দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাপে কাটা নিয়ে আজও গ্রামবাংলায় নানান কুসংস্কার প্রচলিত। অথচ প্রতিবছর বর্ষাকালে বহু মানুষকে সর্প দংশন করে। কিন্তু এই কুসংস্কার আজও থেকে যাওয়ায় স্রেফ সঠিক সময় চিকিৎসার অভাবে অনেকে মারা যান। একুশ শতকে এসে এমন ঘটনা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হাতের কাছে মজুত থাকা সত্ত্বেও সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে ওঝার কাছে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করেনন পরিজনরা। সেই ভুল যাতে আর না হয় তার জন্য নেওয়া হল উদ্যোগ।
সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে ওঝার কাছে যাওয়া ঠেকাতে এগিয়ে এল ঘোড়াদল হাইস্কুল। এই স্কুলের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী সাপের ছোবলে মারা গিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের পরিজনরা প্রথমে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুতুল ভান্ডারীর উদ্যোগে স্কুল প্রাঙ্গণে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নিতে ইলিশ উৎসব, তমলুকের বুকে রসনা তৃপ্তি
এই কাজে সহযোগিতা করেছে একটি বিজ্ঞান সচেতনতা প্রচারের সংস্থা। স্লাইড শো’র মাধ্যমে বিভিন্ন সাপের ছবি দেখানো হয়। সাপের বিষের মাত্রা, সাপে কাটলে কী করণীয় তা দেখানো হয়। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, সাপে কাটলে রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট করলে চলবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনাম দিতে হবে। তবেই তবেই রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।
নবাব মল্লিক