পশ্চিম বর্ধমান : কমবেশি প্রায় আমাদের সকলের বাড়িতেই রয়েছে পেয়ারা গাছ। পুষ্টিবিদদের মতে, পেয়ারার গুণ অনেক। তাছাড়া এই ফলটি মুখের স্বাদ ফেরাতে বেশ কার্যকর। কিন্তু সাধারণ পেয়ারা ছেড়ে এখন আমজনতার মন মজেছে লাল টকটকে থাইল্যান্ড পেয়ারার দিকে। নার্সারিগুলিতে ব্যাপকভাবে লাল থাইল্যান্ড পেয়ারা চারার চাহিদা বাড়ছে। অন্য স্বাদ পেতে মরিয়া মানুষ।
জেলার একটি বড় নার্সারির মালিক বিকাশ ঘোষ মন্ডল জানিয়েছেন, বিগত দু-তিন বছরের লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যদিও নার্সারিগুলিতে আরও বিভিন্ন প্রজাতির পেয়ারা গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার চাহিদা সবথেকে বেশি। প্রথমত লাল পেয়ারা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া এই পেয়ারাগুলির পুষ্টিগুণ আমাদের পরিচিত পেয়ারাগুলির মত। তাই খুব সহজে এই থাইল্যান্ড পেয়ারা আকর্ষণ করছে গাছ প্রেমীদের।
তিনি জানিয়েছেন, শুধু নামেই লাল নয় এই থাইল্যান্ডের পেয়ারাগুলি। কারণ এই গাছ থেকে যে ফল পাওয়া যায়, সেগুলি টকটকে লাল। অর্থাৎ পুরো পেয়ারার রং লাল। এখানে সবুজের লেশ মাত্র নেই। তাছাড়াও গাছগুলির আগাগোড়া পুরোটাই লাল। পাতা থেকে শুরু করে ফুল, অথবা গাছের কাণ্ড সবকিছুতেই লালের ছাপ স্পষ্ট। আবার বাড়িতেও খুব সহজে লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার গাছ রাখা যায়। মূলত একটি টবেই লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার গাছের চারা রোপন করা যায়।
এক বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে গাছগুলি। যে পরিমাণ ফল এই গাছগুলি থেকে পাওয়া যায়, তা একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট। একটি ঠিকঠাক থাইল্যান্ড পেয়ারা গাছের চারার দাম পরে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। আবার এই গাছগুলি বড় করে তুলতে বিশেষ কিছু করতে হয় না। সাধারণ গাছের মতো যত্ন করলেই বেড়ে ওঠে থাইল্যান্ড পেয়ারা। সব মিলিয়ে নার্সারিগুলিতে ব্যাপকভাবে বাড়ছে এই গাছগুলির চাহিদা। বাড়িতে বাড়িতে সবুজের বদলে লাল পেয়ারা জায়গা দখল করছে।
নয়ন ঘোষ