Tag Archives: Waterlogging

স্কুলে যাওয়ার রাস্তা উধাও! ৭০০ পড়ুয়া নিয়ে ফাঁপরে শিক্ষক, কী হল জানুন

 মুর্শিদাবাদ:  স্কুল আছে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন। তবু ক্লাস হচ্ছে না। কারণ, স্কুলে আসতেই পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। যাতায়াতের পথের অবস্থা এমনিতেই সঙ্গীন ছিল। তার উপর বৃষ্টির জল জমে, কাদা হয়ে স্কুলে আসার রাস্তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সেই নিয়েই অশান্তি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এলাকায়। সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষোভে শামিল পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন– শহরের বুকে নৌকা! অতি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি বঙ্গের কোন কোন এলাকায়?

সূত্রের খবর, ভগবানগোলা থানার কালুখালি আবদুল মান্নান হাই মাদ্রাসায় প্রায় সাড়ে সাতশোর বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারউদ্দিন শেখ তাঁর বাবা আবদুল মান্নার নামে এই হাই মাদ্রাসার জমি দান করেছিলেন। সেইসময় এই মাদ্রাসায় আসার জন্য সেচ দফতরের যে জায়গা ছিল সেটিতে ইট পেতে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, গরমের ছুটির পর দেখা যায় স্কুলের আসার জন্য সেচ দফতরের যে জায়গা ছিল সেটি প্রোমোটাররা দখল করে ঘিরে দিয়েছেন। ফলে বর্ষার জল কাদা পেড়িয়ে স্কুলে আসতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাই রাস্তার দাবিতে চলছে অবরোধ। মহিষস্থি গ্রাম পঞ্চায়েতে যাওয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।

শিক্ষকদের অভিযোগ, মাদ্রাসার রাস্তার জন্য ব্লক অফিস থেকে শুরু করে এসআই, ডিআই অফিসে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পড়ে ভগবানগোলা থানার পুলিশ। তাঁরা সমাধানের আশ্বাস দিলে পড়ুয়ারা অবরোধ তুলে নেয়। ছাত্রী তহিনা খাতুন বলে, “আমাদের মাদ্রাসায় আসার রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যাতায়াতের জন্য আমাদের আর কোনও রাস্তা নেই। কীভাবে মাদ্রাসায় এসে পড়াশোনা করব? তাই রাস্তার দাবিতে আমরা বিক্ষোভ করছি।”
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুস সবুরের গলায়ও ক্ষোভের সুর। তাঁর দাবি, “আমরা কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করব? রাস্তার সমস্যার একটা সুষ্ঠ সমাধান হোক।” শিক্ষক মোজাহার গাজিও রাস্তার আশু সমাধান চেয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

Alipurduar News: টানা বৃষ্টি,ঘরে এক হাঁটু জল, আলিপুরদুয়ার শহরে চলছে নৌকা

আলিপুরদুয়ার: ঘরের মধ্যে এক হাঁটুজল। টানা বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ার শহরের অবস্থা এমনই। একাধিক ওয়ার্ডে জমেছে জল, চলছে নৌকা।

আরও পড়ুনঃ ইঞ্জিনে ছিল ‘ভিজিলেন্স কন্ট্রোল ডিভাইস’, তবুও ঘটল দুর্ঘটনা! ঘাতক মালগাড়ি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত আলিপুরদুয়ারের। ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে দাঁড়িয়েছেন রাস্তায়। আলিপুরদুয়ারে টানা বর্ষণ। কালজানি-সহ অন্যান্য নদীগুলির জল বাডছে। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ার -২২০.৪০ মিলিমিটার ওহাসিমারা- ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে অতিবর্ষণে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকার ৮,৯,১৫,১৮,৫,১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের ভরসা নৌকা।নৌকাতে চলছে যাতায়াত। এদিকে, ডিমা নদীতে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপন্ন ৩৫ টি পরিবার।

প্রায় ২৫০ জন বাসিন্দাদের যাতায়াত এক প্রকার বন্ধ। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জল ঢুকছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। স্লুইস গেট বন্ধ, গার্ডওয়াল থাকায় জল বের হতে পাচ্ছে না। ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পুরসভা দেখে না দেখার ভূমিকা নিয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর জানিয়েছেন, “৮ টি পাম্প রাখা হয়েছে। শহরে জল বের করে দেওয়া হবে।আর বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য নৌকা মজুত রাখা হয়েছে।” আলিপুরদুয়ার শহরের জল বদ্ধতার সমস্যা মিটবে কবে? থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।

Annanya Dey