জলপাইগুড়ি: উত্তরের দুর্যোগে দুর্ভোগ অব্যাহত! কয়েক দিন উন্নত আবহাওয়ার পর ফের কালোমেঘের ঘনঘটায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে উত্তরবঙ্গবাসী।
তিস্তার দোমহনী এবং মেখলীগঞ্জ বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। আজও সকালে জলপাইগুড়ি গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে বলে সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি সূত্রে জানা যায়।
প্রায় ২৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে দফায় দফায়। পুনরায় ফুসছে তিস্তা নদী। বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে তিস্তা-সহ অন্যান্য শাখানদীগুলির জল। কপালে ভাঁজ তিস্তা পাড়-সহ অন্যান্য নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। কৃষি জমি জলের তলায় চলে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ দিন। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে রাতভর ভারী বৃষ্টির পর সোমবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়িতে মেঘলা আকাশ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভীন জেলাবাসীদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে পাহাড়ি নদীগুলোতে হড়পা বানের আশঙ্কা করে জেলা নদী সংক্রম এলাকায় সচেতনতা মাইকিং করা হয়। রয়েছে ভূমিধসের আশঙ্কাও। ইতিমধ্যেই আজ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ ভূমিধসের খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন- ঠকে যাচ্ছেন না তো? সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস আছে ওজন না করেই বুঝবেন কী ভাবে? জেনে নিন
এই মুহূর্তে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে। তবে, জেলা প্রশাসনের তরফে প্রত্যেকে ত্রাণসামগ্রী থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবেলা দল যে কোনও দুর্যোগ সামাল দিতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।
সুরজিৎ দে