Tag Archives: Offbeat destination
Offbeat Destination: স্বচ্ছ হ্রদ ঘিরে পাইনগাছের সারি, হিমালয়ের দুর্লভ প্রাণীকে দেখতে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে
অনির্বাণ রায়, দার্জিলিং : উত্তরবঙ্গের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম নামথিং পোখরি। খুব বেশি দূরে যেতে হবে না তার জন্য। কার্শিয়াংয়ের কাছেই রয়েছে নামথিং পোখরি। পোখরি আসলে একটি হ্রদ। চারিদিকে পাইন গাছ। মাঝখানে এই পোখরি। এতটাই স্বচ্ছ এই জল যে পোখরির নীচ পর্যন্ত দেখা যায়।রিয়াং নদীর ধারের গ্রাম নামথিং পোখরি। সিটং থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই নামথিং পোখরি।এই নামথিং পোখরিতেই রয়েছে সেই বিরল প্রজাতির স্যালাম্যান্ডার। স্যালাম্যান্ডার ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। প্রায় ৩২টি হিমালয়ান স্যালাম্যান্ডার এখানে এখনও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ছোট্ট গিরগিটির মত দেখতে এই হিমালয়ান স্যালাম্যান্ডারকে এখনও দেখা যায় এখানে। অনেক ওয়াইল্ড লাইভ বিশেষজ্ঞ এই প্রাণীটাকে দেখতেই চলে আসেন নামথিং পোখরিতে। নামথিং পোখরিতে থাকার জায়গা সেরকম নেই। ধীরে ধীরে হোম স্টে তৈরি হচ্ছে। এখানে বে়ড়াতে হলে থাকতে হবে সিটংয়ে। সেখানে একাধিক হোমস্টে রয়েেছ। নামথিং পোখরির কাছেই রয়েছে আলহাদারা ভিউ পয়েন্ট। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। আবার চা-বাগানের ভিউও পাওয়া যায়। এই জায়গায় পৌঁছতে হলে এনজেপি থেকে শেয়ার গাড়ি, কিংবা গাড়ি রিজার্ভ করে আসতে পারেন। সিটংয়ে হোম স্টে-তে থেকে কাছাপিঠে বেরিয়ে যেতে পারেন ।
আরও পড়ুন : পাকা চুল ঢাকতে নিয়মিত হেনা করেন? দেখুন কী ক্ষতি করছেন! জানুন কারা চুলে একদম মেহেন্দি করাবেন না
নামথিং পোখরিকে রহস্যময় বলে দাবি করেন এখানকার বাসিন্দারা। কথিত আছে এই পোখরির দেখাশোনা করতে দুটি সাদা রাজহাঁস। একটি পাতাও এই পোখরিতে পড়তে দিতে না তারা। তাই এখানকার জল এত স্বচ্ছ।হঠাৎই একদিন এক শিকারি একটি রাজহাঁসকে মেরে দেয়। তারপরে আর দ্বিতীয় রাজহাঁসটিকে দেখা যায়নি। তারপর থেকে সেই গ্রামে ধস নামতেই থাকে। স্থানীয়দের বিশ্বাস রাজহাঁসের অভিশাপের কারণেই এমন ঘটছে।তবে এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবটাই বদলেছে।
সেই লেকে বর্ষাকাল ছাড়া জল দেখে যায় না। স্থানীয় কল্পনা রাই বলেন, ‘‘আগে এই জায়গাটি লোকের অজানাই ছিল। বিগত ২ বছর ধরে পর্যটকরা ভীষণ পছন্দ করেছেন নামথিং পোখরি।’’
Offbeat Day Out: রায়দিঘির দিঘি সেজে উঠছে মিরিক লেকের আদলে! কলকাতার কাছেই দারুণ ডে আউট
রায়দিঘি: এই গরমে শীতলতার ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন রায়দিঘির দিঘি। মিরিক লেকের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই দিঘিটিকে। সম্প্রতি এই দিঘীর গেটের কাজ শেষ হয়েছে। এই গেটটি তৈরি হয়েছে একটি পাতার আদলে। প্রায় ৭০ বিঘা জায়গার উপর অবস্থিত এই দিঘিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক।
আরও পড়ুনঃ এক লাফে কমবে ৩কেজি! জিম-ডায়েট ছাড়ুন! দুপুরের এক ‘খাবারে’ বুলেট গতিতে কমবে ওজন!
