জল পেরিয়েই পার হচ্ছেন এলাকাবাসীরা

Nadia News: ভাসছে শান্তিপুর! কেন ঘর ছাড়া হতে এতগুলো পরিবারকে? প্রশ্নের মুখে কাউন্সিলর

শান্তিপুর: মাত্র দু’দিনের লাগাতার বৃষ্টিতেই ঘরবাড়ি ভিটে মাটি ছেড়ে বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে শান্তিপুর দু’নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় চারটি পরিবারের। জানা যায়, আরও ৮ থেকে ১০ টি পরিবার আশঙ্কায় রয়েছেন ভিটেমাটি ছাড়ার। শান্তিপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিলপুকুর বাইগাছি পাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকা শহরাঞ্চলের মধ্যে হলেও বেশ খানিকটা নিচু বলে জানা যায়। যার ফলে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমা স্বাভাবিক।

বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নদিয়া জেলাতেও লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই বৃষ্টি হলেও জল নেমে যাওয়ার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা রয়েছে, সেই কারণে বিশেষ করে উঁচু জায়গাগুলিতে জল জমার কোন অবকাশ নেই। তবে এই বৃষ্টিপাতের ফলে বিপদে পড়েছেন দু’নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু পরিবারেরা।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ দু নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি পাড়া ও বিলপুকুর এই এলাকাগুলি শহর অঞ্চলের মধ্যে হলেও যথেষ্টই নিচু এবং এখানে জল নিকাশের কোন ব্যবস্থা নেই। শান্তিপুরে সুরধ্বনি নদী থাকলেও নদীতে জল যাওয়ার যে নিকাশি ব্যবস্থা বা ড্রেনের সিস্টেম রয়েছে বেশিরভাগ মানুষেরাই সেইসব ড্রেন কিংবা নিকাশি নালা বুঝিয়ে নিজেদের মতো করে বাড়িঘর বানিয়ে ফেলেছেন যার ফলে কোনওভাবেই এই জল বেরোতে পারে না। প্রায় বছর পাঁচেক আগেও এ ভাবেই টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হওয়ার কারণে ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছিল বহু পরিবারকে আবারও সেই একই ঘটনা ঘটল এ বছরও।

অভিযোগ পূর্ববর্তী কাউন্সিলর যিনি ছিলেন তাঁকে জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। বর্তমান কাউন্সিলর যিনি রয়েছেন তাঁকে জানাতে গেলে তিনি বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের এই সমস্ত জায়গাগুলি নিচু রয়েছে স্বাভাবিকভাবেই এখানে জল জমবেই।

কিন্তু এই জল বের করার কোনও সুরাহা তিনি করেননি। এছাড়াও সরকার থেকে জল জমার পরে এই সমস্ত ত্রাণ কিংবা টাকা আসে সেগুলিও ভোগ করেন যাঁরা উচু জমিতে থাকে সেই সমস্ত পরিবারেরা। নিচু জমি এলাকার মানুষেরা কোনরকম সুযোগ-সুবিধা পান না।

এ বিষয়ে দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যনারায়ণ দাস জানান, বিলপুকুর এলাকাটি আগে ছিল চাষের জমি, এই জমি অত্যধিক নিচু। বিভিন্ন এলাকার জল এসে এই জমিতে পড়ে। স্থানীয় বেশ কিছু মানুষেরা কম টাকায় পেয়ে এই জমি কিনে সেখানে বসবাস করছে। আগে ঢাকা ভাড়া দিয়ে জলটি বের হয়ে শুধু ধ্বনি নদীতে পড়লেও এখন তা আর পরে না।

যাঁরা বেলপুকুরের এই নিচু জমিতে ঘরবাড়ি করেছেন তাঁরা জেনেশুনেই ঘরবাড়ি করেছেন। ঢাকা পাড়ার ওই খালের ওপরে একাধিক লোক পাকা বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। এবার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যদি ওই খালটিকে বাড়িয়ে মাঠের কাছে আনা যায় তবেই এর কোন সমাধান হবে।

মৈনাক দেবনাথ