শুশুনিয়া পাহাড়

Bankura News: শুশুনিয়া পাহাড় এর সম্পদ বাঁচনোর মরিয়া চেষ্টা, তৈরি হল বিলুপ্তপ্রায় গাছের বাগান

বাঁকুড়া: চলছে বন মহোৎসব। যার জন্য বন দফতর থেকে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচী। এবার দেখুন আরও একটি নতুন উদ্যোগ, যদিও এই উদ্যোগ বন মহোৎসব এর অংশ নয়। তবে আসল গল্পে আসার আগে প্রেক্ষাপটটি তৈরি করে রাখা যাক। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড এটি, এমনটাই বলেন ঐতিহাসিকদের একাংশ। এই বিশাল পাহাড়ের গায়ে লুকিয়ে আছে নাম না জানা বহু উদ্ভিদ।

ছোট্ট লতা হোক কিংবা মহীরুহ, ছাতনা বনদফতর এবং শুশুনিয়া ফরেস্ট বিট অনবরত চেষ্টা করছে শুশুনিয়া পাহাড়ের অমূল্য গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার। তাই এক ধাপ এগিয়ে শুশুনিয়া বিট অফিসে শুধুমাত্র শুশুনিয়া পাহাড়ে পাওয়া যায় যে গাছগুলি সেই গাছগুলিকে সংগ্রহ করে একটি নার্সারি তৈরি করা হয়েছে বিট অফিসে। শুশুনিয়া পাহাড়ের যে দেশী গাছগুলি বিলুপ্তপ্রায় হতে চলেছে,সেই গাছগুলির বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করে বসানো হয়েছে নার্সারিতে। যেমন উল্লেখযোগ্য হল, কুলু, পিয়াল, কালি কেঁদ , বেল , মহুল এবং সীতাপত্র।

আরও পড়ুন : দিল্লীতে বাঁকুড়ার আম বিকোলো পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে

শুশুনিয়া পাহাড়কে নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা হয়েছে। গবেষকরা বহুবার এসেছেন এখানে বন্যপ্রাণ,ভূমি প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র পরীক্ষা করতে। এই পাহাড়ে ছড়ানো রয়েছে বহু রহস্য। পাহাড়ের বিখ্যাত জম ধারার জল আসছে কোথা থেকে, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও। প্রত্যেকের মুখেই বহু প্রচলিত রয়েছে শুশুনিয়া পাহাড়ের বিভিন্ন ভেষজ গুণসম্পন্ন গাছের কথা। যার সংখ্যাটা এতই বিপুল যে, বনদফতর এই গাছগুলিকে “সর্টলিস্ট” করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনও। তবে ভেষজ গুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন মহীরুহু। তাদেরকে নিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই নার্সারি।

আরও পড়ুন : দিনে-দুপুরে সরকারি অফিসে তৈরি হল হাজার খানেক বোমা! তারপর যা হল…

ছাতনা রেঞ্জ অফিসার এসা বোস বলেন, গত বছর বহুবার আগুন লাগে শুশুনিয়া পাহাড়ে, কিন্তু ২০২৪ সালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে একবার মাত্র। বনদফতরের তৎপরতায় আগুন লাগার ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে এবং সেই কারণে উদ্যমতার সঙ্গে বনজ সম্পদ অর্থাৎ বিলুপ্তপ্রায় গাছগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য বীজ সংগ্রহ করে নার্সারি তৈরি করা হচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

এর ফলে শুশুনিয়া পাহাড় এর বুক থেকে কখনও হারিয়ে যাবেনা এই মহা মূল্যবান মহীরূহ গুলি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী