মৃত বছর ১৭-র অর্ণব

Mysterious Death: রথের মেলায় গিয়ে আর ফিরল না ক্লাস নাইনের ছাত্র! বন্ধুদের বিরুদ্ধে ‘খুনের’ অভিযোগ

হুগলি: রথ দেখবে বলে বাড়ির থেকে বেরিয়ে রহস্য মৃত্যু হল স্কুল পড়ুয়ার। পান্ডুয়ার খন্যানের ঘটনা। স্থানীয় শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ পন্ডিতের (১৭) এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় মৃত পড়ুয়ার পরিবার তার বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুল পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ওই স্কুল পড়ুয়া নাম অর্পণ পন্ডিত। বছর ১৭ এর অর্ণব ক্লাস নাইনের পড়ুয়া। এদিন রথ দেখতে বেরিয়ে দীর্ঘ সময় বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক থানায় দারস্ত হয়। পুলিশের থেকে গিয়ে বাড়ির লোক খবর পায় তার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বর্ষার শুরুতে গাছ কেনার জন্য নার্সারিতে ব্যাপক ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা

পান্ডুয়ার খন্যান পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় পন্ডিতের ছেলে অর্পণ। মঙ্গলবার বিকেলে উল্টো রথের মেলায় যাবে বলে বন্ধুদের সঙ্গে মগরার হোয়েরায় গিয়েছিল। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। ছেলেকে খুঁজতে খন্যান চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ধনঞ্জয় পন্ডিত। হঠাৎ তিনি দেখেন, অর্পনের তিনজন বন্ধু অটো করে বাড়ি ফিরছে। তাদের জিজ্ঞাসা করেন অর্পন কোথায়? সেই বন্ধুরা সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন বন্ধুদের নিয়েই অর্পনের বাবা মগড়া থানায় যান। থানায় গিয়ে জানতে পারেন এক কিশোরকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান ধনঞ্জয়বাবু। এদিকে অর্পণের অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

সন্তান হারিয়ে শোকে মূর্জ্যমান গোটা পরিবার। এই ঘটনায় ছেলের বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ এনেছেন ধনঞ্জয় পন্ডিত। তাঁর বক্তব্য, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মৃত অর্পনের দিদি পূজা ধারা বলেন, আমার ভাই প্রতিবন্ধী। তাকে এভাবে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।

এদিকে অর্পনের বন্ধু মহাদেব ধারার মা আলপনা ধারা জানান, তাঁর ছেলে প্যান্ডেলে কাজ করে। কাজ থেকে ফিরে প্রতিদিন বিকেলে বাইক নিয়ে বেরোয়।গতকাল কোথায় গিয়েছিল কিছু বলে যায়নি। তারপর রাতে ঘটনার কথা শুনেন। উল্টে তিনি দাবি করেন, অর্পন নিজে মহাদেবের বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। অর্পণের আরেক বন্ধু বাপ্পা ধারার দাদা বিকাশ ধারা বলেন, গতকাল ওরা হোয়েরায় রথ দেখতে গিয়েছিল। তারপর যখন অর্পণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন ভাইয়েরা মগরা থানায় গিয়ে খোঁজ খবর করে।

মৃত পড়ুয়ার বাবার অভিযোগ পেয়ে তিন বন্ধুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসবাদ করছে পুলিশ।ৎপুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাইক চালাতে গিয়ে জিটি রোডের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি মৃতের পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

রাহী হালদার