মন্দিরের চাতালে চলছে বিদ্যালয়

West Medinipur News: বিপজ্জনক স্কুলঘর! মন্দিরের চাতালেই চলছে পড়াশেনা

পশ্চিম মেদিনীপুর : ছোট ছোট কচি কাঁচা পড়ুয়ারা। প্রতিদিন তারা নিয়ম করে স্কুলে আসে। কিন্তু তাদের জন্য স্কুলে হয় না পড়াশোনা। তাদের পড়াশোনা করতে হয় মন্দিরের চাতালে। মন্দিরের চাতালে পড়াশোনা রোজনামচা হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার শিশু-অভিভাবকদের কাছে। ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠেছে বিদ্যালয়। শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। অন্যদিকে, মন্দিরে পুজো হলে ছুটি দিতে হয় স্কুল। বিভিন্ন দফতরে জানানো হলেও সুরাহা মেলেনি। যদিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

নদীর পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাঁচটি শ্রেণি মিলে প্রায় একশোর কাছাকাছি পড়ুয়া। তবে বিদ্যালয়ে হয় না পড়াশোনা। বাধ্যগত বিদ্যালয় চালাতে মন্দিরের চাতালই ভরসা। এমন শিক্ষার কঙ্কালসার ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। প্রসঙ্গত কেশপুরের পালংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, একদমই নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। বিদ্যালয়ের চারপাশে নেই পর্যাপ্ত প্রাচীর। বিদ্যালয়ের অবস্থা তথৈবচ। কোথাও টিন ফুটো হয়ে আকাশ দেখা যাচ্ছে, আবার কোথাও দেওয়ালের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। স্বাভাবিকভাবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করা একপ্রকার ঝুঁকি। তাই বিদ্যালয়ের পাশে মন্দিরের চাতালে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন : বাড়ি বাংলায়, চাষের জমি ওড়িশায়, জানুন বাংলার শেষ গ্রামের নানা অজানা কথা

প্রসঙ্গত বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়ে তরফে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানানো হয়েছে তবে কোনও সুরাহা মেলেনি। জানা গিয়েছে, প্রায় ৭৫ বছরের পুরানো এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের এই ভগ্নপ্রায় অবস্থার কারণে ক্রমশ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা কমছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছটি ক্লাসের পড়াশোনা হয় মন্দিরের চাতালে। বৃষ্টি হলে কিংবা পুজোর সময় অঘোষিত ছুটি দিয়ে দিতে হয় বিদ্যালয়।

আরও পড়ুন : ছিপছিপে চেহারার মানুষ, তবে ব্যক্তির ভাবনা চিন্তা ভাবাবে আপনাকে, জানুন তার উদ্দেশ্য

একসময় প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কোলাহলে মুখর থাকত। বর্তমানে বিপজ্জনক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। যেকোনও সময়ে মাটিতে বিলীন হয়ে যাবে গোটা বিদ্যালয়টি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

কবে নতুনভাবে তৈরি করা হবে বিদ্যালয়? সে প্রশ্ন সকলের। যদিও দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

রঞ্জন চন্দ