অসাধারণ জায়গা

Offbeat Destination: নামমাত্র খরচে পাহাড়-জঙ্গল একসঙ্গে ঘুরে দেখতে চান? ছুটিতে ঢুঁ মারুন এই জায়গায়, মন ভাল হয়ে যাবে গ্যারান্টি…!

জলপাইগুড়ি: ভারী বর্ষায় বিপন্নতা কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরছে পাহাড়! ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে পর্যটকদের আনাগোনা। এবার পুজোয় প্রকৃতির কোলে নিরিবিলিতে দিন দুয়েক কাটাতে চাইছেন? কিংবা ডুয়ার্সের কোনও অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ করছেন? তাহলে আপনার পরবর্তী ট্যুর ডেস্টিনেশন হতে পারে কালিম্পং জেলার গরুবাথান।

একঘেয়েমি কাটাতে নিঃসন্দেহে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ি এই গ্রামে। বেশ মনোরম পরিবেশ। পুরনো সাজ ছেড়ে নতুন করে সেজে উঠছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। পিকনিক স্পট হিসেবেও কিন্তু একেবারে আদর্শ জায়গা। এলাকায় পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে মোট ১০টি টেন্ট। চাইলে তাঁবুতে রাত কাটানোর সুবিধেও পাবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ছোট হোমস্টেও রয়েছে। স্থানীয় যুবকরাই ধীরে ধীরে এই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলছে।কীভাবে যাবেন? মালবাজার জংশন স্টেশন থেকে এই শিকারটার গ্রামের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

এছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও যে কোনও গাড়ি খুব সহজেই পৌঁছে দেবে। পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাও রয়েছে। থাকা-খাওয়া সব মিলিয়ে জনপ্রতি খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। এই পর্যটন কেন্দ্রটির মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি ফাগু নদীর জল, জলের স্রোত নেহাত কম নয়। পাহারি খরস্রোতা নদী এটি। ঠান্ডা পরিবেশে ঠান্ডা জলের ছোঁয়ায় পা ডুবিতে বসে থাকা যায় দীর্ঘক্ষণ। চারপাশে বড় বড় টিলা, গাছপালা দিয়ে সবুজে ঘেরা। অজানা পাখির ডাক। নদীতে ধারে অনায়াসেই পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সময় কাটাতে পারবে।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

পাশেই রয়েছে দলবচান্দ গ্রাম। সেখানকার ঘিস খোলার জলের কলকলানি শব্দে মুগ্ধ হবেন পর্যটকরা। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা । সন্ধে নামলেই নেপালী নৃত্য এবং সঙ্গীত মুখরিত হয়ে ওঠে এই গ্রাম।এক্কেবারে সামনে থেকে জানার সুযোগ মিলবে নেপালি সংস্কৃতিকে। তবে, শুধুই গরুবাথান বা দলবদান্দ গ্রাম নয় এখানে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের বেশ কিছু টুরিস্ট স্পটও। ঝান্ডি, লাভা, লোলেগাঁও এখান থেকে খুবই কাছে। ওদলাবাড়ি, পাথরঝোড়ার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ এখানে আসা যাবে।

সুরজিৎ দে