Tag Archives: Guava Cultivation

Bangla News: পুষ্টির ভাণ্ডার…! উপর-ভিতর পুরোটাই টকটকে লাল, বলুন তো কী ফল এটি? নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি…!

পশ্চিম বর্ধমান : কমবেশি প্রায় আমাদের সকলের বাড়িতেই রয়েছে পেয়ারা গাছ। পুষ্টিবিদদের মতে, পেয়ারার গুণ অনেক। তাছাড়া এই ফলটি মুখের স্বাদ ফেরাতে বেশ কার্যকর। কিন্তু সাধারণ পেয়ারা ছেড়ে এখন আমজনতার মন মজেছে লাল টকটকে থাইল্যান্ড পেয়ারার দিকে। নার্সারিগুলিতে ব্যাপকভাবে লাল থাইল্যান্ড পেয়ারা চারার চাহিদা বাড়ছে। অন্য স্বাদ পেতে মরিয়া মানুষ।

জেলার একটি বড় নার্সারির মালিক বিকাশ ঘোষ মন্ডল জানিয়েছেন, বিগত দু-তিন বছরের লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যদিও নার্সারিগুলিতে আরও বিভিন্ন প্রজাতির পেয়ারা গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার চাহিদা সবথেকে বেশি। প্রথমত লাল পেয়ারা দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। তাছাড়া এই পেয়ারাগুলির পুষ্টিগুণ আমাদের পরিচিত পেয়ারাগুলির মত। তাই খুব সহজে এই থাইল্যান্ড পেয়ারা আকর্ষণ করছে গাছ প্রেমীদের।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

তিনি জানিয়েছেন, শুধু নামেই লাল নয় এই থাইল্যান্ডের পেয়ারাগুলি। কারণ এই গাছ থেকে যে ফল পাওয়া যায়, সেগুলি টকটকে লাল। অর্থাৎ পুরো পেয়ারার রং লাল। এখানে সবুজের লেশ মাত্র নেই। তাছাড়াও গাছগুলির আগাগোড়া পুরোটাই লাল। পাতা থেকে শুরু করে ফুল, অথবা গাছের কাণ্ড  সবকিছুতেই লালের ছাপ স্পষ্ট। আবার বাড়িতেও খুব সহজে লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার গাছ রাখা যায়। মূলত একটি টবেই লাল থাইল্যান্ড পেয়ারার গাছের চারা রোপন করা যায়।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এক বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে গাছগুলি। যে পরিমাণ ফল এই গাছগুলি থেকে পাওয়া যায়, তা একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট। একটি ঠিকঠাক থাইল্যান্ড পেয়ারা গাছের চারার দাম পরে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। আবার এই গাছগুলি বড় করে তুলতে বিশেষ কিছু করতে হয় না। সাধারণ গাছের মতো যত্ন করলেই বেড়ে ওঠে থাইল্যান্ড পেয়ারা। সব মিলিয়ে নার্সারিগুলিতে ব্যাপকভাবে বাড়ছে এই গাছগুলির চাহিদা। বাড়িতে বাড়িতে সবুজের বদলে লাল পেয়ারা জায়গা দখল করছে।

নয়ন ঘোষ

Guava Cultivation: মাসে মাসে আয় হবে মোটা টাকা! এই পেয়ারা চাষ করেই হবেন ‘মালামাল’! সামান্য খরচেই পাবেন বিরাট লাভ

