দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আরও কমেছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

এক কিউসেক মানে কতটা জল? বর্ষা এলেই লাখ লাখ ‘কিউসেক’ জল ছাড়ে ডিভিসি!

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও স্বস্তিদায়ক খবর এল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। কারণ বিগত কয়েক দিনের তুলনায় অনেকটা কম করা হয়েছে জল ছাড়া।

শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মঙ্গলবার প্রথমার্থে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দুপুরের পর সেই মাত্রা আরও কমবে বলে জানা গিয়েছে সেচ দফতর সূত্রে।

আরও পড়ুন- সোনা ডাবল করতেই এসেছেন তিনি! প্রথম থ্রোতেই জ্যাভেলিন ফাইনালে নীরজ চোপড়া

জানা গিয়েছে, দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় অবস্থিত জলধারগুলিতে ইন-ফ্লো অনেকটাই কমেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বা ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। যে কারণে মাইথন, পাঞ্চেত অথবা তেনুঘাট থেকে অনেকটা কমেছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই একই কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। যা স্বস্তি দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির মানুষজনকে।

বিগত কয়েকদিনে কিউসেক শব্দটা শোনা গিয়েছে বারবার। এই একটা শব্দ বহু মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আবার স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে কেউসেক শব্দটা। কিন্তু জানেন কি কেউসেক শব্দের অর্থ কি? কিভাবে কিউসেকের মাধ্যমে জলের পরিমাপ করা হয়? এক কিউসেক সমান কত লিটার জল হয় জানেন? বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন দফতরের এক আধিকারিক।

আরও পড়ুন- অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, সামনেই T20 WC-র আসর বসার কথা, কী করবে ICC

মূলত তরল পদার্থের প্রবাহ পরিমাপ করা হয় কিউসেকের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে এক ঘন ফুটে মধ্যে দিয়ে কতটা জল বা তরল প্রবাহিত হচ্ছে, তা বুঝতে কিউসেকের ব্যবহার।

জলধারগুলি থেকে কত জল ছাড়া হল, তা বুঝতে কেউসেক ব্যবহার করা হয়। ওই অধিকারিক জানিয়েছেন, হিসাব বলছে ১ কিউসেক সমান ২৮.৩১৭ লিটার।

নয়ন ঘোষ