Mamata in Delhi: দিল্লিতে আজ তুমুল চমক, শুরুতেই সুর বেঁধে দেবেন মমতা! কোন সাংসদদের দিকে বিশেষ নজর?

কলকাতা: আজ, শুক্রবার দিল্লি যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেলেই দিল্লির বঙ্গভবনে সংসদীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে কী কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে? তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে পারেন,

১) ভোটে জিতলাম আর দায়িত্ব শেষ তা হবে না। সাংসদদের আগামী পাঁচ বছর নিজের সংসদীয় এলাকায় নিবিড় ভাবে কাজ করে যেতে হবে।
২) নিজের সংসদীয় এলাকায় জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, বিধায়ক, প্রয়োজনে ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে সংযোগ রেখে জনসংযোগ ও সংগঠনের কাজ করতে হবে।
৩) সংসদীয় অধিবেশনে যোগ দিতেই হবে। নিজের এলাকার মানুষের প্রশ্ন তুলতে হবে সংসদে। কেন্দ্র কীভাবে বঞ্চনা করেছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য এলাকায় জানাতে হবে।
৪) কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুকে সামনে রেখে লোকসভায় সাফল্য পেয়েছে দল। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বারবার সরব হতে হবে সংসদে। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দেয়নি। রাজ্য দিয়েছে তা প্রচারে জোর।
৫) আবাসের টাকা দিতে কেন্দ্র অপারগ। রাজনৈতিক কারণে দিচ্ছে না। টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যে দেবে, তা সংসদে ও এলাকায় তুলে ধরতে হবে।
৬) আমি সাংসদ হয়ে গেছি। আমি শুধু দিল্লি নিয়ে ব্যস্ত থাকব, তা হবে না। নিজের এলাকায় পূর্ণ সময় দিতেই হবে।
৭) যতটা সম্ভব মানুষের চাহিদা, প্রয়োজন বুঝে ইস্যু ভিত্তিক লড়াই চালাতে হবে।

আরও পড়ুন: কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা! ধ্বংসলীলার ছবি দেখে বাঁধ ভাঙল চোখের জল

৮) জগদীশ বসুনিয়া, প্রকাশ চিক বরাইকের বিশেষ দায়িত্ব হতে পারে। কারণ দু’জনেই উত্তরবঙ্গ থেকে সাংসদ। সেই কারণে উত্তরের হারানো জমি ফেরত পেতে বেশি সময় দিতে হবে।
৯) বছর গড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বিধানসভা নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। তাই নিজের এলাকার বিধায়কদের নিয়ে এলাকায় ব্যস্ত থাকুন। যদি বিধায়ক না থাকে তাহলে সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকুন কর্মসূচীতে।
১০) সংসদে জাতীয় ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে বলা হতে পারে সাগরিকা ঘোষ, সাকেত গোখেল, সুস্মিতা দেব, কীর্তি আজাদদের।

ইতিমধ্যেই বঞ্চনা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস যে সুর চড়াবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আজ নয়া সাংসদদের কী ভূমিকা পালন করতে হবে, তা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।