উত্তর দিনাজপুর: ছোট্ট একটি গাছই ধরবে হাজার হাজার পেয়ারা । বাড়িতে অল্প জমিতে লাগিয়ে ফেলুন এই তাইওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা। এই পেয়ারা ভিতরে দেখতে যেমন গোলাপি খেতেও তেমনি মিষ্টি। যেকোনও ঋতুতেই লাগিয়ে ফেলতে পারেন এই তাইওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা। খাটনি কম ও মুনাফা বেশি হওয়ায় বর্তমানে বহু কৃষকই এই তাইওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষিবিদ ফটিক দেবশর্মা জানান তিনি তার চার সাড়ে চার বিঘা জমিতে তিনি প্রায় ১৪০০ টি পেয়ারা গাছ লাগিয়েছেন। এই পেয়ারার ভিতরটা গোলাপি কালারের হয় এবং খেতেও ভীষণ মিষ্টি হয়। এই তাই ওয়ান পিঙ্ক পেয়ারার চারা গুলো কলকাতা থেকে ১২০ টাকা এক একটি গাছের দাম নিয়েছিল। বছরে তিনবার পাওয়া যায় এই পেয়ারা। মার্চ ,এপ্রিল এবং জুলাই, আগস্ট মাসে পেয়ারা চাষের উপযুক্ত সময়। এক একটি পেয়ারার ওজন ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রামের মধ্যে হয়। ।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

তবে এই পেয়ারা গাছ খুব বেশি বড় হয় না।এই তাইওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা লাগানোর ছয় মাসের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। ফল থাকতে থাকতেই এ পেয়ারা গাছে আবারও ফুল চলে আসে।এই পেয়ারা চাষে প্রথম বছরে যে টাকা খরচ করবেন একবার পেয়ারার ফলন পেলেই আপনার সেই খরচ উঠে যাবে। দ্বিতীয় বছর এই পেয়ারার এক একটি গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি ফলন দিতে পারে। এই পেয়ারা চাষ করতে হলে আপনি এক বিঘা জমিতে প্রথমে চারা লাগাতে পারেন।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

গোলাপি রঙের পেয়ারা উন্নত মানের আধুনিক প্রযুক্তির গাছ। এই পেয়ারা গাছটি দেড় থেকে দুই ফুট হওয়া মাত্রই ফুল দিতে শুরু করে।  পেয়ারা গাছে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করলে আরও ভাল ফলন হয়। জানা যায় এই পেয়ারার গুলো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তাই বাড়িতে আপনিও লাগিয়ে নিতে পারেন এই তাই ওয়ান পিঙ্ক পেয়ারা।

পিয়া গুপ্তা

Alternative Farming: ধানের জেলায় বিকল্প হিসেবে পেয়ারা চাষের কদর বাড়ছে

পূর্ব বর্ধমান: এই জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার বা ধানের গোলা নামে পরিচিত। তবে অতিরিক্ত লাভের আশায় ক্রমশই পূর্ব-বর্ধমান বিকল্প চাষ বাড়ছে। যেমন পূর্বস্থলীতে শুধুমাত্র ধান চাষ নয়, বিকল্প চাষ হিসেবে বর্তমানে এখানকার চাষিরা বিভিন্ন ধরনের চাষ শুরু করেছেন। কোনও চাষি সবজি চাষ করছেন, আবার কেউ ফল চাষ করছেন। আবার অনেকে ফুল চাষও করে থাকেন।

তবে এবার বিকল্প হিসেবে পেয়ারা চাষ করতে দেখা গেল বেশ কিছু চাষিকে। পেয়ারা চাষ করেই অর্থ উপার্জন করছেন পূর্বস্থলী এলাকার বেশ কিছু চাষি। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলীর এক পেয়ারা চাষি বলেন, পেয়ারা চাষে যেরকম লাভ আছে সে রকম খরচও আছে। বাজারে যখন পেয়ারা বেশি থাকে তখন দাম কমে যায়। শীতের সময় ভাল দাম পাওয়া যায়। ১ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করতে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। গাছ লাগানোর দুই বছর পর থেকে ফলন পাওয়া যায়। তিনবছর পর থেকে আরও ভাল ফলন পাওয়া যায়। একবার গাছ লাগালে তিন বছর পর থেকে একটানা আট বছর ভাল ফলন পাওয়া যাবে। বিকল্প চাষ হিসেবে পেয়ারা চাষ করে লাভ আছে , তবে না খাটলে লাভ চোখে দেখা যাবে না। নিজে থেকে খাটতে হবে, লোক রেখে মজুরি দিয়ে চাষ করলে সেরকম লাভ হবে না।

