হাসপাতাল পরিদর্শনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

Rachana Banerjee: ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিয়ে দিলেন বড় নির্দেশ! সময় দিলেন ঠিক এক মাস

হুগলি: কলকাতার ধাঁচে হবে এবার পান্ডুয়ার হাসপাতাল। হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এমনই বলতে শোনা গেল হুগলির সংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ভিড় কমাতে ও নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা চালু রাখার জন্য নতুন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রচনা। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের পর এবার সারপ্রাইজ ভিজিটে হুগলির নবনির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে একেবারে অন ফায়ার মোডে!

হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে চুঁচুড়া হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেছিলেন, ছাগল যেন না চড়ে বেড়ায়! আর আজ পান্ডুয়া হাসপাতালে গিয়ে বললেন, রোগী দেখতে এত ভিড় কেন? রোগীর পরিজনদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে, যত ভিড়-তত জুতো পরে চলাচল, তত অপরিষ্কার, তাই লোক কমাতে হবে। গেটে সিকিউরিটি বসাতে হবে। একমাস পর এসে দেখবেন কাজ হল কিনা। হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: মানুষের চিহ্ন মুছে গেলেও পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে একটি মাত্র প্রাণী! বলুন তো, কোন প্রাণী? শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন

হাসপাতাল ঘুরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসক মনিশংকর মুখোপাধ্যায়কে বলেন, ”এত বড় হাসপাতাল অপরিষ্কার হয়ে রয়েছে। এখানে মানুষ আসে চিকিৎসা করার জন্য, অসুস্থ হওয়ার জন্য নয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে বলছি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা দরকার। আমি পাঁচ বছর আছি, দিদির সঙ্গে কথা বলে কতটা কী ইমপ্রুভ করা যায়, তার চেষ্টা করব। এটা আলাদা ব্যাপার, কিন্তু এখন যেভাবে চলছে সেটা চলতে পারে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে, বাইরে সিকিউরিটি রাখতে হবে, একজন রোগীর জন্য ১০ জন লোক ঢুকতে পারবে না। আমাদের কলকাতাতে এটা অ্যালাও নয়। আমার মতো একজন আর্টিস্ট আমার বাবাকে যদি ভর্তি করি হাসপাতালে, সেখানেও দুজনকে অ্যালাও করে না। আমি গেলে আমার মা নীচে বসে থাকে, আবার মা গেলে আমি নীচে বসে থাকি। যদি আমাদের ওখানে এই সুবিধা না থাকে তাহলে এখানে একজনের সঙ্গে ১০ জন কী করে ঢুকছে। প্রত্যেক রোগের জন্য পাস তৈরি করুন। একজন সেই পাস নিয়ে ঢুকবে আর যদি দুজনকে ঢুকতে হয় তার জন্য স্পেশাল পাস ইস্যু করুন। তাহলে এত কোলাহল হবে না। একটা পেশেন্ট শুয়ে আছে তার সঙ্গে ৫০ জন দাঁড়িয়ে আছে, ওই জন্য এত কাদা এত নোংরা।” আর এই গোটা বিষয়টা দেখার জন্য পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে দায়িত্ব দেন সাংসদ।

—– রাহী হালদার