মুম্বাই মেল এক্সিডেন্ট এর স্মৃতি নিয়ে ঘরে ফিরল তোফিক-নূর

Howrah Mumbai Mail Accident Update: প্রবল ঝাঁকুনি-অন্ধকার ট্রেনে ধোঁয়া! দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-মুম্বই মেলে কীভাবে বাঁচলেন নূর ও তোফিক? শিউরে উঠবেন

হাওড়া: তখন গভীর ঘুমে যাত্রীরা, হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনি। উপর থেকে নিচে পড়ে মাথায় আঘাত! চোখ খুলতেই হৈ হৈ কাণ্ড ট্রেনের মধ্যে, চারিদিকে ধোঁয়া। ট্রেনের প্রায় সকল যাত্রী ঘুমে তখন মগ্ন। তখন ঘড়িতে ৩.৪৫ হবে। সকাল হতে তখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি। ভোররাতে ঝাড়খণ্ড চক্রধরপুর রেলওয়ে বাদাবাম্বুর কাছে হাওড়া সিএসটিএম ট্রেন দুর্ঘটনা।

হাওড়া থেকে ছেড়ে মুম্বই যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে ১২৮১০ হাওড়া ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে চেপেই মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পশ্চিম বাউড়িয়ার বাসিন্দা নূর এবং তোফিক।
হঠাৎ ঝাঁকুনিতে উপরের সিট থেকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই নিচে পড়েন নূর মল্লিক ও তোফিক মল্লিক। হয়তো জীবন এখানেই শেষ। এক সময়, এমনটাও মনে হয়েছিল তাঁদের।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিচ্ছেন! বিয়ার খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল বিশেষজ্ঞের মত

অন্ধকারাচ্ছন্ন চারিদিক ধোঁয়া, চারিদিক হই হই কাণ্ড। তখনও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি, কোনও রকমে প্রাণ বাঁচাতে নিজেরাই টেনে হিঁচড়ে বের হওয়া। মাথায় চোট পান দুজনেই। কিছু সময় পর পরিবারে খবর দেন। আর মুম্বই নয়, জীবন বাঁচলে অনেক কাজ হবে। একথা ভেবে ছেলেদের ঘরে ফেরার বার্তা দিয়েছেন ছেলেদের মা। দুর্ঘটনার খবর শুনে পরিবার দারুণ চিন্তায় ছিল দু’দিন।

আরও পড়ুন: বাড়িতে শেষ কথা রাত ১০টায়, পরে ঘুমন্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা! সেদিন হাওড়া-মুম্বই মেলে ছিলেন মালদহের ৩ ফলবিক্রেতা

চিন্তার অবসান ঘটে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে। একই পরিবারের দুইজনের ট্রেন যাত্রী নূর ও তোফিক। মাথায় সজোরে আঘাত, চোখ খুলতে যে দৃশ্য দেখলে তার জন্য মোটেও আন্দাজ করতে পারেননি হাওড়ার পশ্চিম বাউড়িয়ার তোফিক মল্লিক এবং নূর হাসান। দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে যেন স্বস্তি পেয়েছে পরিবার।

রাকেশ মাইতি