বাঁশি বিক্রেতা সুমন মিস্ত্রি

Special Flute: বাঁশির সুরে ভেসে আসছে মানুষের কণ্ঠস্বর! কোথায় জানেন?

হুগলি: ১০ টাকার বাঁশি যেন অবিকল মানুষের কন্ঠে কথা বলে! এমনই অবাক করা মজাদার বাঁশি ও তার বিক্রেতার দেখা মিলল গুপ্তিপাড়ার রথের মেলায়। যেখানে বাঁশির সুরে বের হচ্ছে অবিকল মানুষের কণ্ঠস্বর। বাঁশি বাজলে যেন মনে হচ্ছে কোন‌ও এক বাচ্চা কথা বলছে। বাঁশি বিক্রেতার নিপুন কায়দায় একেবারে মানুষের কথোপকথন ফুটে উঠছে বাঁশির সুরের মধ্যে দিয়ে। যা দেখে তাজ্জব সেখানকার মানুষজন।

বাঁশির মধ্যে দিয়ে বেরোচ্ছে যেন কোন এক বাচ্চার কণ্ঠস্বর। যেন কথা বলছে অন্য কারোর সঙ্গে। বাঁশির সুরে দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে সে রথের মেলায় ঘুড়তে যাবে বলছে। আবার বাঁশিতেই ভেসে আসছে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। এমন অবাক করা বাঁশি বেশিরভাগই হয়ত আগে কখনও দেখেননি।

আরও পড়ুন: ছোটবেলার স্কুলকে সাজিয়ে তুলতে এগিয়ে এল ৯০ দশকের প্রাক্তনীরা

গুপ্তিপাড়া রথের মেলায় দেখা মিলেছে এমনই এক বাঁশি বিক্রেতার। যদিও বাঁশির মধ্যে থেকে কন্ঠস্বর বের করার এই বিশেষ কায়দা শুধুমাত্র বাঁশির নয়, তার সঙ্গে হাতেরও। হাত দিয়ে বাঁশির মুখকে চেপে নির্দিষ্টভাবে হাওয়াকে ভিতর থেকে বাইরের দিকে বার করলে তা থেকে অবিকল মানুষের বাচ্চার কণ্ঠস্বরের মত আওয়াজ বেরোচ্ছে। তাই দিয়েই বাঁশির সাহায্যে কথা বলছেন সেই বাঁশি বিক্রেতার। যা শুধুমাত্র বাচ্চাদের নয় নজর কেড়েছে বড়দেরও।

গুপ্তিপাড়ার মেলায় ঘুটিয়া শরিফ থেকে এই বাঁশি বিক্রি করতে এসেছেন সুমন মিস্ত্রি। এই বিষয়ে ওই বাঁশি বিক্রেতা জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই বাঁশি বিক্রি করেই চলছে তাঁর সংসার। প্লাস্টিকের তৈরি এই বাঁশি বাজানো একদমই কঠিন কাজ নয়। শুধুমাত্র গুপ্তিপাড়ার মেলা নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মেলায় গিয়ে এই বাঁশি বিক্রি করেই উপার্জন করেন সুমন মিস্ত্রি।

রাহী হালদার