুনরায় আমের কলম থেকে আমগাছ হওয়ার পরে ফলন ধরে সুস্বাদু আমের।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

তবে এ বছর আমের আঁটি সংগ্রহকারী বহু মানুষ জানাচ্ছেন অন্যান্য বছরে তুলনায় খুবই কম সংখ্যক সংগ্রহ তারা করতে পেরেছেন আমের চারা। তার প্রধান কারণ এ বছর আমের ফলন কম হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আমের আঁটিও তারা কম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তারা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়টাতে রোজগার কম হওয়ার কারণে এটি একটি সিজেনাল ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।

Mainak Debnath

Mango Seeds Market: আম আঁটির বাজার! আম খেয়ে আঁটি ফেলে না দিয়ে বিক্রি করুন

পূর্ব বর্ধমান: আম নয়, আমের আঁটির পাইকারি বাজার রয়েছে এই জেলায়। আমের আঁটি কেনার জন্য ভিন রাজ্য থেকেও পাইকাররা আসেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। এখানে রেল স্টেশনের কাছেই রয়েছে এই আমের আঁটির বাজার।

আপনি হয়ত এই বাজারের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন। তবে অবাক হলেও আদতে এটাই সত্যি। কিন্তু আমের আঁটি কেন বিক্রি হয়? কী করা হয় এই আমের আঁটি দিয়ে? কারা সংগ্রহ করেন এই জিনিস? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আসলে আমের আঁটি কেনেন রাজ্য সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন নার্সারির মালিকেরা। আমের আঁটি কিনে সেইগুলো থেকে আবার নতুন করে তাঁরা গাছের চারা তৈরি করেন। পরবর্তিতে বিক্রি হয় সেই সমস্ত গাছের চারা। বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে হাতেগোনা কয়েকজন আড়তদার রয়েছেন যাঁরা এই আঁটি স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের বিক্রি করেন। এই বিষয়ে আড়তদার বাবলু মণ্ডল বলেন, স্থানীয়রা আমের আঁটি নিয়ে আসে, আমরা কিনে নিই। ১ টিন আমের আঁটির দাম দেওয়া হয় একশো থেকে দেড়শো টাকা। পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে এই আমের আঁটি কিনে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণ

আম খাওয়ার পর সাধারণত আমের আঁটি ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ফেলে দেওয়া আমের আঁটি কুড়িয়েই অর্থ উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার বহু মানুষ। এমনকি মহিলারাও বর্তমানে এই আঁটি কুড়ানোর কাজ করছেন। ভোর হলেই তাঁরা ঝোলা অথবা বস্তা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তারপর ট্রেনে , বাসে দূর দূরান্ত ঘুরে কুড়িয়ে নিয়ে আসেন ফেলে দেওয়া আমের আঁটি। পরবর্তিতে তাঁরা আড়তদারদের সেই আঁটি বিক্রি করেন। এই কাজে যুক্ত যমুনা রাজবংশী নামে এক মহিলা বলেন, সকালে বেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আমের আঁটি কুড়িয়ে নিয়ে আসি। এখানে সেই আঁটি বিক্রি করে আমরা টাকা পাই। আমের আঁটির জন্য অনেক অনেক দূরে দূরে যেতে হয়।

এভাবেই বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা অর্থ উপার্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যান। ফেলে দেওয়া আমের আঁটিরও কদর বেড়েছে বর্তমানে। বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে ফেলে দেওয়া আমের আঁটি পাড়ি দিচ্ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম সহ বাংলার অন্যান্য জেলায়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Sundarban Seed Fair: বীজ মেলা সুন্দরবনে, ফল-ফুল-সবজি বীজের সম্ভার

উত্তর ২৪ পরগনা: নানান প্রজাতির ফল, ফুল, সবজির বীজের সমাহারে বীজ মেলা সুন্দরবনে। সুন্দরবন এলাকার চাষি তথা প্রান্তিক মানুষদের চাষের প্রতি আগ্রহী করতে আয়োজিত হল বীজ মেলা। মূলত ভাল বীজ চেনা ও তা থেকে ভাল মানের ফসল তৈরিই কৃষির মূলমন্ত্র।

কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে প্রযুক্তিতে যেমন নজর দিতে হবে তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বীজে। সেজন্য ভাল মানের সঠিক বীজের গুরুত্ব দেশের কৃষক ও কৃষিকাজে সংশ্লিষ্টদের বোঝাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় আয়োজিত হল বীজ মেলা। এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বীজ মেলায় সুন্দরবন এলাকার মানুষের যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল।

আর‌ও পড়ুন: মাদুরে ফুটে উঠবে আপনার মুখ! সবংয়ে বোনা হচ্ছে এই নতুন মাদুর

এলাকার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, সবজির পরিচিত ঘটনার পাশাপাশি কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যম হিসেবে উৎসাহিত করতে এই বীজ মেলায় বিভিন্ন জাতের বীজের সমাহারে একাধিক স্টল বসে। যেখানে রংবেরঙের ও রকমারি ধরনের ফল, ফুলের দেশীয় বীজের সমাহারে ভরে ওঠে বীজ মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন এলাকার চাষি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যেখানে তারা একে অপরের মধ্যে বিভিন্ন ফল, ফুল, সবজির বীজ আদান-প্রদান করেন পাশাপাশি অনেকেই কেনাবেচাও করেন। সবমিলিয়ে সুন্দরবন এলাকার চাষি থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির বীজের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সমন্বয় গড়ে ওঠে।

জুলফিকার মোল্যা