উপাসনা গৃহ 

Birbhum News: বোলপুরের উপাসনা গৃহ যা কাঁচ ঘর নামে পরিচিত! জানেন এর ভেতরের আসল সত্য কী?

বীরভূম: বোলপুর শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রত্যেকদিন বোলপুর শান্তিনিকেতনে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে ছুটে আসেন দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক। বিশেষ করে সপ্তাহের শনিবার এবং রবিবার হাজার হাজার পর্যটকদের ভিড় জমে এই শান্তিনিকেতনে। এখানে দেখার মত রয়েছে বিভিন্ন জায়গা যেমন ছাতিমতলা, কাঁচের মন্দির বা উপাসনাগৃহ, তালধ্বজ, তিনপাহার ও আম্রকুঞ্জ, দেহলি, ঘণ্টাতলা, বকুলবীথি, উত্তরায়ণ, প্রাঙ্গন, বিচিত্রা (রবীন্দ্রভবন) এবং তার থেকে সবচেয়ে বড় সোনাঝুরির হাট।

তবে উপাসনা গৃহ যেটি পর্যটকদের কাছে কাঁচ ঘর নামে পরিচিত বা উপাসনা মন্দির নামে পরিচিত সেটি কিন্তু একদম সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ উপাসনা মন্দিরে কোনও মূর্তি নেই সেই কারণে এটিকে উপাসনা মন্দির বলা চলে না। আর অনেকের কাছে এটি কাঁচ ঘর নামেও পরিচিত। এটি কাঁচের দিয়ে তৈরি হলেও এটি হলও একটি ব্রহ্ম উপাসনা আশ্রম। এখানে ব্রহ্মের উপাসনা হয়ে থাকে। তবে কেন এটি উপাসনা মন্দির বা কাঁচ ঘর নামে পর্যটকদের কাছে পরিচিত। এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা যেটা জানাচ্ছেন মূলত কাচের তৈরি বলে আগত পর্যটকদের বিভিন্ন টোটো চালকরা কাঁচ ঘর হিসাবে পরিচয় করিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন-    মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তনীনুরুল হক জানান” এটি মূলত ব্রহ্ম উপাসনা মন্দির অনেকে আবার বলেন এখানে নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে এবং সেই মূর্তিতে পুজো করা হয়। তবে সেটি সম্পূর্ণ ভুল।উপাসনা গৃহ বা ব্রাহ্ম মন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। মন্দির গৃহটি রঙিন কাঁচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত।”

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

যে কোনও ধর্মের মানুষই এই উপাসনাগৃহতে প্রবেশ করতে পারে। তবে তার জন্য তাকে বিশেষ সাদা পোশাক পরতে হয়। আর তাই স্থানীয় লোকজনের কাছে এটা কাঁচের মন্দির নামেও পরিচিত। আপনি যদি এবার বোলপুর ভ্রমণের জন্য আসেন তাহলে এই উপাসনা গৃহকে উপাসনা মন্দির বা কাঁচ ঘর মনে করবেন না।

সৌভিক রায়