নিখোঁজ ছেলের ছবি হাতে পরিবার

Missing Boy: চন্দননগরে পিসির বাড়িতে ঘুরতে এসে নিখোঁজ বিহারের কিশোর

হুগলি: চন্দননগরে পিসির বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়ে গেল বিহারের এক বালক। দুই দিন কেটে গেলেও মেনেনি খোঁজ। নিখোঁজ বালকের নাম রোহন কুমার পাশোয়ান। দাদুর সঙ্গে বায়না করে পিসির বাড়ি এসেছিল সে। মঙ্গলবার পিসির বাড়িতে আসার পরই নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্দনগরের সুরেরপুকুরে বাসিন্দা ঝন্টু পাশোয়ান স্ত্রী সঞ্জু দেবীকে নিয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বওহারা গ্রামে গিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। গত রবিবার গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে চন্দননগর ফেরেন তাঁরা। ঝন্টুর সঙ্গে তাঁর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি চন্দননগরে আসেন চোখের ডাক্তার দেখাতে। দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে চন্দননগর আসবে বলে বায়না ধরে সাত বছরের রোহন কুমার পাশোয়ান। দাদু মহিন্দর পাশোয়ান নাতিকে নিয়ে আসেন সঙ্গে করে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পিসি সঞ্জু দেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রোহন। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, সে সুরেরপুকুর রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার পর আর কোন‌ও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আর‌ও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন, ১৩ বছর পর বেনারসে খুরশিদার সন্ধান

রোহন বাংলা জানে না, ভোজপুরি ভাষায় কথা বলে। এদিকে চন্দননগরের পথ ঘাট চেনে না। ফলে কোথায় গেল তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিহার থেকে চদননগর এসে পৌঁছন রোহনের বাবা সঞ্জয় পাশোয়ান ও মা রেখা দেবী। দাদুর সঙ্গেই এসেছিল ছোটো নাতি। সেই নাতি হারিয়ে যাওয়ায় হাউ হাউ করে কাঁদছেন দাদু। চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়রি হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

বিহার থেকে আসা বালকের বাবা, মা ও দাদুর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসার সুবল বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে খাটালে কাজ করেন রোহনের মা-বাবা। তাঁদের চার সন্তান। রোহন সবচেয়ে ছোটো।দু’দিন হয়ে গেলেও নিখোঁজ বালকের খোঁজ মেলেনি।কাছাকাছি রেল স্টেশন চন্দননগর, চুঁচুড়া, ব্যন্ডেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রেল পুলিশকেও নিখোঁজ বালকের সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

রাহী হালদার