আর‌ও পড়ুন: চিনি-আটা মিল ছিল না আগেই, এবার রেশনে বাড়ন্ত চাল’ও! এখানে ক্ষোভে ফুটছে মানুষ

এখানকার পেয়ারা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিকল্প চাষ হিসেবে এখন অনেকেই পেয়ারা উৎপাদন করাকে বেছে নিচ্ছেন। তার কারণ হিসেবে চাষিরা বলেন, একবার পেয়ারা গাছ লাগালে একটানা ৭ থেকে ৮ বছর ফলন পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া বাঙালিদের মধ্যে পেয়ারা খাওয়ার চল অত্যন্ত বেশি।

চাষিরা নিজে থেকেই পেয়ারা বিক্রি করে থাকেন বলে জানান। তবে অনেক সময় পাইকাররা এসেও বাগান থেকে পেয়ারা কিনে নিয়ে যায়। চাষিদের কথায় শীতের সময় সবথেকে ভাল বাজার থাকে পেয়ারার এবং দামও ভাল পাওয়া যায়। তবে অধিকাংশ চাষি জানিয়েছেন, কেউ চাইলে এই চাষ শুরু করতেই পারেন। তবে পরিশ্রমের মানসিকতা থাকলে তবেই একমাত্র এই চাষে এগিয়ে আসা উচিত বলে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Guava Cultivation: পেয়ারায় বারুইপুরকে টক্কর বসিরহাটের, চাষ করে উপচে পড়ছে পকেট

উত্তর ২৪ পরগনা: পেয়ারা চাষে বারুইপুর বিখ্যাত এটা সকলেই জানেন। এখানকার পেয়ারার দেশজোড়া নাম আছে। কিন্তু এবার পাশের জেলার বসিরহাটের কামাল। বসিরহাটের পেয়ারাও এবার পাড়ি দেবে ভিন জেলায়।

বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করে দারুন সাফল্য পেয়েছে বসিরহাটের কৃষকরা। পেয়ারা একটি পুষ্টিকর ফল। যা খেতে খুবই সুস্বাদু, মুচমুচে ও সুমিষ্ট। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভারত কৃষিভিত্তিক দেশ হলেও সম্প্রতি চিরাচরিত ঋতুভিত্তিক চাষের প্রথা ছেড়ে আধুনিক পদ্ধতিতে ফল চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। এতে আয় হচ্ছে বেশি। পেয়ারা চাষ করে ঠিক তেমনি সুযোগ এসে গিয়েছে কৃষকদের সামনে।।বসিরহাটের বিবিপুরের কৃষক নুরুদ্দিন পাহাড় কয়েক বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। সেই গাছ থেকে ভাল ফল পাওয়ার পর পিঞ্চিং করে নতুনভাবে গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: গরম পড়তেই মাছের বাজারে বদল, ইলিশ-ভেটকি ছেড়ে চারা পোনা-শিঙি’তে মজেছে বাঙালি

অনেকেই ভাবেন, কৃষিকাজ করে ধনী হওয়া তো দূর, হয়ত গোটা বছরে লাভের মুখ‌ই দেখা যাবে না। এই ধারণাকেই ভুল প্রমাণ করে নজির গড়েছেন বসিরহাটের বিবিপুরের যুবক নুরুদ্দিন পাইক। ওই যুবক পেয়ারা চাষ করে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। উন্নত প্রাজাতির এই পেয়ারা গাছ রোপনের ৬ মাস পর থেকে প্রায় সারাবছর ফল পাওয়া যাচ্ছে। এই গাছগুলোয় প্রায় ৫ বছর একটানা ফল পাওয়া যাবে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত এই পেয়ারা এবার ভিন জেলায় পাড়ি দেবে।

জুলফিকার মোল্লা