জলের সাথে নিজস্ব তুলছেন ব্লগাররা 

Flood Blog: ডুবন্ত সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে নিজস্বী! ব্লগারদের উৎসাহ সামলাতে মোতায়েন হল পুলিশ

বীরভূম: অবশেষে বর্ষার দেখা দিয়েছে বীরভূমে। গত বৃহস্পতিবার থেকে গত রবিবার পর্যন্ত বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় কখনও ভারি কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। এই লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী সেতু ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও ব্লগারদের অতি উৎসাহ চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের।

২০০০ সালের বন্যায় এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বীরভূমবাসীদের। তারপরে দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর পর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হল বীরভূমে। সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে বীরভূমের লাভপুরে ডুবেছে একাধিক গ্রাম। যখন জল যন্ত্রনায় ভুগছে গোটা জেলা ঠিক সেই সময় জলোচ্ছাস দেখতে বিভিন্ন নদীর পাড়ে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। এমনকি অতি উৎসাহী ব্লগাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের মুখে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।

আর‌ও পড়ুন: খাকি পোশাকে রেলগেটে দাঁড়িয়ে সকলের প্রাণ রক্ষা করে চলেছেন বৃদ্ধ, বদলে জুটছে কটুক্তি

বহু মানুষ সেলিফি তুলতে বিপদ উপেক্ষা ভিড় করছেন নদীর স্রোতের মুখে। এর জন্য বিপদ পুলিশের তরফে ২৪ ঘণ্টার নিরপত্তার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়ন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কোথাও কোনও সমস্যা দেখলে তারা পর্যটকদের মানা করছেন সেই জায়গায় যেতে। তবে বীরভূমের অন্যান্য জায়গার থেকে সবচেয়ে বেশি ভিড় রয়েছে বোলপুরের কঙ্কালীতলা মন্দিরে।

এছাড়া বিভিন্ন জায়গা, সিউড়ি তিলপারা ব্যারাজেও যুবক-যুবতী, মাঝ বয়সী সকলের ভিড় রয়েছে। এক কথায় বলা যেতে মোবাইল ফোন হাতে বিপদ উপেক্ষা করে মানুষের ভিড়, আর সেই ভিড়ের জন্য পুলিশকে নিতে হচ্ছে ব্যবস্থা। ডুবে যাওয়া সেতু ও ,বিপদ সীমারেখায় বয়ে যাওয়া জল সেই সমস্ত এলাকায় রাখা হচ্ছে পুলিশ। এর মধ্যে শান্তিনিকেতনের কোপাই নদী অন্যতম। যেখানে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পর্যটক স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় চোখে পরার মত। যেখানে কোপাই সেতুর একপ্রান্তে পাড়ুই থানা, অন্যপ্রান্তে শান্তিনিকেতন থানা। যেখানে দুই থানাকে পুলিশ মোতায়ন করতে হয়েছে।

সৌভিক রায়