মাত্র ৫ টাকা প্রবেশ মূল্যে এই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন আপনি। নতুন এই গেট নির্মাণ করে পার্কের সৌন্দর্য আরও বেড়েছে। বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক আসছেন এখানে। রায়দিঘির ঐতিহ্য হল এই দিঘি। শতাব্দী প্রাচীন এই দিঘির নামেই এলাকার নাম। সংস্কারের অভাবে একসময় পতিত হয়ে পড়ছিল রায়দিঘী।
বর্তমানে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদ, রাজ্যের পর্যটন বিভাগ সহ একাধিক দফতরের উদ্যোগে এই দিঘির সংস্কারের কাজ করা হয়।বর্তমানে আমূল বদলে ফেলা হয়েছে দিঘিটিকে। গাছের ছায়ায় ঘেরা এই দিঘিতে দিনের সবসময় শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়। সেজন্য আপনিও এই গরমে শীতলতার ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন রায়দিঘি থেকে।
নবাব মল্লিক
Offbeat Destination: ‘এই’ গ্রামে একবার গেলেই আর ফিরতে ইচ্ছা করবে না, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ, কোথায় জানেন?
হাওড়া: শহুরে একঘেয়ে যান্ত্রিক জীবন থেকে ক্ষণিকের জন্যে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। নৈসগিক পরিবেশ মুহূর্তে ভুলিয়ে দেয় যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি। এমনই এক জায়গার সন্ধান দেব আজ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে হাওড়ার উদয়নারায়নপুর ব্লকের শিবপুর গ্রামে। ব্যানার্জী পরিবারের প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এক অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
ব্যানার্জী পরিবারের ছেলে মানস ব্যানার্জী-সহ ভাইয়েরা মিলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলেন কুঁড়ে ঘর, দোলনা, চারিদিকে সজ্জিত বিভিন্ন ধরণের গাছপালা, রয়েছে পুকুরও। এখানে এলে অকৃত্রিম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই পাশাপাশি শোনা যায়, একতারা, দোতারা, আনন্দ লহরীর সুর। এছাড়া শোনা যায় লোকগানের সুরও। যার টানে হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ মানুষ ছুটে আসে এখানে।
কর্মব্যস্ত জীবনে রিফ্রেশমেন্ট ভীষণ জরুরী। আর তার জন্য যে আকর্ষণীয় কোনও পর্যটন স্পটে যেতে হবে এমনটা জরুরী নয়। মনের খোরাক জোগাড় করতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিকট সবুজের সমারোহ মনোমুগ্ধকর হবে নি:সন্দেহে। সেক্ষেত্রে সবুজ প্রকৃতিকে নিবিড়ভাবে উপভোগ করতে গ্রামের সবুজে ঘেরা জায়গা নানাদিক থেকে আকর্ষণীয়। সবুজ শ্যামল, ছায়া ঢাকা, পাখি ঢাকা, শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। এখানে পথিকের হাঁটার ক্লান্তি দূর হতে পারে ঘাসের সবুজ গালিচার পরশে। যেন কল্পনার চিত্রগুলো রঙতুলিতে ফুঁটিয়ে তোলা।
রাকেশ মাইতি
‘বাংলার মিনি গোয়া’ এই জায়গা! ২ দিনে ঘোরা হয়ে যাবে, খরচও একেবারে কম
Offbeat Destination: পাহাড়ে কোলে টাইটানিকের অভিজ্ঞতা! নতুন এই জায়গায় ঘুরতে এলে মন ভাল হবে নিশ্চিত
দার্জিলিং : পাহাড় ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে পাহাড়ের গিয়ে যদি টাইটানিকের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় তাহলে কেমন হবে ভেবে দেখেছেন? ভাবছেন এ এবার কেমন কথা! পাহাড়ে টাইটানিক সেটা কি করে সম্ভব। আসলে শিলিগুড়ির কাছেই ঘুরতে যাওয়ার নতুন ঠিকানা এই টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট ।
দুধিয়া থেকে একদম কাছেই মুক্তিখোলায় সালাভ্যাশন অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প এখন প্রিয় জায়গা হয়ে উঠছে সবার। সেখানেই রয়েছে টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট। শুধু সমুদ্র নেই, এই ভিউ পয়েন্টে দাড়িয়ে দেখবেন সবুজ পাহাড় এবং নীল আকাশের মিলন। টাইটানিক ছবির জ্যাক রোজের মত ছবি তুলতে এখন সকলেই ছুটে আসছেন এখানে।
