স্কুলের ছবি

Teacher Occupying Classroom: ক্লাসরুমকে গুদামঘর বানিয়ে স্কুলেই ব্যবসা শিক্ষিকার, নিরুপায় পড়ুয়াদের ঠাঁই বারান্দায়

দক্ষিণ দিনাজপুর: ক্লাসরুম না গুদামঘর তা বোঝা বড় দায়। এইখানে এলে পদে পদে আপনি চমকে উঠবেন। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রায় দু’বছর ধরে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে একটি ঘরের ভিতরে ধান, আলু সহ বিভিন্ন সবজি রেখে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকলডাঙা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা তাঁদের ধানের জমি বন্ধক দিয়ে সেই জমির ফসল দীর্ঘদিন ধরে স্কুলঘরে রেখে ব্যাবসা চালাচ্ছেন। ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায় পড়াশোনা করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে খুব কম দামে জিনিসপত্র কিনে স্কুলের ঘরে দীর্ঘদিন ধরেই ধান, চাল, কীটনাশক সার সহ একাধিক জিনিস মজুত করে রাখা হয়। গ্রামবাসীরা একাধিকবার বিষয়টি বলেছেন কিন্তু তাঁদের কোন‌ও কথাই শোনার প্রয়োজন মনে করেননি শিক্ষিকা।

আর‌ও পড়ুন: চন্দননগরে পিসির বাড়িতে ঘুরতে এসে নিখোঁজ বিহারের কিশোর

এই বিষয়ে বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুব্রত বল জানান, এই ঘটনার কোন‌ও কিছুই তাঁর কানে আসেনি। তবে যদি সত্যি হয়, তাহলে খুব ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এদিকে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রাথমিক স্কুলে বর্তমানে ২৫ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। গত দু’বছর ধরেই সমস্যার সম্মুখীন ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের ঘর দখল করে গোডাউন বানানোর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জায়গা হয়েছে বর্তমানে স্কুলের বারান্দায়। ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই দিনের পর দিন সেখানে পঠন পাঠন চলছে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কোন‌ও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুস্মিতা গোস্বামী