তালা দেওয়া রয়েছে ঘাটের গেটে 

Ferry Service: হু হু করে জল বাড়ছে ভাগীরথীতে, বন্ধ হয়ে গেল ফেরি যোগাযোগ

নদিয়া: হু হু করে বাড়ছে ভাগীরথীর জলস্তর। ফলে বিপদের আশঙ্কা প্রবল আকার ধারণ করেছে। পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া দুই জেলার জেলাশাসকের সিদ্ধান্তে বন্ধ সমস্ত ধরনের জল পরিবহণ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা। মাত্র কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষার বৃষ্টির জেরে খাল-বিল, পুকুর, নদী জলে পরিপূর্ণ।

এদিকে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাগীরথী নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান দুই জেলার বিভাজক হিসাবে রয়েছে এই ভাগীরথী। ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন কারণে পার্শ্ববর্তী দুটি জেলার একমাত্র যোগাযোগের উপায় এই জলপথ। সোমবার থেকে দুই জেলার জেলাশাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়েছে সমন্বয়কারী হিসেবে একমাত্র এই জলপথ। জল পরিবহণ বন্ধের সরকারি এই সিদ্ধান্তে দুই জেলার মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। লঞ্চ ও ভেসেলের মাধ্যমে গবাদিপশুর খাবার বিচুলি, মাছ, কাঁচা আনাজ, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সামগ্রী এমনকি বিভিন্ন পেশায় এবং চাকুরিতে যুক্ত নিত্য যাতায়াত করা মানুষজন যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন। এদিকে কবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।

আর‌ও পড়ুন: গভীর রাতে তিনটি বাড়ির ধানের গোলা ছারখার করল কে? অপরাধীকে দেখে মাথায় হাত

এই বিষয়ে আগাম নোটিশ কিংবা মাইকিং করা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে ঘাট মালিক পূর্ব বর্ধমানের কালনাঘাটে প্রচার হয়েছে বলে জানান। তবে ভাগীরথীর পাশাপাশি অজয় নদের জল‌ও বাড়ছে। অন্যদি ডিভিসি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে হাজার হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান এই দুই জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার ডাঙাপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় জালুইডাঙা, কালনা ধাত্রীগ্রামের পিয়ারিনগর, কালনা শহরের জাপট মহল্লার নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। অন্যদিকে নদিয়ার শান্তিপুর চৌধুরীপাড়া, নৃসিংহপুর, হাউস সাইট কলোনি সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মৈনাক দেবনাথ