পাহাড়ি এলাকায় নিস্তব্ধ পরিবেশে টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট সবার ভীষণ পছন্দ হচ্ছে। তাই ছুটির দিনে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সকলেই ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গায়। এখানে তিনটি ট্রি হাউজ একটি ডোম টেন্ট করা রয়েছে । যেখানে বসে আপনি আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন নিশ্চিন্তে। সঙ্গে পাহাড়ি খাবার তো রয়েছেই।
অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পের কর্ণধার সন্দীপ রায় বলেন, “আমাদের এই জায়গাটি লোকে এখন ভীষণ পছন্দ করছেন এখানে সমস্ত রকম খাবার-দাবার এবং থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। আমরা থাকার জন্য প্রতিজন হিসেবে ১৬০০ টাকা করে নিয়ে থাকি।”
আরও পড়ুন: পাইপ লাইনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে রান্নার গ্যাস! লাগবে না সিলিন্ডার!
ইসলামপুর থেকে এই অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পে ঘুরতে এসে আব্দুল কাদের বলেন ৷ “পাহাড়ের কোলে অসাধারণ এই জায়গাটি। আমি ফেসবুকে দেখেছিলাম তারপর এই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা সময় এখানে কাটালাম। সত্যিই দারুণ জায়গা। “
শিলিগুড়ি থেকে এই অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পে ঘুরতে এসেছিলেন গণেশ মণ্ডল, তিনি বলেন, ” ছুটির দিনে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা এই স্থান। শিলিগুড়ি থেকে একেবারেই কাছেই তাই যখন তখন আমরা চলে আসতে পারি ।আমি আজ প্রথম এলাম। দারুন উপভোগ করলাম। টাইটানিক ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে মজাটা যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে গেল।” তাই ছুটির দিনে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে সময় কাটাতে চলে আসুন এই স্যালভেশন অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পে।
অনির্বাণ রায়
Offbeat Destination: বনপথে ঘেরা হোমস্টে, দোলের ছুটি নিভৃতে কাটাতে আসুন উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি গ্রামে
অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: অতিপরিচিত পর্যটন কেন্দ্র এখনও হয়নি,তবে নিভৃতযাপন করতে হলে আসতেই হবে আলিপুরদুয়ারের কোদালবস্তি এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা এই গ্রামে হাতেগোনা কিছু পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়।যদিও এই গ্রামে পাঁচটি হোম স্টে রয়েছে।এই হোম স্টে-র ভিতর রয়েছে সবজির বাগান।এই সবজির বাগানে চাষ হয় মরশুমি শাকসবজির।পর্যটকরা এসে পছন্দমতো শাকসবজি রান্না করে খেতে পারবেন।অথবা হোম স্টে-র মালিককে পছন্দের শাকসবজির কথা জানিয়ে দিলে তাঁরাই তা রান্না করিয়ে রাখবেন।
এই গ্রামেই রয়েছে সিসি লাইন।এই রাস্তা দিয়ে সাফারি চলাকালীন দেখা যায় বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ। দীর্ঘ ৭ বছর পর খোলে জঙ্গলের সিসি লাইন।দুটি সাফারি কার দিয়ে বনদফতরের তরফে শুরু হয়েছে জঙ্গল সাফারি। সকাল ৭,৮,৯ টায় হাতি সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই এলাকায় সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে সেটাই জানেন না।আবার হাতি সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রচারের আলো প্রবেশ করেনি পর্যটনস্থলটিতে।
আরও পড়ুন : সুপারস্টার ছেলের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পরও এই তারকা অভিনেতার বাবা এখনও বাসচালক
পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন গ্রামের অনেকেই।গ্রামে রয়েছে ৫ টি হোম স্টে।পর্যটন ব্যবসায়ী রবিন রাভার কথায়, “জঙ্গলটি জলদাপাড়া বনবিভাগের অন্তর্গত। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলের নজর কাড়বেই।এই জায়গা থেকে ঘন্টা খানেকের দূরত্বের রয়েছে চিলাপাতা, বক্সা, জয়ন্তী-সহ অন্যান্য পর্যটন স্থান। বর্তমানে, গাড়ি ও হাতি সাফারি দুই-ই হচ্ছে এখানে। কোলাহল এই এলাকায় নেই,যারা শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের জন্য আদর্শ স্থান এটি।”
প্রকৃতির মাঝে এই অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পর্যটকদের আহ্বান জানাচ্ছেন এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এক শৃঙ্গ গণ্ডার,হাতি, বাইসন-সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর অবাধ বিচরণ এই এলাকাতেই। নিরিবিলি এলাকাটি সকলের পছন্দ হবে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। শুধু নাচ গান নয়, পর্যটকদের খাবারেও রাভা সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকছে। পর্যটকদের ভাগ্য সহায় থাকলে হোম স্টে-র আশেপাশেই দেখা যাবে হাতি সহ অন্যান্য বন্য জন্তু।
Offbeat Destination: দিঘা নয় এবার দোলে কলকাতার কাছেই ঘুরে আসুন নির্জন এই সমুদ্র সৈকতে ! কোথায় দেখে নিন
Offbeat Weekend Destination: বসিরহাটেই পাহাড়ের কোলে ঝরনার পাশে কাটাতে পারবেন উইকএন্ড! জানুন বিশদে
জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: নতুনভাবে সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি। এমন একটি উদ্যান, যার একদিকে পাহাড় এবং সেই পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি ঝিল। আর পাহাড়ের উপর থেকে ঝরনা পড়ছে ঝিলের উপর। ঠিক এমনভাবে নতুনত্বের ছোঁয়ায় সেজে উঠছে বসিরহাটের ঘোষবাড়ি পার্ক। উত্তর ২৪ পরগনার পর্যটন কেন্দ্র টাকি ও বসিরহাট এই দুই শহরের মাঝামাঝি জায়গা করে অবস্থিত এই ঘোষবাড়ি পার্ক।
দিনের বেলায় শান্ত মনোরম পরিবেশ আর অন্ধকার নামলেই রঙিন ঝলমলে আবরণ এখানকার অন্যতম প্রধান ইউএসপি। যার জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যে বসিরহাট মহাকুমা জুড়ে ছড়িয়েছে। এখানে পার্কের একপাশে বড় একটি জলাশয় আছে। অন্যদিকে আবার একাধিক রংবাহারি ফুল-ফলের গাছ দেখতে পাবেন। জলাশয়ের মাঝে আছে ঝর্না। পার্কের ভিতরেই শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার নানা বন্দোবস্ত ।
তবে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি উদ্যানকে এবার নতুনভাবে সেজে উঠছে। তৈরি করা হয়েছে ঝিল, যেখানে মিলবে বোটিং-এর সুবিধাও। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আদিবাসী ও পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকার আদলে একাধিক কটেজ। যেখানে অত্যাধুনিক মানের কটেজ থেকে জলরাশির ভিউ পাবেন সঙ্গে থাকাও খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
আরও পড়ুন : কোনও কোচিং ছাড়াই শুধু বই পড়েই সাফল্য UPSC-তে! জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে আজ অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট
সন্ধ্যা হলেই এলাকার সাধারণ মানুষ ভিড় করে ঘুরতে আসেন এই ঘোষ বাড়ি পার্কে। পাশাপাশি টাকি ভ্রমণে আসা পর্যটকরাও সময় করে এখানে ঘুরতে আসেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই পার্ক চত্বরটি মেলার আকার ধারণ করে। স্থানীয় খাবারের দোকানদাররা আজকাল এই পার্কের মধ্যেই নিজেদের পশরা সাজিয়ে বসেন। মনোরম পরিবেশে ঘুরতে ঘুরতে মানুষ দেদার খাওয়া-দাওয়া করেন।
যাঁরা একটু নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের কাছে বসিরহাটের এই ঘোষ বাড়ি পার্ক আদর্শ জায়গা। খুব অল্প সময়েই কলকাতা থেকে এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বসিরহাটের ঘোষ বাড়ি উদ্যানে নতুনত্বের ছোঁয়ায় নতুনভাবে সেজে উঠছে।